ISF-র সঙ্গে জোট ছিল না: Adhir; তাহলে ভোটের কাজে লাগালেন কেন? প্রশ্ন নওশাদের
অধীরের (Adhir Chowdhury) এই বক্তব্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন ভাঙড়ের আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী (Naoshad Siddique)।
নিজস্ব প্রতিবেদন: কংগ্রেস ও ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের পরস্পরবিরোধী মন্তব্য বিভ্রান্তি তৈরি করেছে জনমানসে। একথা বলা হয়েছে ভোট পর্যালোচনায় সিপিএমের খসড়া রিপোর্টে। এনিয়ে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে সোমবার অধীর চৌধুরী (Adhir Chowdhury) দাবি করেন, আইএসএফের সঙ্গে জোট ছিল না কংগ্রেসের। তার পাল্টা আইএসএফের চেয়ারম্যান নওশাদ সিদ্দিকী (Naoshad Siddique) প্রশ্ন করেন, জোট না হলে প্রদীপ ভট্টাচার্য ও আবদুল মান্নানরা কেন বৈঠক করেছিলেন?
প্রাক ভোটপর্বে মালদহ ও মুর্শিদাবাদে আইএসএফের (ISF) সঙ্গে সংঘাত তৈরি হয়েছিল কংগ্রেসের (Congress)। ব্রিগেড সমাবেশে সেই সংঘাত আরও সুস্পষ্ট হয়ে ওঠে। আব্বাস সিদ্দিকী মঞ্চে উঠতেই ভাষণ অসমাপ্ত রেখে পোডিয়াম ছাড়তে উদ্যত হন অধীর (Adhir Chowdhury)। তাঁকে কোনওক্রমে বিরত করেন বিমান-সেলিমরা। এরপর আব্বাস সিদ্দিকী তাঁর ভাষণে নাম না করে বিঁধেছিলেন কংগ্রেসকে। ওই ঘটনায় প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি দাবি করেন, আইএসএফের সঙ্গে কোনও কথা হয়নি তাঁর। সিপিএমের সঙ্গে জোট হয়েছে তাঁদের। ভোটে সংযুক্ত মোর্চার ছায়াতলে লড়াই করলেও সে কথার পুনরাবৃত্তি শোনা গেল তাঁর মুখে। সোমবার প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি বলেন,''সিপিএমের বিবৃতিতে কী রয়েছে তা জানি না। আমাদের কাছে তা নেই। আমরা ভোটের আগে ঘোষণা করে দিয়েছিলাম যে আইএসএফের সঙ্গে জোট হয়নি। ভোটের পর বা হারার পর এটা বলছি না। ভোটের আগেই ঘোষণা করেছিলাম। সেজন্য আইএসএফ মুর্শিদাবাদ জেলায় আমাদের বিরুদ্ধে প্রার্থীও দিয়েছিল। কংগ্রেস আইএসএফের সঙ্গে ছিল না, এখনও নেই। আগামী দিনেও থাকবে না।''
অধীরের এই বক্তব্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন ভাঙড়ের আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী (Naoshad Siddique)। Zee ২৪ ঘণ্টা ডিজিটালকে তিনি বলেন,''আব্দুল মান্নান,প্রদীপ ভট্টাচার্যদের কাছে ব্যাপারটা জেনে নেওয়া দরকার ওঁর। তাঁদের সঙ্গে বৈদ্যবাটি ও আলিমুদ্দিন স্ট্রিটে সিপিএমের অফিসে জোট নিয়ে আলোচনা হয়েছিল। মান্নান ও প্রদীপই বলুন, জোট হয়েছে না, হয়নি! জোট যদি না-ই হবে বারবার আমাদের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন কেন? কেন সাত্তার সাহেবের জন্য উত্তর ২৪ পরগনার বাদুড়িয়া বিধানসভায় আইএসএফ-কে কাজে লাগালেন? ভোটে ভরাডুবির পর কারও উপরে দায় চাপিয়ে দেওয়া অনুচিত। মানুষের কাছে পৌঁছতে পারিনি। এটা সকলের ব্যর্থতা।''
আইএসএফ সূত্রের খবর, জোটে তাদের টানতে সিপিএমের তরফে মহম্মদ সেলিম ও কংগ্রেসের হয়ে প্রদীপ ভট্টাচার্য ও আবদুল মান্নানরা যোগাযোগ রেখে চলেছিলেন। আইএসএফ-কে ৮টি আসন ছাড়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন কংগ্রেস নেতারা। মুর্শিদাবাদ ও মালদহে কংগ্রেসের ঘাঁটিতে আইএসএফ আসন দিতে চাইলে মধ্যস্থতা করতে এগিয়ে আসেন আবদুল মান্নান। অথচ অধীর চৌধুরী আজ বলছেন, আইএসএফের সঙ্গে জোট হয়নি! প্রশ্ন উঠছে, ভোটের আগে কেন কংগ্রেস স্পষ্ট করে দেয়নি? আর আইএসএফ যে কংগ্রেস ও বামেদের সংযুক্ত মোর্চায় ছিল তার প্রচারও চলেছে নেটমাধ্যম থেকে মাঠে-ময়দানে। এমনকি ভোটে হারার পর অধীরকে (Adhir Chowdhury) নাম না করে নিশানা করেন কংগ্রেস নেতা আনন্দ শর্মা। টুইট করেন, আইএসএফের মতো কট্টর সংগঠন কংগ্রেসের ধর্মনিরপেক্ষ আদর্শের পরিপন্থী। এই ধরনের জোটের আগে ওয়ার্কিং কমিটির অনুমোদন নেওয়ার দরকার ছিল। তখন অধীর সংবাদ মাধ্যমে জানান,'দিল্লির অনুমোদন ছাড়া কোনও সিদ্ধান্ত নিইনি।'
আরও পড়ুন- অবসরের পরেও তদন্তের মুখে Alapan; জবাব না দিলে একতরফা ব্যবস্থা, কড়া কেন্দ্র