সল্টলেকে ডাকাতির ঘটনাস্থলে সিআইডি দল
সল্টলেকে ডাকাতির ঘটনায় তদন্তে নামল সিআইডি। মঙ্গলবার সকালে ঘটনাস্থল এডি ব্লকের ১২৫ নম্বর বাড়িতে গিয়ে, গৃহকর্তা সুরেন্দ্র সিং দাভর ও তাঁর পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন সিআইডি অফিসাররা। সঙ্গে ছিলেন ফিঙ্গার-প্রিন্ট বিশেষজ্ঞরাও।
সল্টলেকে ডাকাতির ঘটনায় তদন্তে নামল সিআইডি। মঙ্গলবার সকালে ঘটনাস্থল এডি ব্লকের ১২৫ নম্বর বাড়িতে গিয়ে, গৃহকর্তা সুরেন্দ্র সিং দাভর ও তাঁর পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন সিআইডি অফিসাররা। সঙ্গে ছিলেন ফিঙ্গার-প্রিন্ট বিশেষজ্ঞরাও। তাঁরা আশপাশের বাড়ি ও এলাকা পরীক্ষা করে দেখেন।
রবিবার রাত সাড়ে তিনটে নাগাদ সল্টলেকের এডি ব্লকের ১২৫ নম্বর বাড়িতে তালা ভেঙে ঘরে ঢুকে অবাধে লুঠপাট চালায় এক মহিলা সহ ৬ জনের একটি সশস্ত্র দুষ্কৃতী দল। তালা ভাঙার শব্দে ঘুম ভেঙে যায় বাড়ির বাসিন্দা সুরেন্দ্র সিং দাভর ও তাঁর পরিবারের। কিছুক্ষণ পরেই তাঁরা বুঝতে পারেন, শুধু গ্রিলে লাগানো তালাই নয়। বাইরের কাঠের দরজার ছিটকিনি ভেঙে, বাড়ির ভিতরে ঢুকে পড়েছে কয়েকজন দুষ্কৃতী। সকলের মুখ কাপড়ে ঢাকা থাকায়, হামলাকারীদের চেনার উপায় ছিল না পেশায় একটি রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাঙ্কের সল্টলেক শাখার ম্যানেজার সুরেন্দ্র সিং দাভরের। দুষ্কৃতীদের হাতে আগ্নেয়াস্ত্র থাকায় প্রথমে ভয় পেয়ে যান গৃহকর্তা। ডাকাত পড়েছে, এটা বোঝার পরই তিনি বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেন। ২ মেয়ে ও স্ত্রীকে বাঁচাতে, সুরেন্দ্র সিং দুষ্কৃতীদের দাবি মেটান। এরপরই তারা অবাধে লুঠপাট চালিয়ে আলমারির লকারে থাকা নগদ টাকা ও গয়না নিয়ে পালিয়ে যায়। তারপরই সাহায্যের জন্য পুলিসে ফোন করেন গৃহকর্তা। সুরেন্দ্র সিং দাভরের দাবি, ডাকাতি চলাকালীন প্রতিবেশীরাও ফোন করে পুলিসকে জানিয়েছিলেন। কিন্তু কোনও ফল হয়নি। পুলিসকে এব্যাপারে জানিয়েও কোনও ফল হয়নি বলে অভিযোগ করেন তিনি। এমনকী ডাকাতি চলাকালীনই একশো নম্বরে ডায়াল করেছিলেন প্রতিবেশীরা। কিন্তু তাতেও লাভ হয়নি। পুলিস এসেছিল অনেক পরে। ডাকাতির ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার না হওয়ায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে। পুলিসের ভূমিকা নিয়ে ক্ষুব্ধ তাঁরা।