নেশামুক্তির জন্য তিন বছর রিহ্যাবে ছিলেন জাগুয়ার দুর্ঘটনায় অভিযুক্ত রাগিব!
ঘটনার সময়ে রাগিব নেশাগ্রস্থ ছিলেন কিনা সে বিষয়ে নিশ্চিত হতে পারেননি গোয়েন্দারা।
![নেশামুক্তির জন্য তিন বছর রিহ্যাবে ছিলেন জাগুয়ার দুর্ঘটনায় অভিযুক্ত রাগিব! নেশামুক্তির জন্য তিন বছর রিহ্যাবে ছিলেন জাগুয়ার দুর্ঘটনায় অভিযুক্ত রাগিব!](https://bengali.cdn.zeenews.com/bengali/sites/default/files/2019/08/22/205441-jaguar.jpg)
নিজস্ব প্রতিবেদন : জাগুয়ার দুর্ঘটনার তদন্তে উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। আরসালানের দাদা রাগিব নেশাগ্রস্থ ছিলেন কি না সে বিষয়ে এখনও জানতে পারেনি পুলিস। তবে, এর আগে দু-তিনবার নেশামুক্তির জন্য রিহ্যাব সেন্টারে পাঠানো হয়েছিল রাগিবকে।
পুলিস সূত্রে খবর, রাগিবের মাদকাসক্তির ইতিহাস আছে। প্রায় তিন বছর ধরে দুবাইতে রিহ্যাবে ছিলেন তিনি। এক বছর আগে বাড়িতে ফেরেন রাগিব। তবে, পারিবারিক ব্যবসায় কোনও দিনই সেভাবে জড়িত ছিলেন না তিনি। পরিবারের ছোট ছেলে আরসালানই ব্যবসা দেখাশোনা করতেন বলে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন- কালীঘাটেও আসবে সিবিআই, সেই ভয়ে দেশে গণতন্ত্র নেই বলছেন মমতা: দিলীপ
ওইদিন ঘটনার সময়ে রাগিব নেশাগ্রস্থ ছিলেন কিনা সে বিষয়ে নিশ্চিত হতে পারেননি গোয়েন্দারা। তবে রাগিবের মাদকাষক্তির ইতিহাস ভাবাচ্ছে গোয়েন্দাদের। এখনও পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুযায়ী লালবাজারের গোয়েন্দাদের অনুমান, ওইদিন প্রায় ১৫০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা বেগে ছুটছিল গাড়ি। গাড়ির ইভেন্ট ডেটা রেকর্ডারের তথ্য পৌঁছেছে ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞদের হাতে। সেই ইডিআর রিপোর্টের অপেক্ষা করছে পুলিস। সেই তথ্য পরীক্ষার রিপোর্ট মিললেই জানা যাবে দুর্ঘটনার সময়ে ঠিক কী অবস্থায় ছিল জাগুয়ারটি।
আরসালান ও রাগিবকে জেরা করে তদন্তকারী অফিসাররা জানতে পেরেছেন তাঁদের এক বন্ধুও ওই দিন গাড়িতে ছিল। এই বন্ধু তাঁদের সঙ্গে কলেজের প্রিন্সিপালের ছেলের জন্মদিনের পার্টি থেকে ফিরছিল। সেই বন্ধুকে সল্টলেক ছাড়ার কথা ছিল তাদের। সেই সময়েই মাঝপথে দুর্ঘটনাটি হয়। গাড়িতে থাকা ওই বন্ধুকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে তদন্তকারীরা।