বাড়ি বানাতে গিয়ে চাঁদার জুলুম, অভিযোগের নিশানায় তৃণমূল
জমি কিনে বাড়ি করতে গেলে মোটা অঙ্কের চাঁদা দিতে হবে তৃণমূল পার্টি ফান্ডে। অভিযোগ, সোনারপুরের চণ্ডীতলার নাকি এটাই নিয়ম। এই নিয়ম না মানায় এক মহিলাকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠল তৃণমূল কর্মীদের বিরুদ্ধে। নিগৃহীতার দাবি, অভিযোগ জানানো সত্ত্বেও ব্যবস্থা নেয়নি সোনারপুর থানার পুলিস।
জমি কিনে বাড়ি করতে গেলে মোটা অঙ্কের চাঁদা দিতে হবে তৃণমূল পার্টি ফান্ডে। অভিযোগ, সোনারপুরের চণ্ডীতলার নাকি এটাই নিয়ম। এই নিয়ম না মানায় এক মহিলাকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠল তৃণমূল কর্মীদের বিরুদ্ধে। নিগৃহীতার দাবি, অভিযোগ জানানো সত্ত্বেও ব্যবস্থা নেয়নি সোনারপুর থানার পুলিস।
১৯৯৭ সালে সোনারপুরের চণ্ডীতলায় দুকাঠা জায়গা কিনেছিলেন দিল্লির বাসিন্দা স্মৃতি মুখোপাধ্যায়। অভিযোগ, গত এপ্রিলে সেখানে বাড়ি করতে গিয়ে স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের বাধার মুখে পড়েন তিনি। সোনারপুর-রাজপুর পুরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শ্যামলী গায়েন ও তাঁর স্বামী সুশান্ত গায়েন পার্টি ফান্ডে মোটা টাকা জমা দিতে বলেন বলে মহিলার অভিযোগ।
স্মৃতি মুখোপাধ্যায় সোনারপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তৃণমূল নেতা মুকুল রায় ও সুব্রত বক্সিরও দ্বারস্থ হন তিনি। সুব্রত বক্সির নির্দেশে সোনারপুর থানার পুলিস গত ১২ অগাস্ট স্মৃতি মুখোপাধ্যায়কে নিয়ে তাঁর জমিতে যায়। সবপক্ষের উপস্থিতিতে জমি জরিপ করে মহিলার অংশ চিহ্নিত হয়। কিন্তু, পরের দিনই নিজের জমিতে পাঁচিল তুলতে গিয়ে ফের বাধার মুখে পড়েন স্মৃতি মুখোপাধ্যায়। স্থানীয় তৃণমূল নেতাকর্মীরা তাঁকে বেধড়ক মারধর করেন বলেও অভিযোগ।
অচৈতন্য স্মৃতি মুখোপাধ্যায়কে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে পুলিস। মঙ্গলবার স্থানীয় তৃণমূল নেতা ছোটন সাহা সহ দশজনের বিরুদ্ধে সোনারপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। যদিও, পুলিস কাউকেই গ্রেফতার করতে পারেনি।
ঘটনা নিয়ে মুখ খুলতে চাননি অভিযুক্ত তৃণমূল কাউন্সিলর শ্যামলী গায়েন এবং তাঁর স্বামী। মূল অভিযুক্ত অভিজিত সাহা ওরফে ছোটন পলাতক।
নিজের সঞ্চয়ের টাকায় জমি কিনেছেন। রয়েছে জমির বৈধ কাগজপত্রও। তাও কেন বাড়ি করতে গেলে চাঁদা দিতে হবে তৃণমূলের পার্টি ফান্ডে? নিজেরই জমিতে পাঁচিল তুলতে গিয়ে কেন হতে হবে নিগ্রহের শিকার? প্রশ্ন জাগছে স্মৃতি মুখোপাধ্যায়ের মনে। চণ্ডিতলার অলিখিত নিয়মটি এখনও ঠিক শিখে উঠতে পারেননি তিনি।