Lake Town Accident: মেয়ের বিয়ের অনুষ্ঠান শেষে মা-ছেলেকে নিয়ে ফিরছিলেন, লেকটাউনেই সবশেষ
Lake Town Accident:বাড়ি ফেরার সময়ে শিবশঙ্করবাবুর(৫৩) সঙ্গে ছিলেন তাঁর মা কমলা রাঠি(৭৩) ও ছেলে শ্রীবত্স রাঠি(২৩)। রবিবার রাতে মেয়ে আয়ুসির বিয়ে ছিল। গোটা পরিবারই ছিল নিউটাউনে। এরপর বিয়ে শেষ করে রাতের দিকে বাড়ি ফিরছিলেন। পথে লোকটাউনে ওই দুর্ঘটনা ঘটে
রণয় তেওয়ারি ও সৌমেন ভট্টাচার্য: রবিবার রাতে বিয়ের মেয়ের বিয়ের অনুষ্ঠান ছিল নিউটাউনে। অনেক রাতে বিয়ের অনুষ্ঠান মিটিয়ে মানিকতলায় বি বি ঘোষ সরণীর বাড়িতে ফিরছিলেন শিবশঙ্কর রাঠি ও তাঁর মা ও ছেলে। পথে লেকটাউনের ঘড়ি মোড়ে তাদের গাডিকে ধাক্কা মারে একটি বাস। সেই দুর্ঘটনাতেই প্রাণ হারান তিনজন।
আরও পড়ুন-'পুলিসকে বলেছি, কেউ গুলি চালালেই অ্যাকশন'
পুলিস সূত্রে খবর, লেকটাউন ঘড়ির মোড়ের কাছে ভিআইপি রোডের উপর দাঁড়িয়ে থাকা একটি প্রাইভেট গাড়িকে পিছন থেকে এসে ধাক্কা মারে ৪৪ নং রুটের একটি বাস। প্রথমে গুরুতর আহত অবস্থায় তাদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরবর্তী সময়ে হাসপাতালে তাদের মৃত্যু হয়। বাসটি বাগুইআটি থেকে উল্টোডাঙ্গার দিকে যাচ্ছিল। সেই সময় লেকটাউন ঘড়ির মোড়ে দাঁড়িয়ে থাকা ওই প্রাইভেট গাড়িকে ধাক্কা মারে। ভোর আড়াইটে নাগাদ ওই দুর্ঘটনা ঘটে।
বাড়ি ফেরার সময়ে শিবশঙ্করবাবুর(৫৩) সঙ্গে ছিলেন তাঁর মা কমলা রাঠি(৭৩) ও ছেলে শ্রীবত্স রাঠি(২৩)। রবিবার রাতে মেয়ে আয়ুসির বিয়ে ছিল। গোটা পরিবারই ছিল নিউটাউনে। এরপর বিয়ে শেষ করে রাতের দিকে বাড়ি ফিরছিলেন। পথে লোকটাউনে ওই দুর্ঘটনা ঘটে।
পরিবারের এতবড় দুর্ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। ফলে বিয়ের পর যেসব নিয়ম থাকে তা বন্ধ রাখা হয়েছে। পরিবারের সদস্যরা কান্নায় ভেঙে পড়েছেন।
এদিকে, আমাদের রাজ্যে না হলেও ওড়িশায় এক বাস দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ১২ জনের। রবিবার রাতে দুটি বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে ওই ভয়ংকর দুর্ঘটনা ঘটে যায়। গঞ্জামের ডিপাহান্ডি থানা এলাকায় ওড়িশার একটি সরকারি বাসের সঙ্গে একটি বেসরকারি বাসের সংঘর্ষ হয়। আহতদের এমকেসিজি মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করা হয়। এখনওপর্যন্ত ৮ জন গুরুতর আহত বলে জানা যাচ্ছে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
দুর্ঘটনা নিয়ে গঞ্জামের জেলাশাসক দিব্যজ্যোতি পারিদা সংবাদসংস্থাকে জানিয়েছেন, দুটি বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে ১০ জন নিহত হয়েছেন। আহতদের এমকেসিজি মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করা হয়েছে। এনিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। আহতদের সবরকম সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। আহতদের মধ্যে একজনকে এসসিবি হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আহতদের চিকিত্সার সব ব্যবস্থা করা হয়েছে।
দুর্ঘটনায় আহতদের ৩০ হাজার টাকা সাহায্যে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে ওড়িশা সরকার। ওই ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়ক। মুখ্যমন্ত্রীর রিলিফ ফান্ড থেকে তিনি নিহতদের আত্মীয়দের ৩ লাখ টাকা করে অনুদান দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন। দুর্ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। ট্যুইট করে তিনি লিখেছেন, দিগাপাহান্ডির ওই দুর্ঘটনায় আমি শোকাহত। ১২টি প্রাণ ঝরে গেল। শোকস্তব্ধ পরিবারগুলির সঙ্গে রয়েছি। পরিবারের মানুষজনকে সর্বশক্তিমান সহ্য করার শক্তি দিন। আহতরা দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠুক। এই কামনা করছি।