Mamata Banerjee | Abhishek Banerjee: 'অভিষেককে ভোটের আগে গ্রেফতার করব!'
'আমাকে একজন মেসেজ করেছে, অভিষেককে ভোটের আগে গ্রেফতার করব।'
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্য়ুরো: তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠাদিবসের সমাবেশ থেকে বোমা দাগলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। বিস্ফোরক দাবি করলেন, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে গ্রেফতার করা হবে! ভোটের আগেই গ্রেফতার করা হবে! এরমক মেসেজ করা হয়েছে তাঁকে। নাম না করে এই প্রসঙ্গে অভিযোগের আঙুল তুলেছেন বিজেপি সরকারের দিকেই। মমতা বলেন, 'ভিনডিকটিভ সরকার। আমাকে একজন মেসেজ করেছে, অভিষেককে ভোটের আগে গ্রেফতার করব।' তোপ দাগেন,'ওই তথ্যগুলো তোমরা কম্পিউটারে ঢুকিয়ে দিয়েছ।' এদিন তিনি আরও তোপ দাগেন, বিজেপি-বাম-কংগ্রেস সব মিশে গিয়েছে। সব এক, লাল আবির!
প্রসঙ্গ, লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস বিতর্ক! কোম্পানির কম্পিউটারে ১৬টি ফাইল ডাউনলোড করার অভিযোগ ইডির বিরুদ্ধে। ২৫ অগাস্ট লালবাজারের সাইবার ক্রাইম থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস সংস্থার চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট চন্দন বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি দাবি করেন,'তল্লাশি চলাকালীন লিপ্স অ্যান্ড বাউন্ডসের কম্পিউটারে ১৬ ফাইল ডাউনলোড করেছে ইডি। ওই ফাইলগুলির সঙ্গে লিপস অ্যান্ড বাউন্সসের কোনও সম্পর্ক নেই।' যারপরই বিতর্ক ছড়ায়। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এখন ইডি-র হেফাজতে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে 'কালীঘাটের কাকু'। সম্প্রতি তাঁর মেয়ে-জামাইয়ের ফ্ল্যাট-সহ ৩ জায়গায় তল্লাশি চালান কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। সেই তালিকায় ছিল নিউ আলিপুরে লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের অফিসও। এই লিপ্স অ্যান্ড বাউন্ডস সংস্থায় উঁচুপদে চাকরি করতেন সুজয়কৃষ্ণ। আবার তাঁরই সংস্থা এসডি এন্টারপ্রাইজ়ের সঙ্গে এই লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস সংস্থার লেনদেনেরও প্রমাণ মিলেছে। প্রায় ১৮ ঘণ্টা ধরে তল্লাশি চলেছিল লিপ্স অ্যান্ড বাউন্ডসের অফিসে। সেই তল্লাশি ঘিরেই বিতর্ক। এখন তল্লাশি চলছিল, তখনও অফিসে ডেকে পাঠিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল চন্দন বন্দ্যোপাধ্যায়কে।
উল্লেখ্য, লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের অফিসে তল্লাশি পর কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলির বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে পুজো উদ্যোক্তাদের সঙ্গে বৈঠকে তিনি বলেন, 'আমাদের বাড়িতে রোজই ওরা অত্যাচার করছে। ছেলেটা পরশু দিন ফিরেছে। না জানিয়ে হঠাত্ করে ওর ৪-৫টি জায়গায় চলে গিয়েছে। ধরুন আমার বাড়িতে গেল, আমাকে জানাল না। আমার তো একটি সিকিউরিটির ব্যাপার রয়েছে। সিকিউরিটির সমস্যা যে কোনও লোকেরই আছে। তুমি যে একটি বিস্ফোরক রেখে যাচ্ছ না তার কে গ্যারান্টি নেবে? তুমি নিজে ঢুকছ নিজে যা করার করছ। তুমি যে লুকিয়ে একটা বন্দুক রেখে যাচ্ছ না তার কে গ্যারান্টি নেবে? তুমি যে কয়েক কোটি টাকা নিজে বাক্স করে নিয়ে ঢুকছো না তার কে গ্যারান্টি নেবে?'
এখন লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের অফিসে তল্লাশি ঘিরে বিতর্ক দানা বাঁধতেই ইডি পালটা তলব করে অভিযোগকারীকে। ইডি সূত্রে খবর, ম্যারাথন তল্লাশিতে লিপ্স অ্যান্ড বাউন্ডসের বেশ কিছু নথি ও তথ্য হাতে এসেছে তদন্তকারীদের। সেই নথি ও তথ্য যাচাই করার জন্য তলব করা হয়েছে সংস্থার হিসেবরক্ষককে। ওদিকে ফাইল ডাউনলোড বিতর্কে কলকাতা পুলিস কমিশনারকে চিঠি দিয়েছে ইডি। কী কারণে ওই ১৬ ফাইল লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস কোম্পানির কম্পিউটারে ডাউনলোড হয়ে গিয়েছিল, সেই ব্যাখ্যা-ই চিঠি দিয়ে জানিয়েছে ইডি। ইডির বক্তব্য, একটি ওয়েবসাইট খোলায় আপনা-আপনি ওই ফাইলগুলি ডাউনলোড হয়ে গিয়েছিল। চিঠিতে ইডি আরও জানিয়েছে যে, এক অফিসার তার সন্তানের হস্টেল নিয়ে উদ্বিগ্ন ছিলেন। তিনি তাঁর সন্তানের জন্য হস্টেল দেখছিলেন। সেই সময় একটি ওয়েবসাইট খোলায় আপনা-আপনি ওই ১৬টি ফাইল ডাউনলোড হয়ে যায়।
আরও পড়ুন, Mamata Banerjee: 'কোনও কোনও পুলিস চোখ বুজে বেআইনি কাজ দেখছে', বিস্ফোরণকাণ্ডে তীব্র তোপ মমতার