'ভারতই স্বভূমি', পেশার সঙ্কট বুকে চেপেই চিনকে জবাব দেওয়ার ডাক তুললেন ট্যাংড়ার চিনা পরিবাররা!
তাঁরাও বললেন, "ভারতই আমাদর দেশ, চিনকে উচিত জবাব দিক ভারত, সেটাই চাই।"
!['ভারতই স্বভূমি', পেশার সঙ্কট বুকে চেপেই চিনকে জবাব দেওয়ার ডাক তুললেন ট্যাংড়ার চিনা পরিবাররা! 'ভারতই স্বভূমি', পেশার সঙ্কট বুকে চেপেই চিনকে জবাব দেওয়ার ডাক তুললেন ট্যাংড়ার চিনা পরিবাররা!](https://bengali.cdn.zeenews.com/bengali/sites/default/files/2020/06/18/256596-chinese.png)
নিজস্ব প্রতিবেদন: বস্তুত দু-তিন প্রজন্ম ধরে তাঁরা রয়েছেন কলকাতায়। তবে নিজেদের জাতিগত পরিচিতি ও সংস্কৃতিকে আগলে রাখেন চিনের প্রাচীরের মতো এক বেড়া তুলে! বহু বছর তাঁরা কলকাতায় রয়েছেন, ব্যবসা বাণিজ্য, থাকা খাওয়া এখানেই। তাই যাটের দশকে যখন ভারত ও চিন যুদ্ধে জড়িয়েছিল টানাহেঁচড়ায় প্রাণ ওষ্ঠাগত হয়েছিল তাঁদের। দু’দেশের রাজনৈতিক টানাপোড়েনে এখন নীরবতাই শ্রেষ্ঠ পন্থা ওঁদের। তবুও তাঁদের মধ্যে এক পরিবারের সঙ্গে কথা হল, ট্যাংড়ার বাসিন্দা লি পরিবার। তাঁরাও বললেন, "ভারতই আমাদর দেশ, চিনকে উচিত জবাব দিক ভারত, সেটাই চাই।"
ভারতে থাকা চিনাদের সিংহ ভাগ থাকেন কলকাতায়, টেরিটি বাজার ও ট্যাংরা এলাকায়। করোনা আতঙ্কের মধ্যেই বারবার আঙুল তোলা হচ্ছিল তাঁদের। আর এখন তো আতঙ্কে বারবারই চোখ ঝাপসা হয়ে আসছে তাঁদের। কারণ দেশজুড়ে উঠেছে চাইনিজ দ্রব্য বর্জনের ডাক। সেক্ষেত্রে লি পরিবারেরও আশঙ্কা, ভারতীয়রা চাইনিজ খাবারও বর্জন করতে পারেন। কিন্তু যদি সেটাই হয়, তাহলে তাঁদের সংসার চলবে কীভাবে? কারণ এটাই যে তাঁদের পেশা।
এমনিতেই লকডাউনে আড়াই মাস রোজগার বন্ধ ছিল তাঁদের। একদিকে পেশা সঙ্কট আরেকদিকে কৃতজ্ঞতা, কর্তব্য! লি পরিবারের মতো ট্যাংড়ার এরকম অনেক চিনা পরিবার রয়েছে, যাঁদের পূর্বপুরুষরা গত ১০০ বছর ধরে ভারতেই রয়ে গিয়েছেন, বলা ভালো কলকাতায়। চিনা পদবি থাকলেও, তাঁরা এখন মনেপ্রাণে ভারতীয়। চিনের বর্বরতার বিরুদ্ধে গর্জে উঠছেন তাঁরাও। কলকাতার চিনা পরিবাররাও চায়, 'ভারত উচিত জবাব দিক'।
বাড়ি আসার কথা ছিল, কিন্তু লকডাউনে ফিরতে পারেননি, বীরভূমের বীর জওয়ান রাজেশ ফিরছেন কফিনবন্দি হয়েই...
চোয়াল শক্ত করে ট্যাংড়ার লি পরিবারের ছোটো মেয়ে ডরিস বললেন, "ভারতই আমার দেশ। পূর্বপুরুষ চাইনিজ হলেও, আমি তাঁদের কখনই দেখেনি। তবে ভারতীয় সৈন্যদের ওপর যারা হামলা করবে, তাদের শাস্তি পাওয়া উচিত।"
দিকে দিকে উঠছে চিনা দ্রব্য বিসর্জনের ডাক। কলকাতার চিনা কনস্যুলেট জেনারেল ভবনের সামনে সিপিইউ পুড়িয়ে চলে বিক্ষোভ। সেই প্রতিবাদের আঁচ পড়েছে তাঁদের গায়েও! চিনা দ্রব্য বর্জন করলে কীভাবে চলবে সংসার? ওঁরা যে ভারতীয়ত্বেই লিন হয়ে গিয়েছেন বহুদিন, এখন পেশার টানে যাবেন কোথায়?