বোমা উদ্ধারে গিয়ে তৃণমূল কর্মীদের হাতে নিগৃহীত রায়নার ওসি
ফের আক্রান্ত হল পুলিস। কাঠগড়ায় আবারও শাসক দল। বোমা উদ্ধার করতে গিয়ে তৃণমূল কর্মীদের হাতে মার খেলেন রায়না থানার ওসি সঞ্জয় রায়। বর্ধমান বাইপাসের ধারে একটি বেসরকারি হাসপাতালের আপাতত তিনি চিকিত্সাধীন।তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে দীর্ঘদিন ঘরছাড়া রায়নার কয়রাপুর গ্রামের বাসিন্দা শেখ মানিক ও শেখ সাবু। বিভিন্ন ধরনের অপরাধমূলক কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকায় পুলিসের খাতাতেও দুজনের নাম আছে।
বৃহস্পতিবার রাতে তারা একটি মোটর সাইকেলে গ্রামে ফিরছিল। বেলসরের মোড়ে তৃণমূলের অন্য গোষ্ঠীর লোকজন তাদের রাস্তা আটকালে শেখ মাণিক এবং শেখ সাবু মোটরসাইকেল ফেলে পালিয়ে যায়। দুজনের সঙ্গে একটি ড্রাম ও ব্যাগ ছিল। ব্যাগের মধ্যে কয়েকটি তাজা বোমা ও বোমা তৈরির মশলা ছিল। খবর পেয়ে সেগুলি উদ্ধারে কয়েকজন পুলিসকর্মী নিয়ে কয়রাপুর গ্রামে যান রায়না থানার ওসি সঞ্জয় রায়। তখনই তৃণমূল কর্মীদের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন তিনি। বচসা চলাকালীন ওসির ওপর হামলা হয় বলে অভিযোগ। গুরুতর আহত অবস্থায় সঞ্জয় রায়কে বর্ধমান বাইপাসের ধারে বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাঁকে দেখতে যান বর্ধমানের পুলিস সুপার কুণাল আগারওয়াল।
এ ঘটনার পর রাতে অভিযুক্তদের খোঁজে কয়রাপুর গ্রামে তল্লাসি চালায় বিশাল পুলিস বাহিনী। শেখ মানিক এবং শেখ সাবুর ফেলে যাওয়া বোমার ব্যাগটিও উদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিস। সেগুলি ঠিক কোথায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।