Home loan: কত বছরের গৃহঋণে নিলে কম সুদ গুনতে হবে আপনাকে? রইল টিপস
কতটা ডাউনপেমেন্ট করে কত বছরের জন্য ঋণ নিলে আখেরে লাভ হবে আপনার তা দেখে নিতে পারেন।
নিজের বাড়ি হোক কিংবা ফ্ল্যাট, মাথার ওপরে ছাদের স্বপ্ন সবার থাকে। কিন্তু মধ্যবিত্তদের চিন্তা আর্থিক ক্ষেত্র। শুধু তাই নয়, ব্যাঙ্ক থেকে কোন ঋণে কত ছাড়, ইন্টারেস্ট থেকে ইএমআই-কোন ক্ষেত্রে কত ছাড় পাওয়া যাবে তা বুঝতে অনেকেই হিমসিম খেয়ে যান। কতটা ডাউনপেমেন্ট করে কত বছরের জন্য ঋণ নিলে আখেরে লাভ হবে আপনার তা দেখে নিতে পারেন।
হোম লোন বা গৃহঋণের ক্ষেত্রে বেশিরভাগ ঋণদাতারা কয়েকটি বিষয় দেখে নেন। যেমন, যে পরিমাণ হোম লোন দিতে হবে তা হবে আপনার টেক-হোম মাসিক বেতনের প্রায় ৫০ শতাংশ। এ ক্ষেত্রে আপনি ঋণ নেওয়ার যোগ্যতা বাড়ানোর জন্য আপনার স্ত্রীর আয় দেখাতে পারেন। বেশিরভাগ ঋণদাতারা প্রযোজ্য প্রকৃত সুদের হার আপনার পেশা, আয়, লিঙ্গ, ক্রেডিট স্কোর ইত্যাদির উপর নির্ভর করে হিসেব করে থাকেন।
আরও পড়ুন, Aadhaar: আধার কার্ড হারিয়ে ফেলেছেন? কীভাবে অনলাইনেই জানবেন নম্বর?
শুধু গৃহঋণ নয় যেকোনও ঋণের ক্ষেত্রেই আপনি যত দীর্ঘ সময়ের জন্য ঋণ বেছে নেবেন, EMI তত কম হবে। মধ্যবিত্ত পরিবার বেশিরভাগ সময় সেদিকেই হেটে থাকেন। যারা ভাড়া বাড়িতে থাকেন, তারা চাইবেন ভাড়ার সমতুল্য ইএমআই ব্যাঙ্ককে দিতে। সেক্ষেত্রে একই টাকায় নিজের বাড়িটুকু হয়ে থাকবে। কিন্তু কেউ যদি কয়েক বছরের মধ্যে হোম লোন বন্ধ করতে চায়, তাদের জন্য একই পরিমাণ ঋণের জন্য ইএমআই বেশি হবে।
যদি হিসেব দেখা যায় তাহলে, ৩৫ লাখ টাকার গৃহ ঋণে ৭ শতাংশ হারে, ১৫ বছরের জন্য EMI হবে ৩১ হাজার ৪৫৯ টাকা এবং ৩০ বছরের লোনের জন্য, EMI হবে ২৩ হাজার ২৮৬ টাকা। অর্থাৎ বছরের হিসেবে প্রায় ২৬ শতাংশের পার্থক্য। এবার সুদের হিসেব যদি দেখা যায়, তাহলে, ১৫ বছরের জন্য ৩৫ লাখের গৃহঋণে সুদ দিচ্ছেন ২১.৬২ লক্ষ, আর ৩০ বছর হলে তা পড়ছে ৪৯ লক্ষ।
ঋণের মেয়াদ শেষ না হওয়া পর্যন্ত EMI একই থাকবে এবং বছরে যদি আয় বাড়তে থাকে সেক্ষেত্রে অনেকটাই সুবিধা হয়। তাই সেই অনুযায়ী কতদিনের গৃহঋণে যাবেন তা নির্বাচন করুন। তবে চেষ্টা করা উচিত যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ঋণ সম্পূর্ণ করা, যাতে সুদের খরচ কম রাখা যায়। তা না হলে মোট পরিমান ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে।