এপিডিআর মাওবাদীদের মুখোশ: মুখ্যমন্ত্রী

রিজওয়ানের মৃত্যু অথবা সিঙ্গুর-নন্দীগ্রামের আন্দোলন। বারবারই তৃণমূল নেত্রীর পাশে দেখা গেছে এপিডিআরকে। সোমবার এপিডিআর সহ আরও বেশকিছু সংগঠনকে মাওবাদীদের মুখোশ বলে সরাসরি অভিযোগ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর মতে, এই সংগঠনগুলি দীর্ঘদিন ধরেই মাওবাদীদের মদত দিয়ে আসছে। আজ এপিডিআরের ডাকা এক সাংবাদিক সম্মেলনে হাজির ছিলেন বিশিষ্ট সাহিত্যিক মহাশ্বেতা দেবীও।

Updated By: Nov 21, 2011, 09:26 PM IST

রিজওয়ানের মৃত্যু অথবা সিঙ্গুর-নন্দীগ্রামের আন্দোলন। বারবারই তৃণমূল নেত্রীর পাশে দেখা গেছে এপিডিআরকে। সোমবার এপিডিআর সহ আরও বেশকিছু সংগঠনকে মাওবাদীদের মুখোশ বলে সরাসরি অভিযোগ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর মতে, এই সংগঠনগুলি দীর্ঘদিন ধরেই মাওবাদীদের মদত দিয়ে আসছে। আজ এপিডিআরের ডাকা এক সাংবাদিক সম্মেলনে হাজির ছিলেন বিশিষ্ট সাহিত্যিক মহাশ্বেতা দেবীও। বর্তমান সরকার সম্পর্কে কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন তিনি। মহাশ্বেতার দেবীর এই মন্তব্যের পর মুখ্যমন্ত্রী পাল্টা প্রতিক্রিয়া, তিনি মোটেই ভালভাবে গ্রহণ করছেন না তাঁর এই মন্তব্য। সংঘাত শুরু হয়েছিল বেশকিছুদিন আগেই। লালগড় নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর কিছু উদ্যোগের তারা যে বিরোধী তা প্রকাশ্যেই বলতে শুরু করেছিল বামবিরোধী আন্দোলনে তৃণমূলের একসময়ের সঙ্গী এপিডিআর সহ বেশকিছু সংগঠন। মেট্রো চ্যানেলে একটি সভাও করতে চেয়েছিলেন তাঁরা। কিন্তু অনুমতি দেয়নি প্রশাসন। এর প্রতিবাদেই এপিডিআরের সাংবাদিক সম্মেলন। হাজির ছিলেন এপিডিআর ঘনিষ্ঠ মহাশ্বেতা দেবী। সরকারকে ফ্যাসিস্ট বলে সমালোচনা করেন তিনি। তবে তাদের সঙ্গে মাওবাদীদের নাম জড়িয়ে দেওয়ায় ক্ষুব্ধ এপিডিআর সংগঠকরা। মুখ্যমন্ত্রী কিন্তু তাঁর সিদ্ধান্তে অনড়। তাঁর দাবি, সমস্ত তথ্য রয়েছে হাতে। যারা মাওবাদীদের কোনওভাবে সাহায্য করবে তাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সাংবাদিকদের প্রশ্ন ছিল, এপিডিআর যে আসলে মাওবাদীদের মুখোশ সেটা কবে থেকে জানতেন মুখ্যমন্ত্রী। এর অবশ্য কোনও জবাব দেননি।

.