WHO on Antibiotics:বহু ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণে কাজই করছে না অ্যান্টিবায়োটিক, ভয়ঙ্কর পরিণতির কথা শোনাল WHO
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ওই রিপোর্ট বলছে ওই দুই প্রাণঘাতী ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণে অ্য়ান্টি বায়েটিক কাজ করে কোথাও ৪২ শতাংশ, কোথায় ৩৫ শতাংশ। তবে বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা এই হার তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলিতে অনেক বেশি
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: কথায় কথায় চিকিত্সকদের অ্যান্টি বায়োটিক খেতে বলা বা নিজেরাই ওষুধের দোকান থেকে কিনে খেয়ে ফেলা যেন এখন স্বাভাবিক হয়ে গিয়েছে। অনেক সময় চিকিত্সকরাই বলে থাকেন, এভাবে মুড়ি মুড়কির মতো অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়া ঠিক নয়। অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্সের কথাও শোনা যায়। কিন্তু কে শোনে কার কথা। তবে বিশ্ব স্বাস্থ্যসংস্থার একটি সাবধানবাণী শুনলে ভয় পেয়ে যেতে পারেন। দুনিয়ার ১২৭টি দেশের পরিসংখ্যান নিয়ে অ্য়ান্টিবায়োটিকের উপরে একটি রিপোর্ট তৈরি করেছে হু। ওই রিপোর্টির নাম GLASS রিপোর্ট। সেখানে ভয় পাইয়ে দেওয়ার মতো কথা শুনিয়ে দিয়েছে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা।
আরও পড়ুন-তৃণমূল নেতাদের গাছে বেঁধে রাখুন, নিদান ওন্দার বিজেপি বিধায়কের
কী রয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্যসংস্থার ওই রিপোর্টে? ওইসব দেশে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ভর্তি হওয়ার রোগীদের ৫০ শতাংশ আক্রান্ত হচ্ছেন প্রধানত দু'ধরনের ব্যাকটেরিয়া দ্বারা। ওই সংক্রমণ পৌঁছে যাচ্ছে রক্তেও। কিন্তু ভয়ঙ্কর বিষয়টি হল, ওইসব আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে এমন ৮ শতাংশ রোগী রয়েছেন যাদের শরীরে Carbapenem গ্রুপের ওষুধ অর্থাত্ আধুনিক অ্য়ান্টিবায়োটিক কাজ করছে না। ফলে রোগীর মৃত্যু হচ্ছে। একাধিক ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণে এই আধুনিক অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করা হয়। গণোরিয়া সংক্রমণের ৬০ শতাংশ ক্ষেত্রে এই অ্যান্টি বায়োটিক কাজ করে না।
ই-কোলাই সংক্রমণে ২০ শতাংশ ক্ষেত্রে বহু অ্যান্টিবায়োটিক কাজ করছে না। প্রস্রাব নালির সংক্রমণের বহু ক্ষেত্রে দায়ী এই ই-কোলাই। এই ধরনের সংক্রমণে প্রথম ও দ্বিতীয় প্রজন্মের অধিকাংশ অ্যান্টিবায়োটিক কাজ করে না। এমনটাই বলছে হু-র রিপোর্ট। ২০১৭ সালের সঙ্গে ২০২২ সালের পরিসংখ্যান তুলনা করলে দেখা যাবে রক্তে পৌঁছে যাওয়ার মতো ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশনের পরিমাণ অন্তত ১৫ শতাংশ বেড়ে গিয়েছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ওই রিপোর্ট বলছে ওই দুই প্রাণঘাতী ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণে অ্য়ান্টি বায়েটিক কাজ করে কোথাও ৪২ শতাংশ, কোথায় ৩৫ শতাংশ। তবে বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা এই হার তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলিতে অনেক বেশি।
বর্তমান বিশ্বের জন্য যেকটি ইস্যুকে বিপজ্জনক বলে মনে করা হচ্ছে তার মধ্যে রেয়েছে এই অ্যান্টিবায়োটিকের রেজিস্ট্যান্স বা অ্যান্টিবায়েটিকের কাজ না করা। ল্যানসেটের একটি পরিসংখ্যান অনুয়ায়ী, ২০১৯ সালে গোটা বিশ্বে ১২ লাখ ৭০ হাজার মানুষ মারা গিয়েছিলেন শুধুমাত্র এই অ্য়ান্টিবায়েটিক কাজ না করার কারণে। অর্থাত্ এমন একটা সময়ে আমরা চলে এসেছি যেখানে হাসপাতালে ভর্তি হলে ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশনের একটা প্রবল সম্ভাবনা থেকে যাচ্ছে। সেক্ষেত্রে ওষুধ দেওয়া হলেও তা কাজ করবে না। ফলে মারা যাবে রোগী।