Lata Mangeshkar-Dharmendra: ৩ বার প্রস্তুতি নিয়েও লতার শেষকৃত্যে হাজির হতে পারেননি ধর্মেন্দ্র, কিন্তু কেন?
ধর্মেন্দ্র ও হেমা মালিনীর সঙ্গে লতা মঙ্গেশকরের পারিবারিক সম্পর্ক ছিল।
নিজস্ব প্রতিবেদন: রবিবার সকালে আরব সাগরের তীরে মনখারাপের হাওয়া, চোখের জলে সুরসম্রাজ্ঞী লতা মঙ্গেশকরকে(Lata Mangeshkar) বিদায় জানাল গোটা দেশ। কোভিডে আক্রান্ত হয়ে ২৮ দিন আগে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন কিংবদন্তি। এরপর নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হন। তাঁর চিকিৎসায় কোনও খামতি রাখেননি তাঁর চিকিৎসক। কিন্তু শেষরক্ষা হল না। তাঁর মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে আসে বলিউডে(Bollywood)।
লতা মঙ্গেশকরকে শেষবারের জন্য দেখতে, তাঁকে শ্রদ্ধা জানাতে তাঁর বাড়ি যান অনুপম খের, সঞ্জয় লীলা বনশালি, জাভেদ আখতার। শিবাজি পার্কে লতা মঙ্গেশকরের শেষকৃত্যে হাজির হন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি(PM Narendra Modi), মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে, এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ার, ক্রিকেটার শচিন তেন্ডুলকর(Sachin tendulkar), শাহরুখ খান (Shah Rukh Khan), রণবীর কাপুর (Ranbir Kapoor)। শিবাজি পার্কে তাঁর শেষকৃত্যে উপস্থিত হননি অমিতাভ বচ্চন(Amitabh Bachchan)। তিনি জানিয়েছেন, কোভিডের কারণেই ভীড়ে যাননি তিনি। লতার বাড়ি প্রভুকুঞ্জে গিয়েছিলেন অমিতাভ।
এদিনের অনেকের উপস্থিতির মাঝে দেখা মেলেনি লতা ঘনিষ্ঠ ধর্মেন্দ্রর (Dharmendra)। একটি সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, সকাল থেকে লতাকে শেষ দেখা দেখতে তিনবার প্রস্তুতি নিয়েছেন তিনি। কিন্তু প্রতিবারই যাওয়ার পরিকল্পনা বাতিল করেছেন নিজেই। তাঁর বক্তব্য, 'ওঁ আমাদের ছেড়ে চলে যাচ্ছে, এটা আমি দেখতে পারব না। এটা ভেবেই আমার অস্বস্তি হচ্ছিল। যখন থেকে এই খবরটা পেয়েছি তখন থেকেই শরীর খারাপ লাগছিল।'কিছুদিন আগেই ধর্মেন্দ্রর একটি মনখারাপ করা টুইট দেখে তাঁকে ফোন করেছিলেন তাঁর 'লতাদিদি'। প্রায় আধ ঘণ্টা ফোনে কথা বলেন তাঁরা। স্বভাবতই তাঁর মৃত্যুতে ভেঙে পড়েছেন ধর্মেন্দ্র।