Jadavpur: স্বামীর সঙ্গে খিটখিট ক্যানসার আক্রান্ত স্ত্রীর, ৩২ বছরের সংসারে দম্পতির মর্মান্তিক পরিণতি
সম্প্রতি স্ত্রী জলি প্রসাদের ক্যানসার ধরা পড়ে। গত ৬-৭ মাস ধরে বৈজনাথবাবুর কোনও কাজ ছিল না তাঁর। দৃষ্টিশক্তি কমে যাওয়ায় কাজ ছিল না তাঁর। ফলে ক্যানসারের চিকিত্সার বিপুল খরচ চালাতে গিয়ে নিদারুণ অর্থকষ্টে ভুগছিলেন তাঁরা।
রণয় তেওয়ারি: ক্যানসারে আক্রান্ত স্ত্রী। চিকিত্সার বিপুল খরচ। সঙ্গে চাকরি না থাকায় রোজগারহীন। ফলে প্রবল অর্থকষ্ট। আর তারপর রোগভোগে জর্জরিত স্ত্রী সারাক্ষণই খিটখিটে থাকতেন। শারীরিক জ্বালা-যন্ত্রণা থেকে মানসিক অবসাদ। আর তাই থেকেই স্বামীর সঙ্গে দুর্ব্যবহার। শেষমেশ দম্পতির মর্মান্তিক পরিণতি...
স্ত্রীকে খুনের পর নিজেও আত্মঘাতী হলেন স্বামী। বেদনাদায়ক এই ঘটনাটি ঘটেছে যাদবপুর থানা এলাকায় চিত্তরঞ্জন কলোনিতে। জানা গিয়েছে, মৃতার নাম জলি প্রসাদ। বয়স ৫৭ বছর। ক্যানসার আক্রান্ত প্রৌঢ়াকে খুনের অভিযোগ উঠেছে স্বামী বৈজনাথ প্রসাদের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, ৬২ বছরের প্রৌঢ় প্রথমে খুন করে স্ত্রী জলি প্রসাদকে। তারপর গলায় গামছা পেঁচিয়ে নিজেও আত্মঘাতী হয়। একটি সুইসাইড নোটও রেখে গিয়েছে দম্পতি। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, সুইসাইড নোটে নিজের দোষের কথা কবুল করে গিয়েছেন স্বামী বৈজনাথ প্রসাদ। সুইসাইড নোটে তিনি এই ঘটনার জন্য কাউকে দায়ী করেননি।
স্থানীয়দের কাছ থেকে জানা গিয়েছে, দম্পতির ৩২ বছরের সংসার ছিল। সম্প্রতি স্ত্রী জলি প্রসাদের ক্যানসার ধরা পড়ে। তারপর থেকেই সংসারে দুঃসময় নেমে আসে। রোগ যন্ত্রণায় ভুগে দিনের বেশিরভাগ সময়ই খিটখিটে মেজাজ থাকতেন জলি প্রসাদ। আর সেই কারণে প্রায়শ-ই দুর্ব্যবহার করে ফেলতেন স্বামী বৈজনাথবাবুর সঙ্গে।
বৈজনাথবাবু পেশায় একজন গাড়িচালক ছিলেন। একটি বেসরকারি সংস্থায় কাজ করতেন। কিন্তু গত ৬-৭ মাস ধরে কোনও কাজ ছিল না তাঁর। দৃষ্টিশক্তি কমে যাওয়ায় কাজ ছিল না তাঁর। ফলে ক্যানসারের চিকিত্সার বিপুল খরচ চালাতে গিয়ে নিদারুণ অর্থকষ্টে ভুগছিলেন তাঁরা। সম্প্রতি তাঁদের আত্মীয়রা দম্পতিকে আর্থিকভাবে সহায়তা করছিলেন।
আরও পড়ুন, Bengal Heatwave: ভয়ংকর গরমের পূর্বাভাস, সামনের সপ্তাহেই কলকাতায় পারদ ছোঁবে ৪০ ডিগ্রি!