অন্ধকার সুড়ঙ্গের মধ্যে হামাগুড়ি দিচ্ছি, মুখ খুললেন 'নিরব' অক্ষয়ের স্ত্রী
এবার এই ইস্যুতে সরব হলেন প্রাক্তন অভিনেত্রী তথা লেখিকা টুইঙ্কেল খান্না।
নিজস্ব প্রতিবেদন: CAA এবং NRC ইস্যুতে দেশের বিভিন্ন জায়গায় বিরোধিতায় নেমেছেন বহু মানুষ। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় চত্ত্বরেও চলছে প্রতিবাদ। এনিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের মতামত জানিয়েছেন বলিউড সেলিব্রিটিরাও। অনুরাগ কশ্যপ, রাজকুমার রাও, ভিকি কৌশল, পরিণীতি চোপড়া, আয়ুষ্মান খুরানা, মহেশ ভাট, আলিয়া ভাটরা এনিয়ে মুখ খুলেছেন আগেই। এবার এই ইস্যুতে সরব হলেন প্রাক্তন অভিনেত্রী তথা লেখিকা টুইঙ্কেল খান্না।
CAA এবং NRC ইস্যুতে নিজের সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলে টুইঙ্কেল লিখেছেন, ''যেভাবে হিংসাত্মক ভাবে আমাদের ছাত্রছাত্রীদের মুখ বন্ধ করে দেওয়ার চেষ্টা চলছে সেটা খানিকটা অন্ধকার সুড়ঙ্গের মধ্যে হামাগুড়ি দিয়ে চলার মতো। আমি ধর্ম নিরপেক্ষ গণতান্ত্রিক ভারতের পক্ষে, যেখানে শান্তিপূর্ণভাবে থাকাই আমাদের সাংবিধানিক অধিকারের মধ্যে পড়ে।। ''
আরও পড়ুন-''আপনিও তো জামিয়া মিলিয়ার ছাত্র, কিছু তো বলুন?'' শাহরুখকে প্রশ্ন রোশন আব্বাসের
গত সপ্তাহেও CAA ও NRC-ইস্যুতে মুখ খুলেছিলেন টুইঙ্কেল খান্না, তিবি বলেছিলেন, ধর্ম, বর্ণ, জাতীয় সামাজিক কাঠামোর উপর ভিত্তি করে বৈষম্য তৈরি করা নৈতিক এবং মৌলিক অধিকারের পরিপন্থী।
প্রসঙ্গত, জমিয়া মিলিয়ার পড়ুয়াদের উপর পুলিসের লাঠিচার্জের টুইঙ্কেল খান্না মুখ খুললেও তাঁর স্বামী অক্ষয় কুমারের এবিষয়ে চুপ থাকা নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন। এদিকে জামিয়ার (Students) পড়ুয়াদের নিয়ে ব্যাঙ্গাত্মক পোস্টে লাইক করায় একহাত নেওয়া হয় অক্ষয় কুমারকে। ওই ঘটনায় অভিনেতাকে মেরুদণ্ডহীন বলেও করা হয় কটাক্ষ। যদিও অক্ষয় বার বার দাবি করেন, ইন্টারনেটে বিভিন্ন জিনিস সার্চ করার সময় ভুল করে ওই পোস্টে লাইক করে বসেন তিনি। আর এরপরই সোশ্যাল মিডিয়ায় অক্ষয়কে মেরুদণ্ডহীন বলে আক্রমণ করেন অনেকে। আর অক্ষের স্ত্রী টুইঙ্কেল দ্বিতীয় টুইটটি করেন এই ঘটনার ঠিক তিনদিন পর।
এর আগে জাতীয়তাবাদ প্রসঙ্গে অক্ষয় বলেছিলেন, ''আমি বিশ্বাস করি না দেশ তোমায় কী দিয়েছে তা নিয়ে চিন্তা করায়, দেশকে তুমি কী দিতে পারছো, সেটা ভাবা উচিত। ঠিক যেমনটা একটা ক্রিকেট টিমে অধিনায়কের কথাই টিমকে শুনতে হয়। ''