১২ দিনের মধ্যে বনগাঁ পুরসভায় ফের অনাস্থা প্রস্তাবের ওপর ভোটভুটির নির্দেশ হাইকোর্টের
হাইকোর্টের নির্দেশ নতুন করে ১২ দিনের মধ্যে ভোট করাতে হবে। এবার ভোট করাতে হবে জেলাশাসকের দফতরে।
নিজস্ব প্রতিবেদন: বনগাঁ পুরসভায় অনাস্থা প্রস্তাবের ওপর নতুন করে ভোটাভুটি করতে হবে। সোমবার এই নির্দেশ দেন হাইকোর্টের বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায়। ১৬জুলাইয়ের ভোট খারিজ করে দিয়েছে আদালত। হাইকোর্টের নির্দেশ নতুন করে ১২ দিনের মধ্যে ভোট করাতে হবে পুরসভার। তবে এবার তা করাতে হবে জেলাশাসকের দফতরে।
এবার ভোটাভুটির ক্ষেত্রে আদালতের নির্দেশ না মানা হলে স্বতোঃপ্রণোদিতভাবে আদালত অবমাননার মামলা রুজু করা হবে বলে জানিয়ে দিয়েছেন বিচারপতি। পাশাপাশি পুলিস সুপারকে সব কাউন্সিলরের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। আগের যা নোটিস দুই দল নিয়েছিল, তা সব বাতিল করে দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, বর্তমানে বনগাঁ পুরসভার সমীকরণ কিছুটা বদলে গিয়েছে। আগে তৃণমূলের কাউন্সিলর ছিলেন ১০ জন, বিজেপির ছিলেন ১২ জন। কিন্তু সম্প্রতি বিজেপির থেকে ৩ জন কাউন্সিলর তৃণমূলে চলে গিয়েছেন। ফলে তৃণমূলের কাউন্সিলর বেড়ে দাঁড়িয়েছেন ১৩ জন, বিজেপির ৯ জন।২২ আসনের পুরসভায় স্বাভাবিকভাবেই এখন পাল্লাভারী তৃণমূলের।
বনগাঁ পুরসভা কার? দীর্ঘ দেড় মাস ধরে চলছে টালবাহানা। ২২ আসনের পুরসভায় ২০টি আসন তৃণমূলের দখলে ছিল। একটি করে ওয়ার্ড সিপিআইএম ও নির্দলের দখলে আছে। গত ৭ জুন পুরপ্রধান শঙ্কর আঢ্যর প্রতি অনাস্থা জানিয়ে মহকুমাশাসকের দ্বারস্থ হন তৃণমূলেরই ১১ জন কাউন্সিলর। সেই থেকে বনগাঁ পুরসভায় তৃণমূলের ভাঙনের সূত্রপাত। এরপর মামলা গড়ায় আদালতে। গত ১১ জুলাই বনগাঁ পুরসভায় অনাস্থা প্রস্তাবের ওপর আস্থা ভোটের নির্দেশ দেয় আদালত। ১৬ জুলাই হয় ভোট। যা নিয়ে ঘটে ধুন্ধুমারকাণ্ড।
ভোটভুটিতে বিজেপি কাউন্সিলরদের ভোটকক্ষে ঢুকতেই দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ ওঠে। সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করে নিজেদের জয়ী বলে দাবি করে তৃণমূল। এরপর ভোটের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় বিজেপি। আদালতে তৃণমূল পুরপ্রধান শঙ্কর আঢ্য ও তৃণমূলকে একাধিক প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়। আস্থা ভোটে সংখ্যাগরিষ্ঠতার মত প্রতিফলিত হয়নি, যা গণতন্ত্রের পক্ষে ভয়ঙ্কর বলে মত ব্যক্ত করেন বিচারপতি।
দেড় মাস টালবাহানার পর সোমবার আদালতে ফের বনগাঁ মামলার শুনানি ছিল। বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায় ১৬ জুলাইয়ের ভোট খারিজ করে দিয়ে নতুন করে ভোট করানোর নির্দেশ দেন। যদিও এরই মধ্যে বদলে গিয়ে পুরসভার সমীকরণ। ফের ‘ঘোড়া কেনাবেচায়’ পাল্লাভারি হয়েছে তৃণমূলেরই।