বইমেলায় সুনীল কোণঠাসা, মেলাজুড়ে`জাগো বাংলা`
গিল্ডের ঘোষণা ছিল এবারের বইমেলা হবে সুনীলময়। কিন্তু সুনীল গাঙ্গুলিকে নিয়ে একটি বিশেষ স্টল জায়গা পেল মেলার এককোণে। উল্টোদিকে, বিরাট স্টল তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপত্র জাগো বাংলার। সেই স্টলের সামনে বড় জায়গা রয়েছে আড্ডা আর অনুষ্ঠানের জন্য। গিল্ড কর্তৃপক্ষের সাফাই, তৃণমূল শাসক দল। তাই তাঁদের পছন্দমত জায়গা দিতে হয়েছে।
গিল্ডের ঘোষণা ছিল এবারের বইমেলা হবে সুনীলময়। কিন্তু সুনীল গাঙ্গুলিকে নিয়ে একটি বিশেষ স্টল জায়গা পেল মেলার এককোণে। উল্টোদিকে, বিরাট স্টল তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপত্র জাগো বাংলার। সেই স্টলের সামনে বড় জায়গা রয়েছে আড্ডা আর অনুষ্ঠানের জন্য। গিল্ড কর্তৃপক্ষের সাফাই, তৃণমূল শাসক দল। তাই তাঁদের পছন্দমত জায়গা দিতে হয়েছে।
বইমেলার একেবারে গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় রয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপত্র জাগো বাংলার এই স্টল। কতটা জায়গা দেওয়া হয়েছে এই স্টলের জন্য? গিল্ডের কর্তারা সঠিক সংখ্যা দিতে পারছেন না। কেউ বললেন ছশো স্কোয়্যার ফিট, আবার কেউ বললেন আটশো।
স্টলের সামনেও বিরাট জায়গা। সেখানে বসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। কিসের ভিত্তিতে বইমেলায় স্টল দেয় গিল্ড? মূলত একটি প্রকাশনা সংস্থা তার স্টলে কত বই রাখে, প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা কত, এমনই কয়েকটা দিক বিবেচনা করে মেলায় স্টলের জন্য জায়গা দেওয়া হয়।
জাগো বাংলা থেকে এবার প্রকাশিত হচ্ছে মাত্র তিনটি বই। তিনটি বইয়েরই লেখক মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নতুন ও পুরনো মিলিয়ে প্রায় একশোটি বই বিক্রি হচ্ছে এই স্টল থেকে। প্রায় সব বইয়েরই লেখক মুখ্যমন্ত্রী। কেন শাসকদলের পত্রিকার জন্য এতবড় স্টল? গিল্ড কর্তাদের সাফাই, তৃণমূল শাসক দল। তাদের পছন্দের জায়গা তো দিতেই হবে।
বইমেলায় জায়গা দখলের প্রতিযোগিতায় এক কোণে সরতে হয়েছে মন ভাল নেই স্টলটিকে। সুনীল গাঙ্গুলিকে নিয়েই এই বিশেষ স্টল। ঘটা করে গিল্ড কর্তারা ঘোষণা করেছিলেন, এবারের বইমেলা হবে সুনীলময়। তবে শেষ পর্যন্ত এই স্টলটিকে গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় স্থান দিতে পারেননি তাঁরা। সুনীল গাঙ্গুলির অনুরাগীরা এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ। প্রজাতন্ত্র দিবসে রেড রোডের কুচকাওয়াজই হোক কি, বইমেলা, কোথাও এক ইঞ্চি জমি ছাড়তে রাজি নন মুখ্যমন্ত্রী এবং তাঁর দল তৃণমূল কংগ্রেস।