জ্যোতিষীর নির্দেশে আগামিকাল ভোর ৩টের পর জেলে যেতে রাজি মদন

আর জেল এড়াতে পারলেন না মদন মিত্র। সবকটা মেডিক্যাল টেস্টেই পাস। SSKM জানিয়ে দিল, মন্ত্রীকে আর ভর্তি রাখার দরকার নেই। শেষ চেষ্টা করেছিলেন মদন মিত্র। কিন্তু এরপরও হাসপাতালে থাকতে হলে যেসব পরীক্ষানিরীক্ষার যন্ত্রণা সইতে হবে, তা শুনেই পিছিয়ে গেছেন তিনি।

Updated By: Dec 27, 2014, 09:49 PM IST
 জ্যোতিষীর নির্দেশে আগামিকাল ভোর ৩টের পর জেলে যেতে রাজি মদন

কলকাতা:  জ্যোতিষীর নির্দেশে আগামিকাল ভোর ৩টের সময় এসএসকেএম ছাড়তে রাজি হলেন মদন মিত্র। তিনি জানিয়েছেন তাঁর ঘনিষ্ঠ এক জ্যোতিষী মতে জামিন পাওয়ার জন্য ওই সময়টাই শুভক্ষণ।

তবে এসএসকেএম থেকে ছাড়া পেলেও সম্ভবত জেল নয় জেল হাসপাতালে ঠাঁই হচ্ছে মদনের।  জেল হাস পাতাল সূত্রে খবর, তাঁর জন্য বিশেষ ব্যবস্থা হচ্ছে জেল হাসপাতালে। ৫নম্বর বেড নতুন করে সাজছে। কেনা হয়েছে ৮ ইঞ্চির পুরু গদি, নয়া বালিশ, কম্বল। সবুজ পর্দা দিয়ে ঘিরে দেওয়া হয়েছে ৫ নম্বর বেডটি।

সবকটা মেডিক্যাল টেস্টেই পাস। SSKM জানিয়ে দিল, মন্ত্রীকে আর ভর্তি রাখার দরকার নেই। শেষ চেষ্টা করেছিলেন মদন মিত্র। কিন্তু এরপরও হাসপাতালে থাকতে হলে যেসব পরীক্ষানিরীক্ষার যন্ত্রণা সইতে হবে, তা শুনেই পিছিয়ে গেছেন তিনি।

সারাদিন এই নিয়ে চলল বিস্তর নাটক। আজ প্রথম থেকেই হাসপাতাল ছেড়ে না যাওয়ার বায়না ধরেন ক্রীড়া ও পরিবহণ মন্ত্রী। প্রাথমিকভাবে মেডিক্যাল বোর্ডের সিদ্ধান্ত শোনার পর মদন মিত্রের প্রতিক্রিয়া ছিল 'আর কি কিছুই করার নেই?'

ধরা পড়েছেন অনেকদিন হল। কিন্তু এপর্যন্ত জেলের সেলে কাটাতে হয়নি মদন মিত্রকে। গত ১৯ তারিখ পর্যন্ত ছিলেন সিবিআই হেফাজতে। ওইদিনই জেল হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। আলিপুর সেন্ট্রাল জেলে বঙ্গীয় কারারক্ষী সমিতির ঘরে বসানো হয় মন্ত্রীকে। সেখানে ছিলেন জেলের ডেপুটি সুপার, যিনি আবার কারারক্ষী সমিতির সম্পাদকও বটে। সেখানে বুকে ব্যাথা বলার পরই, মদনকে পাঠিয়ে দেওয়া হয় SSKMএ। জেল হাসপাতালে না পাঠিয়ে কেন সরাসরি SSKM? তখনই উঠেছিল প্রশ্ন।

প্রশ্নটা আরও জোরালো হল, যখন কার্ডিওলজি বিভাগে না রেখে সরাসরি মন্ত্রীকে পাঠানো হল বিলাসবহুল উডবার্ন ওয়ার্ডে। কেন উডবার্ন? কী চিকিত্‍সা চলছে মন্ত্রীর? আদৌ কি তাকে SSKM-এ রাখা দরকার? এসব প্রশ্নের সঙ্গেই উঠল অভিযোগ, চিকিত্‍সকদের ওপর চাপ বা প্রভাব খাটিয়ে জেল এড়াচ্ছেন মদন।  কংগ্রেস নেতা আবদুল মান্নান তো SSKM-এর চিকিত্‍সকদের বিরুদ্ধে মামলার হুমকিও দেন।

যা থেকে বোঝা যাচ্ছিল চাপে পড়ে যাচ্ছে মদন মিত্রের চিকিত্সায় নিযুক্ত SSKM এর মেডিকেল বোর্ড। এরপরই SSKM এর ডিরেক্টর জানিয়ে দেন মদন মিত্রকে আর হাসপাতালে রাখার দরকার নেই।

তবে শেষ চেষ্টা করেছিলেন পরিবহণমন্ত্রী।  চিকিত্‍সকদের জিজ্ঞেস করেন, আর কি কিছুই করার নেই? চিকিত্‍সকেরা তাঁকে বোঝান, এই পরিস্থিতিতে অ্যাঞ্জিওগ্রাম করাই একমাত্র উপায়। যা বেশ যন্ত্রণাদায়ক। তা শুনেই পিছিয়ে আসেন পরিবহণন্ত্রী।

কিন্তু এরপরও সন্ধেয় বিস্তর নাটক হয়। জেল থেকে অর্ডার এসে গেলেও হাসপাতাল ছাড়তে রাজি হননি মদন মিত্র। তাঁর আবদারের জেরে মেডিক্যাল বোর্ড শেষ মুহূর্তে ফের আরও একবার পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নেয়।

 

 

.