বকেয়া বেতন আর বদলির বিরুদ্ধে যশোর রোড অবরোধ করলেন জেসপ কারখানার কর্মীরা

ছ মাসের বকেয়া বেতনের দাবি, বদলির বিরুদ্ধে যশোর রোড অবরোধ করলেন জেসপ কারখানার কর্মীরা। বারবার আলোচনায় বসতে চেয়েও কর্তৃপক্ষের সাড়া পাননি। এইঅভিযোগে সোমবার বিকেল পাঁচটা থেকে সন্ধে সাড়ে সাতটা পর্যন্ত অবরোধ করেন কারখানার কর্মী এবং তাঁদের পরিবারের লোকজন। দমদম থানার পুলিস গিয়ে তাঁদের মারধর করে। আন্দোলনরত মহিলাদের হেনস্থা করা হয় বলেও অভিযোগ।

Updated By: Mar 31, 2014, 11:24 PM IST

ছ মাসের বকেয়া বেতনের দাবি, বদলির বিরুদ্ধে যশোর রোড অবরোধ করলেন জেসপ কারখানার কর্মীরা। বারবার আলোচনায় বসতে চেয়েও কর্তৃপক্ষের সাড়া পাননি। এইঅভিযোগে সোমবার বিকেল পাঁচটা থেকে সন্ধে সাড়ে সাতটা পর্যন্ত অবরোধ করেন কারখানার কর্মী এবং তাঁদেরপরিবারের লোকজন। দমদম থানার পুলিস গিয়ে তাঁদের মারধর করে। আন্দোলনরত মহিলাদের হেনস্থা করা হয় বলেও অভিযোগ।

জেসপের কর্মী এবং তাঁদের পরিবারের লোকজনের বিক্ষোভ-অবরোধে প্রায় আড়াই ঘণ্টা অবরুদ্ধ হয়ে রইল যশোর রোড। বকেয়া বেতনের দাবি আর বেশ কিছু কর্মীকে পোর্ট ব্লেয়ারে বদলির বিরুদ্ধে গত ছ মাস ধরেই আন্দোলন করছেন জেসপের কর্মীরা। বারবার তাঁরা কর্তৃপক্ষের কাছে এই মর্মে দাবিদাওয়াও জানিয়েছেন। কিন্তু কর্তৃপক্ষ তাঁদের সঙ্গে আলোচনায় বসেননি বলে জেসপ কর্মীদের অভিযোগ। টাকাপয়সা নেই, সংসার চালানোও দায় হয়ে পড়েছে। ফলে নিতান্ত নিরুপায় হয়েই সোমবার কারখানার কর্মী এবং তাঁদের পরিবারের লোকজন বিকেল পাঁচটায় যশোর রোড অবরোধ করেন। প্রায় আড়াই ঘণ্টা অবরোধের জেরে নাকাল হতে হয় নিত্যযাত্রীদের। ঘটনাস্থলে পৌছয় দমদম থানার পুলিস। সঙ্গে ছিল না কোনও মহিলা পুলিস। তারাই অবরোধকারীদের টেনে-হিঁচড়ে, মারধর করে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। মহিলাদের গায়ে হাত দেওয়ারও অভিযোগ করেছেন আন্দোলনকারীরা।

এরপর স্থানীয় এক তৃণমূল নেত্রী জানান, তাঁর সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর কথা হয়েছে। তিনি পরিস্থিতি খতিয়ে দেখবেন বলে আপাতত অবরোধ তুলে নেওয়ার নির্দেশ দেন বলে জানান ওই তৃণমূল নেত্রী। এরপর সন্ধে সাড়ে সাতটা নাগাদ অবরোধ তুলে নেওয়া হয়। ব্যুরো রিপোর্ট ২৪ ঘণ্টা।

.