জাল শংসাপত্রের সক্রিয় প্রভাব বিচার ব্যবস্থাতে। জাল সার্টিফিকেট কোর্টে দেখিয়ে স্বামীর কাছে খোরপোষের টাকা নিলেন স্ত্রী
জন্ম বা মৃত্যুর জাল সার্টিফিকেট চাই? মাত্র কয়েক হাজার টাকা খরচ করলেই কিন্তু তা মিলবে হাতেনাতে। সেই সার্টিফিকেট এতটাই নিখুঁত যে আদালতও সহজেই জাল সার্টিফিকেটকেই আসল বলে মেনে নিতে দ্বিধা করে না।
জন্ম বা মৃত্যুর জাল সার্টিফিকেট চাই? মাত্র কয়েক হাজার টাকা খরচ করলেই কিন্তু তা মিলবে হাতেনাতে। সেই সার্টিফিকেট এতটাই নিখুঁত যে আদালতও সহজেই জাল সার্টিফিকেটকেই আসল বলে মেনে নিতে দ্বিধা করে না।
সম্প্রতি একটি খোরপোষ মামলার রায় নিয়ে এই ঘটনা সামনে এনেছে। স্বামী প্রদীপ দের সঙ্গে স্ত্রী স্বপ্না দের বিবাহবিচ্ছেদের মামলা চলছিল। অভিযোগ, স্ত্রী স্বপ্না দে ছেলের জন্য সার্টিফিকেট তৈরি করে আদালতে দাখিল করেন। সেই সার্টিফিকেটে সন্তানের নাম ভুল থাকায় সন্দেহ হয় প্রদীপবাবুর। কিন্তু বিধাননগর এসিজেএম সেই জাল সার্টিফিকেটের ভিত্তিতেই সন্তানকেও খোরপোষ দিতে বলেন প্রদীপবাবুকে। সার্টিফিকেটটি জাল বুঝতে পেরে হাইকোর্টে মামলা করেন প্রদীপবাবু। একইসঙ্গে তথ্য জানার অধিকার আইনে কলকাতা পুরসভাতেও বিষয়টি নিয়ে জানতে চান।
দীর্ঘদিন ধরে শহরজুড়ে জাল শংসাপত্রের রমরমা চলছিলই। কলকাতা পুরসভার প্যাডেই বিকোচ্ছে জাল শংসাপত্র! নিখুঁত ভাবে জন্মমৃত্যুর জাল শংসাপত্র তৈরি করতে শহরে সক্রিয় রয়েছে দালালচতক্র। আর এবার তার প্রভাব পড়েছে বিচার প্রক্রিয়ায়ও। বিধাননগর আদালতের এই খোরপোষ মামলায় এই চাঞ্চল্যকর মামলা উদ্বেগ বাড়িয়েছে প্রশাসনিকমহলের।