ছবি দেখে চক্ষু ছানাবড়া ইডির, ২০১২ চলচ্চিত্র উৎসবে মোটা টাকা ঢেলে ছিল সুদীপ্ত সেন
তল্লাসিতে পাওয়া একটি ছবির সূত্র ধরে সারদা কান্ডে চাঞ্চল্যকর তথ্য পেল ইডি। ছবির সূত্র ধরেই তদন্তে ইডির তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, ২০১২ সালের চলচ্চিত্র উৎসবে মোটা টাকা ঢেলেছিলেন সুদীপ্ত সেন। তদন্তে উঠে আসছে সারদা গোষ্ঠীর আইনজীবী পিয়ালী মুখার্জির অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনাও। সারদা কেলেঙ্কারির সঙ্গে পিয়ালি মুখার্জির অস্বাভাবিক মৃত্যু রহস্যের যোগসূত্র নেই, এমন কথা জোর দিয়ে বলতে পারছেন না ইডির তদন্তকারীরা।
তল্লাসিতে পাওয়া একটি ছবির সূত্র ধরে সারদা কান্ডে চাঞ্চল্যকর তথ্য পেল ইডি। ছবির সূত্র ধরেই তদন্তে ইডির তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, ২০১২ সালের চলচ্চিত্র উৎসবে মোটা টাকা ঢেলেছিলেন সুদীপ্ত সেন। তদন্তে উঠে আসছে সারদা গোষ্ঠীর আইনজীবী পিয়ালী মুখার্জির অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনাও। সারদা কেলেঙ্কারির সঙ্গে পিয়ালি মুখার্জির অস্বাভাবিক মৃত্যু রহস্যের যোগসূত্র নেই, এমন কথা জোর দিয়ে বলতে পারছেন না ইডির তদন্তকারীরা।
সুদীপ্ত সেনের স্ত্রী পিয়ালি সেন ও ছেলে শুভজিতকে নিয়ে তল্লাসির সময় হঠাৎই একটি ছবি উদ্ধার করেন ইডির তদন্তকারীরা। ছবিতে সুদীপ্ত সেনের সঙ্গে রাজ্যের এক দাপুটে মন্ত্রী ছাড়াও রয়েছেন এক সুন্দরী মহিলা। পিয়ালী সেনকে জেরা করে বেরিয়ে আসে মহিলার পরিচয়। ছবির ওই মহিলা পিয়ালি মুখার্জি। সারদা গোষ্ঠীর আইনজীবী সেলের সদস্য। সারদা কর্তা গ্রেফতার হওয়ার কয়েক সপ্তাহ আগেই রাজারহাটে একটি বহুতলে রহস্যজনকভাবে মৃত্যু হয় পিয়ালির। মৃত্যু রহস্যের তদন্ত চলাকালীন জানা যায় তৃণমূল ছাত্র পরিষদের এই নেত্রীর রাজনীতিতে উত্থান রাজ্যের এক মন্ত্রীর হাত ধরে।
সেই মন্ত্রীর সৌজন্যেই সারদা গোষ্ঠীতে তাঁর চাকরি। ইডি সূত্রে জানা গেছে জেরার মুখে সুদীপ্ত সেনের স্ত্রী পিয়ালি সেন জানিয়েছেন যে, পিয়ালি মুখার্জি সারদা গোষ্ঠীর সম্পত্তি কেনাবেচার যাবতীয় দলিলের খসড়া তৈরি করতেন। সেকারণেই সারদা কর্তার সম্পত্তির হাল হকিকত জানা ছিল পিয়ালী মুখার্জির। ইডির তদন্তকারীরা একথাও জানতে পেরেছেন যে, এই মহিলা আইনজীবী যে মানের জীবনযাপন করতেন তা তাঁর আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ ছিল না। এই আইনজীবীর রাজনৈতিক গুরুর নামও সারদা তদন্তে বারবার পাচ্ছেন ইডি কর্তারা। এই টুকরো টুকরো সূত্রগুলি গেঁথেই ইডি কর্তাদের সন্দেহ যে, সারদা কেলেঙ্কারির সঙ্গে পিয়ালী মুখার্জির মৃত্যু রহস্যের সম্পর্ক থাকলেও থাকতে পারে।
খোঁজখবর নিতে গিয়েই ইডি কর্তারা এও জানতে পারেন যে দুহাজার বারো সালের চলচ্চিত্র উতসবে মোটা অঙ্কের টাকা দিতে হয়েছিল সুদীপ্ত সেনকে। ইডি কর্তারা জানিয়েছেন, পিয়ালি মুখার্জির অস্বাভাবিক মৃত্যু রহস্য তাঁদের তদন্তের আওতায় পড়েনা। কিন্তু উঠে আসা সূত্র গুলি সারদার লুকোনো ধনভান্ডারকে খুঁজে পেতে অনেকটাই সাহায্য করবে।
অন্যদিকে শুক্রবার ব্যাঙ্কশাল আদালতে তোলা হয় সুদীপ্ত সেনের স্ত্রী পিয়ালি সেন ও ছেলে শুভজিত সেনকে। শুভজিতের জামিনের বিরোধিতা করে ইডি। তাঁকে তিরিশে এপ্রিল পর্যন্ত জেল হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেয় আদালত। তিরিশ হাজার টাকা বন্ডে পিয়ালি সেনের জামিন মঞ্জুর হলেও জামিনদার না থাকায় এদিন মুক্তি পাননি তিনি। তাঁকে রাখা হয়েছে আলিপুর মহিলা সংশোধনাগারে।
সারদা-কাণ্ডের তদন্তে রেজিস্ট্রার অফ কম্পানিজের চার বর্তমান আধিকারিক ও দুই প্রাক্তন আধিকারিককেও শুক্রবার জেরা করেছে ইডি। সারদা গোষ্ঠীর বিভিন্ন সংস্থাকে লাইসেন্স দেওয়ার ক্ষেত্রে যে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে, সে বিষয়ে তদন্তেই এই ছ-জনকে জেরা করা হয়।