তৃণমূলের গষ্ঠী সংঘর্ষে উত্তপ্ত মালদার ইংরেজ বাজার
চৌত্রিশ নম্বর জাতীয় সড়ক লাগোয়া একটি হোটেলে দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। চলে গুলিও। আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি তিনজন। দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠল মালদার ইংরেজবাজারের যদুপুর এলাকা। চৌত্রিশ নম্বর জাতীয় সড়ক লাগোয়া একটি হোটেলে দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। চলে গুলিও। আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি তিনজন। দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
ঘটনার সূত্রপাত শনিবার সকালে। সুজাপুর বিধানসভা কেন্দ্রে তৃণমূলের খারাপ ফল নিয়ে পারস্পরিক দোষারোপে ব্যস্ত হয়ে পড়ে দুই গোষ্ঠী। তখনকার মত বিষয়টি মিটে গেলেও বিকেলে সুজাপুরের অঞ্চল সভাপতি সহরুল বিশ্বাসকে ডেকে নিয়ে যায় একজন। ইংরেজবাজারের চৌত্রিশ নম্বর জাতীয় সড়ক লাগোয়া একটি হোটেলে দুপক্ষের মধ্যে শুরু হয় গণ্ডগোল। ধারাল অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয় সহরুলের মাথায়। পাল্টা হামলা চালায় সহরুলের গোষ্ঠীর লোকজন। চলে গুলিও। গুলিবিদ্ধ হয়েছেন রফিকুল ইসলাম ওরফে রাজেশ ও আরও এক তৃণমূল কর্মী। আশঙ্কাজনক অবস্থায় সহরুলকে একটি নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয়। রাজেশ সহ দুই তৃণমূল কর্মী মালদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিতসাধীন।
ঘটনার পিছনে কংগ্রেসের হাত রয়েছে বলে অভিযোগ সমাজকল্যাণ দফতরের মন্ত্রী তথা জেলা তৃণমূল সভানেত্রী সাবিত্রী মিত্রর। তবে এই দাবি খারিজ করেছেন রফিকুল ইসলাম ওরফে রাজেশের আত্মীয়।
ঘটনায় মূল অভিযুক্ত এসারুদ্দিনের নামে এর আগেও হামলার অভিযোগ উঠেছে। অন্যদিকে কালিয়াচকের সুলতানগঞ্জ কলেজে গুলি চালনার অভিযোগ ছিল সহরুলের বিরুদ্ধে। তাঁকে গ্রেফতারও করে পুলিস।