জীবনের `লাস্ট টেকেও` কৃত্রিমতা চাননি সুচিত্রা
কথা ছিল, শনিবার হয়ত হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হতে পারে সুচিত্রা সেনকে। নিজেও মনে-প্রাণে চাইছিলেন বাড়ি ফিরতে। হল না। ২৬ দিনের লড়াই শেষ হয়ে গেল এক মুহূর্তে। প্রায় সাড়ে তিন দশক নিজেকে লোকচক্ষুর অন্তরালে রাখার পর চির অন্তরালে চলে গেলেন মহানায়িকা।
কথা ছিল, শনিবার হয়ত হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হতে পারে সুচিত্রা সেনকে। নিজেও মনে-প্রাণে চাইছিলেন বাড়ি ফিরতে। হল না। ২৬ দিনের লড়াই শেষ হয়ে গেল এক মুহূর্তে। প্রায় সাড়ে তিন দশক নিজেকে লোকচক্ষুর অন্তরালে রাখার পর চির অন্তরালে চলে গেলেন মহানায়িকা।
২৪ ঘণ্টার হাতে মহানায়িকার শেষ কয়েকটি মুহূর্তের পুঙ্খানুপুঙ্খ বিবরণ। বৃহস্পতিবার রাত ১০ টা থেকে শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে সুচিত্রা সেনের। বহু কষ্টে নেবুলাইজেশনের জন্য তাঁকে রাজি করানো হয়। রাতে দফায় দফায় বাড়ানো হয় ভেন্টিলেশন। রাইমা-রিয়া রাজি থাকলেও মায়ের কষ্ট দেখে দেহে আরও নল ঢোকাতে রাজি হচ্ছিলেন না সুচিত্রা-কন্যা মুনমুন। শুক্রবার সকাল পৌনে আটটা পর্যন্ত জ্ঞান ছিল মহানায়িকার। নল ঢোকাতে গেলে বারবার হাত দিয়ে সরিয়ে দিচ্ছিলেন তিনি।
এরপরই শুরু হয় প্রচণ্ড শ্বাসকষ্ট। সকাল থেকেই ওঠানামা করতে থাকে রক্তচাপ। রক্তচাপ স্থিতিশীল করতে বুকে পাম্প শুরু করেন চিকিত্সকেরা। কিন্তু সকাল আটটার পর মহানায়িকার শারীরিক অবস্থার চরম অবনতি ঘটে। সেই সময় ঘরে ছিলেন দুই জুনিয়র ডাক্তার। হাসপাতালে থাকলেও সে সময় কেবিনে ছিলেন না মুনমুন সেন। ওই ডাক্তাররা ফোন করে মুনমুন সেনকে। এরপরই কেবিনে ছুটে এসে তিনি মৃত্যুসংবাদ পান। কান্নায় ভেঙে পড়েন সুচিত্রা কন্যা।