জমি জটে আটকে জাতীয় সড়ক সম্প্রসারণ

রাজ্য সরকারের জমি অধিগ্রহণ জটে এবার ক্ষতিগ্রস্থ জাতীয় সড়ক সম্প্রসারণের কাজ। জমি না মেলায় প্রকল্পের কাজ থেকে সরে যাচ্ছে ন্যাশনাল হাইওয়ে অথারিটির ঠিকাদার সংস্থা এইচসিসি। ইতিমধ্যেই চিঠি দিয়ে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষকে প্রকল্প থেকে সরে যাওয়ার কথা জানিয়ে দিয়েছে সংস্থাটি।

Updated By: Sep 13, 2012, 04:28 PM IST

রাজ্য সরকারের জমি অধিগ্রহণ জটে এবার ক্ষতিগ্রস্থ জাতীয় সড়ক সম্প্রসারণের কাজ। জমি না মেলায় প্রকল্পের কাজ থেকে সরে যাচ্ছে ন্যাশনাল হাইওয়ে অথারিটির ঠিকাদার সংস্থা এইচসিসি। ইতিমধ্যেই চিঠি দিয়ে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষকে প্রকল্প থেকে সরে যাওয়ার কথা জানিয়ে দিয়েছে সংস্থাটি।
উত্তরবঙ্গের সঙ্গে যোগাযোগকারী প্রধান ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে সম্প্রসারণের কাজ করার কথা ছিল ন্যাশনাল হাইওয়ে অথরিটির দুটি ঠিকাদার সংস্থার। দুবছর আগেই বারাসত থেকে বহরমপুর অংশে দুটি ভাগে কাজের বরাত পেয়েছিল মধুকন ইনফ্রা লিমিটেড। জাতীয় সড়কের এই অংশ সম্প্রসারণের জন্য তিনশো পাঁচ হেক্টর জমি অধিগ্রহণ প্রয়োজন ছিল। কিন্তু গত দুবছরে এক ছটাক জমিও অধিগ্রহণ হয়নি। বহরমপুর থেকে ডালখোলা পর্যন্ত তিনটি ভাগে সম্প্রসারণের বরাত পেয়েছিল অপর সংস্থা এইচসিসি। এই অংশের রাস্তা সম্প্রসারণের জন্য প্রয়োজনীয় জমি ছয়শো হেক্টর। কিন্তু অধিগ্রহণ হয়েছে মাত্র ০.১৮ হেক্টর জমি। জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের হাতে থাকা জমি ব্যবহার করে মাত্র পয়তাল্লিশ কিলোমিটার রাস্তা সম্প্রসারণ করা হয়েছে। কিন্তু তাও বিছিন্নভাবে। অর্থাত্‍‍ ২৫৬ মধ্যে মাত্র ৪৫ কিলোমিটার রাস্তা বিছিন্নভাবে সম্প্রসারিত হয়েছে। তাই বারাসত থেকে ডালখোলা পর্যন্ত বিস্তীর্ণ জাতীয় সড়ক সম্প্রসারণের কাজ বন্ধ হওয়ার মুখে। বহরমপুর থেকে ডালখোলা পর্যন্ত অংশেও জমি অধিগ্রহণ অবিলম্বে শুরু না হলেও প্রকল্প থেকে সরে যাওয়ার কথা জানিয়ে দিয়েছে এইচসিসি।   এতেই সমস্যায় পড়েছেন ঠিকাদার সংস্থা এইচসিসি। এই অংশের কাজ থেকে সরে দাঁড়ানোর চিঠি ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকারকে পাঠিয়ে দিয়েছে ঠিকাদার সংস্থা।

 মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন রাজ্যে শিল্পায়নের জন্য পরিকাঠামো উন্নয়নে জোর দিচ্ছেন, তখন জাতীয় সড়ক প্রকল্প থেকে ঠিকাদার সংস্থার হাতগুটিয়ে নেওয়া নিসন্দেহে তাত্‍‍‍‍পর্যপূর্ণ। উত্তরবঙ্গের উন্নয়নেও বিশেষ নজর রয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর। কিন্তু জাতীয় সড়ক সম্প্রসারণের কাজ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় একদিকে যেমন রাজ্যের শিল্প পরিকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হবে, তেমনি বাধার মুখে পড়বে উত্তরবঙ্গে উন্নয়নও।

.