TET Qualifiers Agitation: মধ্যরাতে অভিযান! করুণাময়ীতে আন্দোলনকারীদের তুলে দিল পুলিস

।নিয়োগ কবে? সল্টলেকের করুণাময়ীতে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অফিসের সামনে অনশনে বসেছিলেন টেট উত্তীর্ণরা। যাঁরা অনশন করছিলেন, তাঁরা সকলেই ২০১৪ সালে প্রাথমিকে টেট পাস করেছেন। রাস্তা থেকে টেনেহিঁচড়ে আন্দোলনকারীদের সরিয়ে দিল পুলিস।  

Updated By: Oct 21, 2022, 09:18 PM IST
TET Qualifiers Agitation: মধ্যরাতে অভিযান! করুণাময়ীতে আন্দোলনকারীদের তুলে দিল পুলিস

রণয় তিওয়ারি: মধ্যরাতে অভিযান। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সামনে থেকে চাকরিপ্রার্থীদের তুলে দিল পুলিস। ২০১৪ সালে যাঁরা প্রাথমিকে টেট পাস করেছেন, তাঁদের রীতিমতো টেনে হিঁচড়ে রাস্তা থেকে সরিয়ে দেওয়া হল। পুলিসের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে অসুস্থ হয়ে পড়লেন বেশ কয়েকজন। রণক্ষেত্রের চেহারা নিল সল্টলেকের করুণাময়ী।

উত্তেজনার পারদ চড়ছিল ক্রমশই। হাইকোর্টের নির্দেশের পর রণকৌশল পাল্টে ফেলেছিলেন ২০১৪ সালে টেট উত্তীর্ণরা। আগের জায়গা থেকে কিছুটা পিছিয়ে গিয়েছিলেন তাঁরা। সবাই একসঙ্গে নয়, চারজনের দল তৈরি করে বসে রয়েছেন আলাদাভাবে। রাতে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে দেখা করতে যান সিপিএম নেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়, বিজেপি কাউন্সিলর সজল ঘোষ-সহ আরও অনেকেই।

ঘড়িতে তখন ১২টা।  মধ্যরাতে বিশাল বাহিনী নিয়ে করুণাময়ীতে হাজির হন বিধাননগর পুলিস কমিশনারেটের পদস্থ আধিকারিকরা। সঙ্গে ব়্যাফও। কেন? প্রথমে মাইকে আন্দোলনকারীদের রাস্তা খালি করে দিতে বলা হয়। সময়সীমা ২ মিনিট। কিন্তু নির্দিষ্ট সময় পরেও যখন নিজেদের অবস্থানে অনড় থাকেন টেটের চাকরিপ্রার্থীরা, তখন আর চুপ করে থাকেনি পুলিস। অভিযোগ, রাস্তা থেকে রীতিমতো টেনে হিঁচড়ে আন্দোলনকারীদের তোলা হয় পুলিসের জিপে। 

এদিকে এই ঘটনার সময়ে আন্দোলনস্থলে ছিলেন বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পল ও কাউন্সিলর সজল ঘোষ। পুলিসের ভূমিকা নিন্দা করেছেন দু'জনেই। অগ্নিমিত্র পল বলেন, 'প্রতিবাদ করা আমাদের গণতান্ত্রিক অধিকার। এরা তো আইনশৃঙ্খলার কোনও সমস্যা তৈরি করেনি। বাচ্চা কোলে নিয়ে  চুপচাপ প্রতিবাদ করছিল'। তাঁর হুঁশিয়ারি, 'কাল আমাদের কোর্টের যাওয়ার কথা। আদালতের রায়ের ভয়ে তুলে দিল। পুলিসের কোনও অধিকার নেই তোলার। আগামিকাল আমরা পশ্চিমবঙ্গকে স্তম্ভ করে দেব'।

আরও পড়ুন: কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন উপাচার্য আশিস কুমার চট্টোপাধ্য়ায়

এর আগে, কর্মীদের নিরাপত্তার দাবিতে দ্বারস্থ হয়েছিল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। হাইকোর্টের অবকাশকালীন ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছিল, '১৪৪ ধারা নিশ্চিত করতে হবে। পর্যাপ্ত পুলিস মোতায়েন করতে হবে রাজ্যকে। কর্মীরা যাতে অফিসে ঢুকতে পারবেন, সে ব্যবস্থা করতে হবে'। বিচারপতি প্রশ্ন করেছিলেন, 'পুলিস কি পাওয়ার লেস?'। সন্ধ্যায় আন্দোলনকারীদের হাতে হাইকোর্টের নির্দেশের কপি তুলে দেয় পুলিস। তারপরেও চারজনের দল তৈরি করে অনশন চালিয়ে যাওয়ার যাচ্ছিলেন টেট উত্তীর্ণরা। শুধু তাই নয়, সিঙ্গল বেঞ্চের রায়কে চ্যালেঞ্জ  করে হাইকোর্টের ডিভিশন যাওয়ার সিদ্ধান্তও নিয়েছিলেন তাঁরা।

(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App) 

.