হাই পি এল অফ আইপিএল

আইপিএল সিক্সের প্রথম দুটো সপ্তাহ খারাপ গেল না। গেইলের ছক্কা, নারিনের বলা বাকিরা অক্কা, অমিতের হ্যাটট্রিকের খিদে, বিরাটের ব্যাটে বোলাররা সিদে। সবই হচ্ছে। কিন্তু কোথাও কোথাও আইপিএল দেখে একটু হাই পাচ্ছে বই কি। আইপিএলে আই রেখে যেসব বিষয়ে হাই আসছে সেসব নিয়েই এই প্রতিবেদন

Updated By: Apr 20, 2013, 05:24 PM IST

পার্থ প্রতিম চন্দ্র
আইপিএল সিক্সের প্রথম দুটো সপ্তাহ খারাপ গেল না। গেইলের ছক্কা, নারিনের বলা বাকিরা অক্কা, অমিতের হ্যাটট্রিকের খিদে, বিরাটের ব্যাটে বোলাররা সিদে। সবই হচ্ছে। কিন্তু কোথাও কোথাও আইপিএল দেখে একটু হাই পাচ্ছে বই কি। আইপিএলে আই রেখে যেসব বিষয়ে হাই আসছে সেসব নিয়েই এই প্রতিবেদন---
নভোজিত্‍ সিং সিধু- মাঠে বোলারদের ডেলিভারি বুঝতে না পারলেও টিআরপি কিসে আসবে সেটা বেশ ধরে ফেলেছিলেন সিধু। দর্শকদের মন জিততে বই পড়ে শায়রি মুখস্থ করেছেন বেশ কয়েকটা, হাত পাও নাড়া শিখেছেন। তবে কথায় বলে না অল্প বিদ্যা ভয়ঙ্করি। সেটাই সিধুর ক্ষেত্রে হয়েছে। এ বিষয়ে সিধুর বিদ্যা বেশ অল্প। তাই শায়রিগুলো বেশ পুরনো হয়ে গেছে। `ঠোকো জি`, `এ গুরু`, `কেয়া বাত` এই সব বাজার চলতি প্রশংসাগুলো সিধুর মুখে শুনে শুনে কানে জং ধরে গেছে। পুরনো শায়রি দিয়ে আর চলছে না। সিধু তাই আইপিএলের হাই পি এল।
শ্রীসন্থের চড়-- চড় খেয়ে বিস্তর ফুটেজ খেয়েছিলেন শ্রীসন্থ। মাঝে দলে সুযোগ পেয়েছিলেন, ছিটকেও গিয়েছিলেন। একটা ম্যাচে বিস্তর মার খেয়েও বিশ্বকাপ জয়ী দলের সদস্য। তবে এখন আর ধোনির সংসারে সুযোগ পাবেন বলে মনে হয় না। তাই চড় কাণ্ড ফিরিয়ে আনলেন পাঁচ বছর পর। তাতে লাভ হল না। বোর্ডের ধমক খেলেন, সেভাবে প্রচারও পেলেন না। শ্রীসন্থ সত্যি হাই এনে দিচ্ছেন।

কমেন্ট্রি- আইপিএলের কমেন্ট্রি বাকি আর পাঁচটা ক্রিকেট টুর্নামেন্টের চেয়ে আলাদা হবে সেটাই স্বাভাবিক। আইপিএলের প্রথম দুটো সংস্করণে সেটা হয়ে ছিল। কিন্তু এবার আইপিএলের বিভিন্ন ম্যাচের ধারাভাষ্য/কমেন্ট্রি বড্ড একঘেয়ে। খেলার মাঝে মাঠের ধার থেকে বিভিন্ন সময় ক্রিকেটারদের সঙ্গে গল্পগুজবটাও একদম জমে না। মাত্র কুড়ি ওভারের ম্যাচে দ্বিতীয় ইনিংসে পিচের কি রকম পরিবর্তন আসবে তা নিয়েও যেভাবে বিশেষজ্ঞরা যেভাবে আলোচনা করছেন সেটাও বেশ ঘুম পাড়াচ্ছে। ক্রিকেটীয় দিক নিয়ে কচকচানিটাও বেশ ঘুমপাড়ানি। সব মিলিয়ে এবারের আইপিএল কমেন্ট্রি বেশ হাই পি এল।
রিকি পন্টিং-- দেশের জার্সিতে যতই বিত্তবান হোন, আইপিএলের দুনিয়ায় পন্টিং নেহাতই চালচুলোহীন ভিখারি। সেটা এবারও প্রমাণ হচ্ছে। যেভাবে ব্যাট হাতে নাজেহাল হচ্ছেন, কে বলবে এঁনারই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে চল্লিশ হাজার রান আছে। পন্টিংয়ের ব্যাটিং সত্যি ঘুমপাড়িয়ে দিচ্ছে।
তারকাদের উপস্থিতি-- একটা সময় এঁদের দেখেই টিভিতে বলত এই দেখ অর্জুন রামপাল, ওই দেখ অনু মালিকষ এ বাবা ওই তো ওমুক... এখন তারকাদের উপস্থিতিটা দেখতে দেখতে চোখ সোওয়া হয়ে গেছে। খেলার মাঝে টিভি ক্যামেরায় মুখ ধরলেও এখন আর সেভাবে লাফিয়ে ওঠে না।

বিজ্ঞাপন- টিভিতে খেলার ফাঁকে ওভার শেষে কিংবা উইকেট পতনের পর বিজ্ঞাপনটাও
একটু অন্য বিনোদন নিয়ে আসে। বড় প্রতিযোগিতায় বিজ্ঞাপনও বিনোদনের দারুণ
একটা মাধ্যম হয়। এবার আইপিএলের বিভিন্ন ম্যাচের মাঝে টিভিতে বিজ্ঞাপনগুলো
বেশ ম্যাড়ম্যাড়ে। বেশিরভাগ বিজ্ঞাপন তো দেখাই যাচ্ছে না। শাহরুখ যে
ঠান্ডা পানীয়র হয়ে বিজ্ঞাপন করছেন সেটা বেশ সাধারণ, ফারহা খানের `ঝাম্পিং
ঝাপাং`হিট হলেও দারুণ কিছু নয়।

.