পদ্মাকাশে মুকুল ঝড়ের পূর্বাভাস, ঘর বাঁচাতে 'বিপর্যয় সামাল' বৈঠকে Shiv Prakash
বৃহস্পতিবার রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ ও রাজ্যের ৫ সাধারণ সম্পাদককে ডাকা হয়েছে বৈঠকে।
নিজস্ব প্রতিবেদন: এই তো মাসখানেক আগের কথা। বিজেপিতে তখন রৌদ্রস্নাত উজ্জ্বল দিন। তৃণমূল থেকে ফি দিনই নেতা-নেত্রীদের ভিড় পদ্ম শিবিরে। কিন্তু ভোটের ফল বেরোতেই ঋতুবদল। পদ্মাকাশে ঘন কালো মেঘ। মুকুল রায় (Mukul Roy) ফিরে গিয়েছেন 'নিজের ঘরে'। তার পরই জোরালো হচ্ছে বিজেপির উপর দিয়ে মুকুল ঝড় বয়ে যাওয়ার পূর্বাভাস। দলের অন্দরেও সব ঠিকঠাক নেই। শৃঙ্খলা কমিটি গড়েও চাপা দেওয়া যাচ্ছে না দলীয় কোন্দল। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ভোট পরবর্তী হিংসার অভিযোগ করছেন গেরুয়া নেতারা। এই বিপর্যস্ত পরিস্থিতিতে 'ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট' বৈঠকে বসতে চলেছে রাজ্য বিজেপি। সেখানে থাকবেন কেন্দ্রীয় নেতা শিব প্রকাশ।
বৃহস্পতিবার রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) এবং রাজ্যের ৫ সাধারণ সম্পাদককে ডাকা হয়েছে শিব প্রকাশের (Shiv Prakash) বৈঠকে। নির্বাচনী ভরাডুবির পর বিপর্যয় সামাল দিতেই এই মোলাকাত। দিলীপ ঘোষ, শুভেন্দু অধিকারীরা অভিযোগ করেছেন, ভোট পরবর্তী হিংসায় ঘরছাড়া বহু কর্মী। হামলার শিকার হচ্ছেন বিজেপি কর্মীরা। বিজেপি সূত্রের খবর, সংগঠন বাঁচানোই এখন বড় দায়। সেজন্য দাঁড়াতে হবে দুর্গত কর্মীদের পাশে। কীভাবে তা করা যায় সেনিয়ে বৈঠকে আলোচনা হতে পারে।
মুকুল রায় (Mukul Roy) তৃণমূলে যোগ দেওয়ায় অনেকে তাঁর পথ অনুসরণ করতে পারেন বলে আশঙ্কা বিজেপি নেতৃত্বের। যদিও প্রকাশ্যে দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) বলছেন, 'কেউ যাবেন না।' মুকুল ইতিমধ্যেই এক সাংসদ এবং বেশ কয়েকজন বিধায়ককে ফোন করেছেন। মঙ্গলবার পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়ি থেকে বেরোনোর পথে কৃষ্ণনগর উত্তরের বিধায়ক স্বীকার করেন,''অনেকের সঙ্গে কথা হয়েছে।'' বলাই বাহুল্য, আগামী দিনে মুকুল বিজেপির জনাকয়েক বিধায়ক ভাঙিয়ে নিতে সক্ষম হলে বিড়ম্বনার এক শেষ হবে! মুকুল-কৌশলে দলীয় ভাঙন কীভাবে ঠেকানো যায়, তা নিয়ে 'বিপর্যয় ব্যবস্থাপনা বৈঠকে' শিবপ্রকাশের সঙ্গে কথা হতে চলেছে বলে বিজেপি সূত্রের খবর। বিজেপির রাজ্য নেতৃত্বও চাইছে, বাংলার পরিস্থিতি স্বচক্ষে দেখে যান কেন্দ্রীয় নেতারা। সংগঠন ধরে রাখতে যথাবিহিত প্রতিকার করুন।
আরও পড়ুন- Dilip-র জায়গায় BJP-র রাজ্য সভাপতি পদে 'বাংলার মেয়ে'কে চাইছে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব!