সারদাকাণ্ডে আজ ফের জেরা করা হচ্ছে রাজেশ বাজাজকে
সারদা কাণ্ডের তদন্তে আজ ফের জেরা করা হচ্ছে অসমের ব্যবসায়ী রাজেশ বাজাজকে। এর আগে চারদফা তাঁকে জেরা করেছে সিবিআই। অসমে এনই (NE) চ্যানেল কেনাবেচা নিয়ে সুদীপ্ত সেনের সঙ্গে মাতঙ্গ সিংয়ের চুক্তিতে মধ্যস্থতা করেছিলেন রাজেশ বাজাজ।
ওয়েব ডেস্ক: সারদা কাণ্ডের তদন্তে আজ ফের জেরা করা হচ্ছে অসমের ব্যবসায়ী রাজেশ বাজাজকে। এর আগে চারদফা তাঁকে জেরা করেছে সিবিআই। অসমে এনই (NE) চ্যানেল কেনাবেচা নিয়ে সুদীপ্ত সেনের সঙ্গে মাতঙ্গ সিংয়ের চুক্তিতে মধ্যস্থতা করেছিলেন রাজেশ বাজাজ।
আঠাশ কোটি টাকায় NE অসম বিক্রির চুক্তি হয়েছিল। যদিও, টাকা দেওয়ার পরেও চ্যানেলের মালিকানা তিনি পাননি বলে তদন্তকারীদের কাছে অভিযোগ করেছেন সুদীপ্ত সেন। অন্যদিকে মাতঙ্গ সিংয়ের দাবি, সুদীপ্ত সেনের টাকা ফেরতের জন্য তিনি চেক দিয়েছিলেন রাজেশ বাজাজকে। সিবিআই সূত্রে খবর, অসমের সংবাদমাধ্যমে সারদার লগ্নি নিয়ে সুদীপ্ত সেন, মাতঙ্গ সিং এবং রাজেশ বাজাজের বয়ানে প্রচুর অসঙ্গতি রয়েছে। তা দূর করতেই বারবার জেরা করা হচ্ছে রাজেশ বাজাজকে।
সারদা মামলায় এবার সিবিআইয়ের নজরে মন্ত্রী মদন মিত্র। আগামী সপ্তাহের যে কোনও দিন পরিবহণ মন্ত্রীকে সমন ধরাতে চলেছে সিবিআই। মন্ত্রীর আপ্ত সহায়ক বাপি করিম ও সারদাকর্তা সুদীপ্ত সেনকে জেরা করে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার আধিকারিকরা জানতে পেরেছেন, সারদার মিডল্যান্ড পার্কের অফিসে প্রায়ই যেতেন মদন মিত্র। এরপরই মদন মিত্রকে সমন পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সিবিআই। একইসঙ্গে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হয়েছে তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ মিঠুন চক্রবর্তীকে। মিঠুন-মদনের সঙ্গে আগামী সপ্তাহে ডাকা হতে পারে আরও তিন প্রভাবশালী ব্যক্তিকেও।
সিবিআইয়ের রাডারে এবার মন্ত্রী মদন মিত্র। সারদা মামলায় মদন মিত্রকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় সিবিআই। সম্প্রতি মন্ত্রীর প্রাক্তন আপ্ত সহায়ক বাপি করিমকে দু দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার আধিকারিকরা। জেরায় বাপি জানান, প্রায়ই সারদা মিডল্যান্ড পার্কের অফিসে যেতেন মদন মিত্র । এরআগে একই দাবি করেছিলেন সারদা কর্তা সুদীপ্ত সেনও। এবার তাঁর প্রাক্তন আপ্ত সহায়ক জেরায় মদন মিত্রর নাম করায় মন্ত্রীকে সমন পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সিবিআই। মন্ত্রীর পছন্দমাফিক জায়গাতেই তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে সিবিআই সূত্রে খবর। তবে সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে পাল্টা তোপ দেগেছেন মদন মিত্রও।
মদন মিত্রের পাশাপাশি,সারদা মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হয়েছে তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ মিঠুন চক্রবর্তীকেও। সাংসদ হওয়ার আগেই সারদার ব্রান্ড অ্যাম্বাসাডর ছিলেন মিঠুন চক্রবর্তী। এজন্য প্রতিমাসে কুড়ি লক্ষ টাকা করে পেতেন তিনি। মিঠুন অত্যন্ত জনপ্রিয় হওয়ায় কলকাতায় তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের ক্ষেত্রে আইনশৃঙ্খলার সমস্যা হতে পারে। এজন্য তৃণমূল সাংসদকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে সিবিআইয়ের একটি টিম মুম্বই উড়ে যাচ্ছে। ব্রান্ড অ্যাম্বাসাডর ছাড়া সারদায় মিঠুন চক্রবর্তীর আরকোনও ভূমিকা ছিল কিনা সেটাও খতিয়ে দেবে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। সারদা মামলায় এরআগেও মিঠুনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল ইডি।
অন্যদিকে,সারদাকাণ্ডে তাঁর ভূমিকা খতিয়ে দেখতে শনিবার দিনভর অসমের সঙ্গীতশিল্পী সদানন্দ গগৈ ও ব্যবসায়ী রাজেশ বাজাজকে জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই। ২০১০ এ সারদার ৩টি অ্যাড ফিল্ম তৈরি করেছিলেন সদানন্দ গগৈ। ৩টি ফিল্মের জন্য ৪ কোটি টাকা পেয়েছিলেন তিনি।অসমের এক মন্ত্রীর সঙ্গে বিস্কুট কোম্পানিও খুলেছিলেন সুদীপ্ত।সেটির অ্যাড ফিল্মও তৈরি করেছিলেন সদানন্দ। শুধুমাত্র অ্যাড ফিল্ম তৈরি নাকি সুদীপ্ত সেনের সঙ্গে তাঁর আর কোনও সম্পর্ক ছিল তা খতিয়ে দেখছে সিবিআই। এদিন চতুর্থবার জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় রাজেশ বাজাজকেও । এনই অসম টিভি চ্যানেল কেনার সময় সুদীপ্ত সেন ও মাতঙ্গ সিংয়ের মধ্যে মধ্যস্থতা করেছিলেন রাজেশ বাজাজ।