'মোদীর দেখানো মন্ত্রিত্বের লোভে পা দিয়েছেন জ্যোতিরাদিত্য', বিজেপিকে চাঁছাছোলা আক্রমণ অধীরের
বলেন, সাম্প্রতিককালে রাজনীতিতে বিজেপি এটা একটা নতুন চাল আমদানি করেছে। যেখানেই বিরোধীদের সরকার রয়েছে, সেখানেই বিজেপি চেষ্টা করছে সেই সরকার ফেলে দেওয়ার।
নিজস্ব প্রতিবেদন : জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার (Jyotiraditya Scindia) কংগ্রেসের সঙ্গ ত্যাগ দলের জন্য বড় ক্ষতি। মাধবরাও সিন্ধিয়া পুত্রের কংগ্রেস থেকে ইস্তফা দেওয়ার ঘটনায় বললেন কংগ্রেস সাংসদ অধীররঞ্জন চৌধুরী। পাশাপাশি, চাঁছাছোলা ভাষায় আক্রমণ শাণালেন বিজেপির উদ্দেশে।
লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা অধীর চৌধুরী (Adhir Chowdhury) বলেন, "কংগ্রেস দলে অনেক গুরুত্বপূর্ণ পদের দায়িত্ব সামলেছেন সিন্ধিয়াজি। সবার কাছেই সম্মানের ছিলেন তিনি।" সেখানে এভাবে জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার কংগ্রেস ত্যাগের পিছনে নরেন্দ্র মোদীর 'মন্ত্রিত্বের লোভ দেখানো' কাজ করেছে বলেও মন্তব্য করেন অধীর। বলেন, "হতে পারে তাঁকে মন্ত্রিত্বের লোভ দেখিয়েছেন মোদিজী। আর তিনি সেই ফাঁদে পা দিয়েছেন। আমরা জানি, সিন্ধিয়া পরিবারের সঙ্গে BJP-র যোগাযোগ বহু দশকের। তবে নিঃসন্দেহে এটা বড় ক্ষতি।" যদিও, কংগ্রেস (Congress) ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান প্রসঙ্গে জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া নিজে এখনও মুখ খোলেননি।
Adhir Ranjan Chaudhary, Congress leader in Lok Sabha: Scindia ji held many senior posts in Congress party and was well respected, maybe he got lured by the offer of ministership given by Modi ji. We know his family has been associated with BJP for decades,but yet it is a big loss pic.twitter.com/OKpDREjgHG
— ANI (@ANI) March 10, 2020
অধীর চৌধুরী আরও বলেন, এরপর মধ্যপ্রদেশে আর কংগ্রেস সরকার থাকবে না বলেই তিনি মনে করেন। পাশাপাশি, এই ঘটনায় তিনি কড়া ভাষায় তোপ দাগেন বিজেপির প্রতি। কংগ্রেস সাংসদ বলেন, সাম্প্রতিককালে রাজনীতিতে বিজেপি এটা একটা নতুন চাল আমদানি করেছে। যেখানেই বিরোধীদের সরকার রয়েছে, সেখানেই বিজেপি চেষ্টা করছে সেই সরকার ফেলে দেওয়ার।
Adhir Ranjan Chaudhary, Congress leader in Lok Sabha: So yes it will indeed be a loss to our party and I don't think our Govt in Madhya Pradesh will survive. This is the present-day politics of BJP, always tries to topple and destabilize opposition govts https://t.co/XkiPiEwIjO pic.twitter.com/kM7RSbZihn
— ANI (@ANI) March 10, 2020
প্রসঙ্গত, এ দিন সকালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে সাক্ষাত্ করার পরই ইস্তফা দেন জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া। ইস্তফাপত্রে তিনি লেখেন, গত ১৮ বছর ধরে কংগ্রেসের একনিষ্ঠ কর্মী হিসাবে কাজ করেছেন। কিন্তু সময় এসেছে কংগ্রেস ছাড়ার। গত এক বছর ধরে দলের মধ্যে যে টালমাটাল অবস্থা চলছে, তা উল্লেখ করে জ্যোতিরাদিত্য বলেন, দলে থেকে রাজ্য এবং দেশের মানুষের জন্য কিছু করা সম্ভব নয়। নতুন ভাবে শুরু করার কথা বলেন তিনি। এরপরই তাঁকে বহিষ্কার করা হয় কংগ্রেস থেকে।
আরও পড়ুন, গত ১৫ বছরে অজ্ঞাত উত্স থেকে ১১,২৩৪ কোটি টাকা তুলেছে জাতীয় দলগুলি, জানাল এডিআর
আরও পড়ুন, দলের নাম 'Plurals', নিজেকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী ঘোষণা তরুণীর
দুপুর ১২টা নাগাদ, কংগ্রেস সভাপতি সনিয়া গান্ধীর কাছে তাঁর ইস্তফাপত্র পাঠিয়ে দেন জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া। কিন্তু সেই ইস্তফাপত্র গ্রহণ না করে, জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়াকে সরাসরি বহিষ্কার করা হয় কংগ্রেস থেকে। জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া ইস্তফাপত্র পাঠানোর মিনিট খানেকের মধ্যেই কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক কেসি বেণুগোপাল এক বিবৃতি দিয়ে জানিয়ে দেন, দল-বিরোধী কার্যকলাপের জন্য তাঁকে বহিষ্কার করা হচ্ছে। উল্লেখ্য, বিগত লোকসভা নির্বাচনে উত্তরপ্রদেশে কংগ্রেসের হয়ে প্রচারের দায়িত্বে ছিলেন জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া।