জানুয়ারি শেষেই কি শীত বিদায়? কী বলছে হাওয়া অফিস
ঘূর্ণাবর্ত সরলেও প্রচুর জলীয় বাষ্প ঢুকেছে রাজ্যে। এর জেরে বেড়েছে কুয়াশার দাপট। দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কোচবিহারে ঘন কুয়াশা থাকবে। রেহাই পাচ্ছে না দক্ষিণবঙ্গও।
নিজস্ব প্রতিবেদন: মাঝ জানুয়ারিতেও শীতের ঝোড়ো ব্যাটিং জারি। নতুন করে তাপমাত্রার পারদ আর না নামলেও, ঠান্ডার হাত থেকে যেন মুক্তি নেই। সঙ্গে দোসর কুয়াশা। দাপুটে মেজাজ উত্তুরে হাওয়ার।
ইতিমধ্যে বাংলাদেশ থেকে ঘূর্ণাবর্ত সরে গিয়ে ত্রিপুরা-মিজোরামের ওপর অবস্থান করছে। ঘূর্ণাবর্ত সরলেও প্রচুর জলীয় বাষ্প ঢুকেছে রাজ্যে। এর জেরে বেড়েছে কুয়াশার দাপট। দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কোচবিহারে ঘন কুয়াশা থাকবে। রেহাই পাচ্ছে না দক্ষিণবঙ্গও।
কলকাতায় আজ সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১২.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। স্বাভাবিকের চেয়ে দু ডিগ্রি কম। তাপমাত্রা এখনই উল্লেখযোগ্য হারে বাড়ার কোনও সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর।
সকাল সকাল বাড়ির বাইরে বেরিয়ে চোখ মেলতেই, চারদিক সাদা! চমকে যাবেন না! কুয়াশার এমনই দাপট রাজ্যজুড়ে। একহাত দূরেও কিছু দেখার জো নেই। জেলায় জেলায় এক ছবি। সড়ক থেকে রেল পরিষেবা, ভুগতে হচ্ছে সব ক্ষেত্রেই। কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়েছে দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলা। জাতীয়, রাজ্য সড়কে ধীর গতিতে চলছে গাড়ি। শিয়ালদা দক্ষিণ শাখায় ট্রেন চলাচলও বিপর্যস্ত। ডায়মন্ডহারবারে কুঁকড়াহাটি, নামখানা, বেনুবন ফেরি সার্ভিস বন্ধ রাখতে হয়। নাজেহাল নিত্যযাত্রীরা। কুয়াশার চাদরে মোড়া হুগলি জেলাও। হেডলাইট জ্বেলে গাড়ি চালাতে হচ্ছে। নদিয়া জেলাজুড়েও এক ছবি। চৌত্রিশ নম্বর জাতীয় সড়ক, কল্যাণী-ব্যারাকপুর এক্সপ্রেসওয়ে সহ প্রায় সব সড়কে যান চলাচল করছে খুবই ধীর গতিতে। দৃশ্যমানতা কম থাকায়, দুর্ঘটনা এড়াতে সতর্ক চালকরা।