বিষধর সাপ নিয়ে খেলার ঝাপাঁন উত্‍সব বন্ধ করে দিল বন দফতর

বন দফতরের ফতোয়া। বিষ্ণুপুরে বন্ধ হয়ে গেল প্রাচীন ঝাঁপান উত্সব। মল্ল রাজা ও রাজত্বের পর এবার কালের গর্ভে বিলীন হল রাজ পরিবারের ঐতিহ্য। শেষ হল সাপেদের ওপর নির্যাতনের সুদীর্ঘ এক ইতিহাস। তবে নদিয়ার চাকদহে তিনশো বছরের প্রাচীন সাপের মেলায় উপচে পড়ছে ভিড়।

Updated By: Aug 18, 2015, 10:18 PM IST
বিষধর সাপ নিয়ে খেলার ঝাপাঁন উত্‍সব বন্ধ করে দিল বন দফতর
প্রতীকী ছবি।

ওয়েব ডেস্ক: বন দফতরের ফতোয়া। বিষ্ণুপুরে বন্ধ হয়ে গেল প্রাচীন ঝাঁপান উত্সব। মল্ল রাজা ও রাজত্বের পর এবার কালের গর্ভে বিলীন হল রাজ পরিবারের ঐতিহ্য। শেষ হল সাপেদের ওপর নির্যাতনের সুদীর্ঘ এক ইতিহাস। তবে নদিয়ার চাকদহে তিনশো বছরের প্রাচীন সাপের মেলায় উপচে পড়ছে ভিড়।

বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরের ইতিহাস হাজার বছরেরও পুরনো। মল্ল রাজারা এই বিষ্ণুপুরকেই গড়ে তুলেছিলেন তাঁদের রাজধানী হিসাবে। সেসময় ছিল প্রচুর সাপের উত্পাত। সাপের কামড়ে মৃত্যু হত বহু মানুষের। এই সময়ই জনপ্রিয়তা লাভ করে মনসা পুজো। এই পুজোর অনুষঙ্গ হিসাবেই চালু হয় নানান বিষধর সাপ নিয়ে খেলা দেখানোর উত্সব ঝাঁপান।

সেই রাজাও নেই। রাজত্বও নেই। তবুও উত্সবের জেল্লায় ভাঁটা পড়েনি। কিন্ত বাদ সাধে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। মেলার নামে সাপেদের ওপর অত্যাচার চলছে। বন দফতরে অভিযোগ জানায় ওই সংস্থা। তারপরেই ঝাঁপানের ওপর নেমে এল খাঁড়া।

বিষ্ণুপুরে বন্ধ হলেও নদিয়ার চাকদায় ঝাঁপানের মেলায় উপচে পড়ছে ভিড়।  দূরদূরান্ত থেকে সাপুরিয়ারা আসেন খেলা দেখাতে। এতটুকু জৌলুস হারায়নি চাকদার ঝাঁপান উত্সব।

.