কখনও নিষ্ক্রিয়, কখনও অতি সক্রিয়, অভিযোগ, তিরস্কারেও হঁশ নেই পুলিসের
সাধারণ মানুষ অভিযোগ করেছেন। অভিযোগ তুলেছেন বিরোধীরা। কিন্তু কোনও কিছুতেই কর্ণপাত করেনি রাজ্য সরকার বা শাসক দল। এমনকী, হাইকোর্টের কড়া সমালোচনার পরেও হুঁশ ফেরেনি পুলিসের। একের পর এক ঘটনায় কখনও পুলিস অতি সক্রিয়, কখনও একেবারে নিষ্ক্রিয়। যেমন সম্প্রতি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের রানিতলায়। খুন ও ধর্ষণের ঘটনায় মূল অভিযুক্তই জামিন পেয়ে গিয়েছেন। যা এককথায় নজিরবিহীন। দেখুন বিশেষ রিপোর্ট।
সাধারণ মানুষ অভিযোগ করেছেন। অভিযোগ তুলেছেন বিরোধীরা। কিন্তু কোনও কিছুতেই কর্ণপাত করেনি রাজ্য সরকার বা শাসক দল। এমনকী, হাইকোর্টের কড়া সমালোচনার পরেও হুঁশ ফেরেনি পুলিসের। একের পর এক ঘটনায় কখনও পুলিস অতি সক্রিয়, কখনও একেবারে নিষ্ক্রিয়। যেমন সম্প্রতি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের রানিতলায়। খুন ও ধর্ষণের ঘটনায় মূল অভিযুক্তই জামিন পেয়ে গিয়েছেন। যা এককথায় নজিরবিহীন। দেখুন বিশেষ রিপোর্ট।
রাজ্যে পরিবর্তন হওয়ার পর থেকেই পুলিসকে দেখা গিয়েছে কখনও অতিরিক্ত সক্রিয় হতে। মুখ্যমন্ত্রীকে প্রশ্ন করার অপরাধে জেল খাটতে হয়েছিলে প্রান্তিক মানুষ শিলাদিত্য চৌধুরীকে। সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে কার্টুন ফরোয়ার্ড করে জেলে যেতে হয়েছিলে অধ্যাপককে। শাসক দলের অভিযোগে এফআইআর করে সাত তাড়াতাড়ি প্রাক্তন পুরমন্ত্রীসহ একাধিক সিপিআইএম নেতাকে ধরে নিয়ে গিয়ে জেলে পোড়া হয়েছিল। আবার কখনও পুরোপুরি নিষ্ক্রিয়। বর্ধমানের সিপিআইএম নেতাদের প্রকাশ্যে পিটিয়ে খুন করা হলেও জেলা পুলিস অভিযুক্তদের নিজেদের হেফাজতে চায়নি। পরে সিআইডি তদন্তভার নিলেও অভিযুক্তরা জামিন পেয়ে গিয়েছে। যারা হামলা চালাল, যাদের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা দায়ের হল, তারাই পুলিসের সামনে থানায় বসে পাল্টা লিখিত অভিযোগ দায়ের করল।
পঞ্চায়েত নির্বাচনের পরেই পশ্চিম মেদিনীপুরের গড়বেতা থানা এলাকায় এক নির্দল প্রার্থীর ভাই নিখোঁজ হয়েছিলেন। পরে তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার হয়। পুলিস দুজনকে গ্রেফতার করলেও তাদের নিজেদের হেফাজতে নিতে চায়নি। বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় কড়া ভাষায় নিন্দা করে বলেন, "পুলিস দলীয় পতাকার রং দেখে পদক্ষেপ করছে। শাসক দলের পতাকার তলায় থাকলে একরকম, না থাকলে আরেক রকম।"
একইভাবে উত্তর চব্বিশ পরগণার হাড়োয়ার এক সিপিআইএম কর্মী খুনের ঘটনাতেও পুলিসের কড়া সমালোচনা করেন বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সেই একই ছবির একেবারে শেষ উদাহরণ মুর্শিদাবাদের রানিতলা। গত পনেরোই জুনের ওই ঘটনায় এখনও চার্জশিটই দিতে পারেনি পুলিস। বরং ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় মূল অভিযুক্তই জামিন পেয়ে গিয়েছে। আপত্তি করেননি সরকারি আইনজীবী। পুলিসি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ উঠেছে। যতই মুখ্যমন্ত্রী বলুন, যতই হাই কোর্ট কড়া ভাষায় ভর্তসনা করুক, পুলিসের কাজ পুলিস চালিয়েই যাচ্ছে।