জঙ্গিঘাঁটি-অনুপ্রবেশ রুখতে সীমান্ত সুরক্ষায় রাজ্যকে বিপুল অর্থ সাহায্য কেন্দ্রের
২০১৪-র অক্টোবরে খাগড়াগড় বিস্ফোরণের পরই পশ্চিমবঙ্গে জঙ্গিচক্রের খোঁজ মেলে।
নিজস্ব প্রতিবেদন: সীমান্তের অনুপ্রবেশ মোকাবিলায় রাজ্য সরকারকে ৩১৬ কোটি টাকা আর্থিক সাহায্যের অনুমোদন দিল মোদী সরকার। সীমান্ত নিরাপত্তায় গোটা দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ অর্থ সহযোগিতা পেল বাংলাই।
এদিনই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের রিপোর্ট বলছে, মুর্শিদাবাদ ও বর্ধমানের মাদ্রাসাগুলিকে যুবক-যুবতীদের মগজধোলাইয়ের কাজে ব্যবহার করছে বাংলাদেশি জঙ্গিরা। একাধিক জঙ্গিশিবির চালাচ্ছে জেএমবি। আর সীমান্ত দিয়ে তারা ঢুকছে এদেশে। সে কারণে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের নিরাপত্তায় জোর দিল কেন্দ্রীয় সরকার। পশ্চিমবঙ্গকে দেওয়া হল ৩১৬ কোটি টাকা। গোটা দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি অর্থ পেল পশ্চিমবঙ্গই। মনে রাখতে, এর মধ্যে জম্মু-কাশ্মীর, রাজস্থান, অসমের মতো স্পর্শকাতর সীমান্ত এলাকার রাজ্যও রয়েছে। লোকসভায় একটি প্রশ্নে লিখিত উত্তরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক জানিয়েছে, ইন্দো-বাংলাদেশ সীমান্তের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে নেওয়া হচ্ছে একাধিক পদক্ষেপ। বাড়ানো হচ্ছে পোস্ট ও নাকার সংখ্যা। উচ্চপ্রযুক্তির যন্ত্রপাতি ও নাইট ভিশনের ব্যবস্থাও করা হচ্ছে। এর পাশাপাশি এলাকা চিহ্নিতকরণও করা হয়েছে।
২০১৪-র অক্টোবরে খাগড়াগড় বিস্ফোরণের পরই পশ্চিমবঙ্গে জঙ্গিচক্রের খোঁজ মেলে। হদিশ মেলে সিমুলিয়া, ঘোজাডাঙার মতো খারিজি মাদ্রাসার, যেখানে প্রশিক্ষণ দেওয়া হত জঙ্গিদের। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক জানিয়েছে, বাংলাদেশ ও ভারতে গণতান্ত্রিক সরকার ফেলে সেখানে শরিয়া প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে লড়াই করছে জেএমবি। সেজন্য এরাজ্যে বিভিন্ন জায়গায় গোপন আস্তানা তৈরি করেছে তারা।
আরও পড়ুন- পশ্চিমবঙ্গের একাধিক মাদ্রাসা যেন জঙ্গি তৈরির কারখানা, রিপোর্ট স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের