মাদকাসক্তি থেকে নিজেকে বের করে এনেছেন, মুখ খুললেন অভিনেতা অনিন্দ্য ও গায়ক স্যমন্তক
২৬ জুন, আন্তর্জাতিক মাদক বিরোধী দিবসে সেই লড়াইয়ের কথাই সকলের সামনে তুলে ধরেছেন অভিনেতা অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়।
নিজস্ব প্রতিবেদন : বর্তমানে অভিনেতা হিসাবেই অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়কে সকলে চেনেন। বেশকিছু বাংলা ছবি ও ধারাবাহিকে অভিনয়ের জন্য প্রশংসিতও হয়েছেন অনিন্দ্য। তবে তাঁর প্রথম জীবন এতটাও সহজ ও সুন্দর ছিল না। একটা সময় তারকা নন, 'নেশারু' অনিন্দ্য হিসাবেই তকমা লেগে গিয়েছিল তাঁর গায়ে। সমাজচ্যুত হয়ে বাঁচতে হচ্ছিল। জীবন যখন প্রায় শেষ হওয়ার পথে, ঠিক তখন জীবনকে বদলে ফেলার পথে হাঁটেন তিনি। কীভাবে এই কঠিন লড়াইটা জিতলেন? ২৬ জুন, আন্তর্জাতিক মাদক বিরোধী দিবসে সেই লড়াইয়ের কথাই সকলের সামনে তুলে ধরলেন অভিনেতা অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়।
শুক্রবার সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেছেন অনিন্দ্য। যেখানে তিনি তাঁর অতীতটা সকলের সামনে এনেছেন কোনওরকম সংকোচ ছাড়াই। উদ্দেশ্য একটাই, যাঁরা তাঁরই মতো প্রতিনিয়ত নেশার সঙ্গে লড়াই করছেন, তাঁদের সাহায্য করা। অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়ের কথায়, স্কুলে পড়াকালীনই তিনি নেশার কবলে পড়েছিলেন। তাঁর জন্য তাঁর বাবা-মা বা পরিবারের কেউই মাথা উঁচু করে বাড়ির বাইরে বের হতে পারতেন না। আজ তাঁকে দেখলে অনেকে সেলফি তুলতে আসে। এখন পরিস্থিতিটা বদলে গিয়েছে। যাঁরা তাঁরই মতো নেশার কবলে পড়েছেন, তাঁদেরকেও সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়ার আহ্বান জানান অভিনেতা। প্রয়োজনে পুলিসের সাহায্য নেওয়ার কথাও বলেন তিনি। বর্তমানে তিনিই হয়ে উঠেছেন কলকাতা পুলিসের এই মাদক বিরোধী প্রচারের অন্যতম মুখ।
তবে শুধু অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়-ই নন, আন্তর্জাতিক মাদক বিরোধী দিবসে নিজের লড়াইয়ের কথা জানিয়ে ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়েছেন গায়ক স্যমন্তক সিনহা। তিনি ফেসবুকে লিখেছেন, ''আমি আসক্তি থেকে সুস্থ হয়ে ওঠার জন্য এই দিনটিকে উদযাপন করি। সকলকে অনুরোধ করব, সকলে যেন এই বিষয়টা বোঝার চেষ্টা করেন। মাদক কোনওদিনই আমায় সঙ্গীতের এই দক্ষতাকে বাড়িয়ে তোলেনি। বরং এটা সবকিছু শেষ করে দেয়।''
অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়, স্যমন্তক সিনহা-র মতোই হয়ত এমন অনেকেই রয়েছেন, যাঁরা এই লড়াইটা লড়ছেন। তাঁদের কাছেই অনুপ্রেরণা হয়ে উঠতে পারেন এই দুই শিল্পী।