এবার রাজরোষে শিলিগুড়ির পুলিস কমিশনার
দেওয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়ায় পুলিস হতে চেয়েছিলেন কলকাতা পুলিস কমিশনার। শিলিগুড়ির পুলিস কমিশনার একইভাবে রাজনৈতিক প্রভাবে আপোষ করতে চাননি। সেখানেই দুজনের মিল। আর সেকারণেই কলকাতার পর এবার শিলিগুড়িতেও পুলিস কমিশনারকে সরে যেতে হচ্ছে।
দেওয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়ায় পুলিস হতে চেয়েছিলেন কলকাতা পুলিস কমিশনার। শিলিগুড়ির পুলিস কমিশনার একইভাবে রাজনৈতিক প্রভাবে আপোষ করতে চাননি। সেখানেই দুজনের মিল। আর সেকারণেই কলকাতার পর এবার শিলিগুড়িতেও পুলিস কমিশনারকে সরে যেতে হচ্ছে।
গার্ডেনরিচে কলকাতা পুলিসের সাব-ইন্সপেক্টর তাপস চৌধুরী খুনের পরই শীর্ষ আইপিএস কর্তারা কলকাতা পুলিস কমিশনারের ওপর চাপ দিতে শুরু করেছিলেন। শেষপর্যন্ত শাসক দলের নেতার বিরুদ্ধে সরাসরি খুনের মামলা দায়ের হয়েছিল। দীর্ঘদিন ধরে শাসক দলের হয়ে কাজ করার পর শেষপর্যন্ত সহকর্মীদের চাপে পুলিস হতে চেয়েছিলেন ততকালীন পুলিস কমিশনার। তাঁরই নির্দেশে দায়ের হয়েছিল খুনের মামলা। রাতারাতি সরে যেতে হয়েছিল তাঁকে।
শিলিগুড়িতেও শাসক এবং পুলিসের বড় কর্তাদের নির্দেশে অশোক ভট্টাচার্য, জীবেশ সরকার সহ ৫১ জনকে বেনজির ভাবে অনিল বিশ্বাস ভবনে ঢুকে তুলে নিয়ে গিয়েছিল পুলিস। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ভট্টাচার্য, জীবেশ সরকার এবং শঙ্কর ঘোষকে ছেড়ে দেওয়া হয়। একান্ন জনের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক চাপে জামিন অযোগ্য বেশ কয়েকটি ধারা দেওয়া হয়। তবে পুলিস কর্মীরা প্রথম থেকেই জানতেন এই অভিযোগ ধোপে টিকবে না। কিন্তু তাদের ওপর চাপ ছিল এবিষয়ে তথ্যপ্রমণ জোগারের। শেষপর্যন্ত পুলিস তা করে ওঠেনি। এখানেও কোনও একটি জায়গায় এসে পুলিস কমিশনার বুঝতে পারছিলেন তিনি বেআইনি কাজ করছেন। ফলে জামিন হয়ে যায় সবার। ফলে শেষপর্যন্ত কলকাতা পুলিস কমিশনারের মত সরে যেতে হল তাঁকেও।
রাজনৈতিক প্রভাবে কাজ না করার জন্য ইতিমধ্যেই এ রাজ্যের বেশকয়েকজন আইপিএস অফিসারকে সরে যেতে হয়েছে। সেই তালিকায় শেষতম সংযোজন আনন্দ কুমার। তাঁর জায়গায় আসছেন কে জয়রামন।