Manipur Violence: 'মণিপুরের ঘটনা স্বাধীন ভারতে ভাবতেই পারি না, দু'মাস কোথায় ছিলেন প্রধানমন্ত্রী!'
Manipur Violence: ধর্মতলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, মণিপুরের যে ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে সেটি সোশ্যাল মিডিয়া থেকে নামিয়ে দেওয়া হলে তো ঠিকই আছে। কিন্তু যারা দেখার তারা তো দেখে ফেলেছেন। ওই ভিডিয়ো দেখে মনে হয়েছে, এটা কোন দেশ! এদেশে মা-বোনদের ইজ্জত নিয়ে খেলা হচ্ছে। আমার বুক ভেঙে যাচ্ছে
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: মণিপুরে দুই মহিলাকে বিবস্ত্র করে ঘোরানোর ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রীর পর এবার মুখ খুললেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ডায়মন্ডহারবারের সাংসদের প্রশ্ন ঘটনাটা ঘটছে অনেক আগেই। এতদিন কোথায় ছিলেন প্রধানমন্ত্রী। স্বাধীন ভারতে এমন ঘটনা ভাবাই যায় না। কেন্দ্র ও রাজ্য দুই সরকারেই সমানভাবে ব্যর্থ।
আরও পড়ুন-ইসলামের জন্য ক্রিকেটকে না! ১৮-তেই অবসর পাক ক্রিকেটারের, কিন্তু কেন?
একুশে জুলাইয়ের প্রস্তুতি দেখতে গিয়ে আজ সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানেই মণিপুরের ঘটনা নিয়ে অভিষেক বলেন, গতকালে ঘটনা শুধু নয়। প্রায় তিন মাস ধরে একের পর এক ঘটনা ঘটে চলেছে মণিপুরে। কাল যেভাবে দুই মহিলাকে বিবস্ত্র করে হাঁটানো হয়েছে তা আমরা স্বাধীন ভারতে ভাবতেই পারিনি। রাজ্য ও কেন্দ্র সরকারের এক্ষেত্রে চূড়ান্ত ব্যর্থতা রয়েছে। ডবল ইঞ্জিনের সরকারের মডেল হিসেবে দেখানো হয় মণিপুরকে। সেই সরকারের নিদর্শন আমরা মণিপুরে দেখেছি। তার পরেও কেন্দ্র সরকারের টনক নড়েনি। গত ৪ মে ঘটনাটি ঘটেছিল। তারপরে দুমাস পেরিয়ে যাওয়ার পরও কোনও দোষী ধরা পড়েনি। তাদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। ঘটনাটি যখন ঘটেছিল তখন প্রধানমন্ত্রী কোথায় ছিলেন? তাঁরা কর্ণাটকে ব্যস্ত ছিলেন ভোট প্রচারে। বিজেপির হয়ে ভোট চাইছিলেন। আর মণিপুর মানুষ অত্যাচারিত হচ্ছিলেন। ধারবাহিকভাবে হিংসার ঘটনা ঘটে চলেছে। তিন মাস ধরে নেট নেই। এই যে অচলাবস্থার দায় দায়িত্ব কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার এড়িয়ে যেতে পারে না। বাংলা নিয়ে যারা কথা বলে তাদের বলি স্বাধীনতার পর বাংলায় এমন ঘটনা ঘটেনি। সিপিএমের আমলে সিঙ্গুর, নন্দীগ্রাম হয়েছিল। মানুষ রাস্তায় নেমেছিল। আমি মনে করি মণিপুরের মানুষও এবার একত্রিত। ভারতের মানুষ আগামীদিনে মণিপুরের মানুষের পাশে দাঁড়াবে। যারা ভাবছে ধর্মের নামে মানুষকে ভাগ করে রাজস্ব করবে তারা মূর্খের স্বর্গে বাস করছে। আমি মনে করি সবকিছু ছেড়ে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী ও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর উচিত মণিপুরে কীভাবে শান্তি ফেরানো যায় তার ব্যবস্থা করা। লোকসভায় যাতে আলোচনা হয় তার ব্যবস্থা করা।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর বলছেন বাংলায় মানুষ মরেছে। অত্যাচারিত হচ্ছে। তার দিকে এরা তাকায় না। অনুরাগের ওই মন্তব্য নিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, অনুরাগ ঠাকুরকে বলুন বাংলায় এমন ঘটনা ঘটেছে কিনা দেখাতে। গত এগারো বছরে একটাও সিঙ্গুর, নেতাই হয়নি। উনি এখন অনেক বড় পদ পেয়েছেন কারণ দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে উনি প্রকাশ্যে দাঁড়িয়ে বলেছিলেন, দেশ কি গদ্দারও কো গুলি মারো শালে কো। এই বৈষম্যের রাজনীতির মাথা প্রধানমন্ত্রী। উত্তর প্রদেশে পুলিসের ঘেরাটোপে আসামী খুন হয়ে যায়, সাধারণ মানুষের উপরে বুলডোজার চলে। এখানে তা হয় না।
বৃহস্পতিবার ধর্মতলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, মণিপুরের যে ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে সেটি সোশ্যাল মিডিয়া থেকে নামিয়ে দেওয়া হলে তো ঠিকই আছে। কিন্তু যারা দেখার তারা তো দেখে ফেলেছেন। ওই ভিডিয়ো দেখে মনে হয়েছে, এটা কোন দেশ! এদেশে মা-বোনদের ইজ্জত নিয়ে খেলা হচ্ছে। আমার বুক ভেঙে যাচ্ছে। আর বিজেপি নেতারা আমাদের গালি দেয়। মহিলাদের যারা সম্ভ্রমহানি করল তাদের জন্য দেশের বিজেপি নেতারা কী বলবেন? অত্যন্ত নক্কাজনক ঘটনা, লজ্জা। দেশের মহিলা, সংখ্যালঘু,দলিতদের উপরে যে অত্যাচার হচ্ছে তার বিরুদ্ধে লড়াই করছে দেশ। গোটা দেশ মণিপুরের পাশে রয়েছে। অনেকের সঙ্গে আমার কথা হচ্ছে। যদি সুয়োগ হয় তাহলে আমরা কয়েকজন মুখ্যমন্ত্রী মণিপুরে যাব।