সলমন-ক্যাটরিনা রোম্যান্স, অ্যাকশন সিকোয়েন্সে জমজমাট 'টাইগার জিন্দা হ্যায়'
অপেক্ষা শেষ, দীর্ঘ ৪ বছর পর পর্দায় ফিরল টাইগার। ২০১২-র কবির খান পরিচালিত 'এক থা টাইগার'-এর সিক্যুয়াল ২০১৭র 'টাইগার জিন্দা হ্যায়'। একসঙ্গে টানটান উত্তেজনা, রোম্যান্স থেকে শুরু করে এন্টারটেইনমেন্টের সব মশলাই রয়েছে এই ফিল্মে।
নিজস্ব প্রতিবেদন: অপেক্ষা শেষ, দীর্ঘ ৪ বছর পর পর্দায় ফিরল টাইগার। ২০১২-র কবির খান পরিচালিত 'এক থা টাইগার'-এর সিক্যুয়াল ২০১৭র 'টাইগার জিন্দা হ্যায়'। একসঙ্গে টানটান উত্তেজনা, রোম্যান্স থেকে শুরু করে এন্টারটেইনমেন্টের সব মশলাই রয়েছে এই ফিল্মে।
সিনেমার প্রেক্ষাপট
'টাইগার জিন্দা হ্যায়'-এর সিনেমার প্রেক্ষাপট বাস্তবের ঘটনা অবলম্বনেই তৈরি। ২০১৪ সালে ইরাকে ৪০ জন নার্সের অপহরণের ঘটনা ঘটে। যার মধ্যে বেশিরভাগই ছিলেন ভারতীয়। সেই অপহৃত নার্সদের উদ্ধার করতে গিয়ে কী ধরনের প্রতিকূলতার শিকার হয়েছিলেন ভারতীয় এজেন্ট সেটাকে ভিত্তি করেই তৈরি হয়েছে সিনেমার গল্প।
সিনেমার গল্প
'এক থা টাইগার'এ দেখা গিয়েছিল ভারতীয় গোয়ান্দা সংস্থা 'র'-এর এজেন্ট টাইগার (সলমন) ও পাকিস্তানি আইএসআই এজেন্ট জোয়া (ক্যাটরিনা) কিউবাতে গিয়ে দিব্যি সংসার করছে। সিক্যুয়াল 'টাইগার জিন্দা হ্যায়' এর গল্প শুরু হয়েছে সেখান থেকেই। সুখে সংসার করতে থাকা টাইগার ও জোয়ার জীবন হঠাৎই বদলে দেয় ইরাকের একটি ঘটনা। ইরাকের জঙ্গি সংগঠন বেশকিছু নার্সকে অপহরণ করেছে বলে খবর মেলে। তাঁদেরকে উদ্ধার করতেই 'র'-এর এর প্রধান শেনয় ( গিরীশ কারনাদ) ফের টাইগারকে এই মিশনে যুক্ত করার কথা ভাবে। ওই হাসপাতালেই আটকে ছিলেন পাকিস্তানি বেশকিছু নার্স। তাঁদেরকে উদ্ধারের জন্য জোয়াকে পাঠানোর কথা ভাবা হয়।
কিন্তু টাইগারকে কি খুঁজে পাবে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা 'র'-এর এর প্রধান শেনয়? টাইগার (সলমন) কি এই মিশনের জন্য তাঁর পাকিস্তানি স্ত্রী জোয়া ও তাঁর সন্তানকে ছেড়ে চলে আসবে? তাঁদের দু'জনের ভালোবাসার মধ্যে কী কী প্রতিকূলতা আসবে? কীভাবেই বা জঙ্গিদের হাত থেকে উদ্ধার করা হবে ভারতীয় নার্সদের এই নিয়েই এগিয়েছে সিনেমার গল্প।
তবে গল্পের পরিণতি কী হবে তা না হয় নাই বা বললাম, এটা জানতে হলে দেখতে হবে 'টাইগার জিন্দা হ্যায়'।
বিশ্লেষণ
সিনেমার প্রথমার্ধ সুন্দরভাবে এগোলেও দ্বিতীয়ার্ধে গল্প একটু বেশিই টানা হয়েছে বলে মনে হয়েছে। ৮ বছর আগে টাইগার ও জোয়াকে মৃত ঘোষণা করা হলেও হঠাৎ কীভাবে 'র'-এবং 'আইএসআই'- কীভাবে তাঁদেরকে খুঁজে পেল এই বিষয়টি একটু নাটকীয় লেগেছে।
তবে হ্যাঁ পুরো সিনেমায় সলমন, ক্যাটরিনাকে বেশ সুন্দরভাবে কাজে লাগিয়েছেন পরিচালক আলি আব্বাস জাফর। এই ফিল্মে সলমনের থেকেও বেশি অ্যাকশনে দেখা গেছে ক্যাটকে, যা অবশ্যই দর্শকদের মন জয় করবে। পাশাপাশি সলমন, ক্যাটরিনা এবং জঙ্গি বেশে অভিনেতা আবু উসমানের অভিনয়ও বেশ প্রশংসনীয়। তবে চিত্রনাট্যে কোথাও একটা খামতি যেন রয়েই গেছে। তবে টিপিক্যাল এন্টারটেইনমেন্টের জন্যই সিনেমাটি যাঁরা দেখবেন তাঁদের অবশ্য সিনেমাটি মন্দ লাগবে না।
আর হ্যাঁ, সিনেমায় বেশকিছু রোম্যান্টিক গান দর্শকদের মন কাড়বে তা বলাই বাহুল্য। সব মিলিয়ে সলমন ও ক্যাটরিনার 'টাইগার জিন্দা হ্যায়'কে ৫ এর মধ্যে ২.৫ দেওয়াই যায়।