ছাত্র ইউনিয়ন গঠনকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্র ইসলামপুর কলেজ
পড়াশোনা চুলোয়। কলেজে রাজনীতির নামে ঝরল রক্ত। রণক্ষেত্র ইসলামপুর কলেজ। তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে, চলল ইট-পাথর বৃষ্টি। লাঠিসোটা, বাঁশ নিয়ে রীতিমতো গুণ্ডামি। অবস্থা সামাল দিতে ঘাম ছুটে যায় পুলিসের। ভাঙচুর পুলিসের গাড়িতেও।
ওয়েব ডেস্ক : পড়াশোনা চুলোয়। কলেজে রাজনীতির নামে ঝরল রক্ত। রণক্ষেত্র ইসলামপুর কলেজ। তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে, চলল ইট-পাথর বৃষ্টি। লাঠিসোটা, বাঁশ নিয়ে রীতিমতো গুণ্ডামি। অবস্থা সামাল দিতে ঘাম ছুটে যায় পুলিসের। ভাঙচুর পুলিসের গাড়িতেও।
এরাই ছাত্রছাত্রী। পড়াশোনা করেন। যদিও যে খেল তারা দেখালেন, তাতে একথা ভাবাটাই বোধহয় সবচেয়ে কষ্টকর। বৃহস্পতিবার ছিল, ছাত্র ইউনিয়ন গঠনের দিন। আচমকা ঝামেলা শুরু হয়ে যায়, তৃণমূল ছাত্র পরিষদেরই দুই গোষ্ঠীর মধ্যে। পুলিস মোতায়েন ছিলই। তবে অবস্থা হাতের বাইরে চলে যায়। খবর পেয়ে SDPO ইসলামপুর সহ বিশাল পুলিসবাহিনী কলেজে পৌছয়। অবস্থা সামলাতে কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটায় পুলিস। এরই মাঝে যুযুধান দু'পক্ষ কলেজের মাঠে পৌছেও তাণ্ডব শুরু করে। অভিযোগ, বহিরাগতরাও জড়ো হয়ে যায় কলেজ চত্বরে রীতিমতো গেরিলা কায়দায় পুলিসের সামনেই আক্রমণ চালাতে থাকে দু'পক্ষ। পুলিসের শীর্ষকর্তারাও এসে পৌছন কলেজে। শেষপর্যন্ত কলকাতা থেকে নির্দেশ যায়, অন্তর্দ্বন্দ্ব যে কোনও মূল্যে ঠেকাতে হবে।
এখানে বিবাদ মূলত করিম চৌধুরী বনাম কানাইয়া আগরওয়াল গোষ্ঠীর। নির্বাচনের মনোনয়ন পত্র তোলার সময় থেকেই দফায় দফায় সংঘর্ষে অগ্নিগর্ভ ছিল ইসলামপুর কলেজ। প্রশাসনের হস্তক্ষেপে, দুপক্ষকে বুঝিয়েসুঝিয়ে নির্বাচন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়। কলেজ ভোটের রেজাল্টে করিম চৌধুরীর অনুগামীদের হাতে বেশি ক্ষমতা আসে। ঠিকও হয়, করিম গোষ্ঠী থেকেই জিএস মনোনীত হবেন। কিন্তু অভিযোগ, কানাইয়া-গোষ্ঠী তাতে বাধ সাধাতেই এই ঝামেলা। গত বিধানসভা ভোটে ইসলামপুর কেন্দ্রে তৃণমূলের করিম চৌধুরীকে হারিয়ে জয়ী হন কংগ্রেসের কানাইয়া আগরওয়াল। ভোটে জেতার কিছুদিনের মধ্যেই অবশ্য কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন কানাইয়া। তারপর থেকেই বারবার অশান্তি, তৃণমূলে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব চরমে। দুই নেতা করিম চৌধুরী ও কানাইয়া আগরওয়াল, দুজনকেই সতর্ক করেছে দল। আগেও করা হয়। তবে কাজের কাজ যে হয়নি, তারই প্রমাণ এই ছবি।