সতর্ক না হলে নিত্য ব্যবহারের অলঙ্কার থেকেও রয়েছে সংক্রমণের আশঙ্কা!
আসুন জেনে নেওয়া যাক এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক (মেডিসিন) ডঃ অরিন্দম বিশ্বাসের মতামত ও পরামর্শ...
সুদীপ দে: এ পর্যন্ত সারা বিশ্বে ১২ লক্ষ ৭৪ হাজার ৯০৪ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন, এদের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ৬৯ হাজার ৪৯৩ জনের। সবচেয়ে আতঙ্কের বিষয় হল, এখনও পর্যন্ত এই ভাইরাসের কোনও টিকা বা ওষুধ আবিষ্কার করা যায়নি। এখনও এই বিষয়ে গবেষণা চালাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা।
ম্যালেরিয়া আর এইচআইভি-র ওষুধ প্রয়োগ করে বিকল্প পদ্ধতিতে করোনা আক্রান্তের চিকিৎসা চালাচ্ছেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের চিকিৎসকরা। তা সত্ত্বেও উদ্বেগ ক্রমশ বেড়েই চলেছে। এই পরিস্থিতিতে পরিচ্ছন্নতা আর সাবধানতাই এই ভাইরাসের প্রকোপ থেকে দূরে থাকার অন্যতম উপায়।
তবে এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক (মেডিসিন) ডঃ অরিন্দম বিশ্বাসের মত, শুধু বার বার হাত, মুখ ধুলেই নিশ্চিন্ত হওয়া যাবে না। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে জামা-কাপড়, ঘড়ি, চশমা, মোবাইল ফোন এমনকি আংটি, গলার চেন, কানের দুল— এগুলিও।
ডঃ বিশ্বাস জানাচ্ছেন, আংটি, গলার চেন, কানের দুল ইত্যাদি অলঙ্কারও এই সময় নিয়মিত পরিষ্কার রাখতে হবে। নাহলে সেগুলির ফাঁকেও বাসা বাঁধতে পারে বিভিন্ন জীবানু। আর এই সব লুকিয়ে থাকা জীবানুই খাওয়ার সময় কোনও ভাবে খাবারের সঙ্গে চলে যেতে পারে আমাদের শরীরের ভিতরে।
আরও পড়ুন: আন্দাজে ওষুধ খাওয়ার অভ্যাসে লাগাম দিন, নইলে মৃত্যুও হতে পারে!
ডঃ বিশ্বাস জানান, এই সময় অন্যান্য অলঙ্কারের তুলনায় হাতের আংটি বা বিভিন্ন, মাদুলি, কবচ ইত্যাদিকে নিয়মিত পরিষ্কার রাখতে হবে। না হলে সেগুলি থেকেও সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কা থেকেই যায়! সোনা বা রুপোর মতো ধাতুতে COVID-19-এর মতো ভাইরাস বেশিক্ষণ বেঁচে থাকতে না পারলেও যে কোনও রকম সংক্রমণ এড়াতে আগে ভাগেই থেকেই সতর্ক হওয়া জরুরি।
তাই ডঃ বিশ্বাসের পরামর্শ, এই সময়টায় যে কোনও রকম অলঙ্কারই পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। তবে যদি সম্ভব হয় তো সেগুলিকে আপাতত খুলে রাখাই ভাল।