Original Nolen Gur: পৌষ সংক্রান্তিতে পিঠেপুলি বানাতে নতুন গুড় তো কিনবেন, কিন্তু চিনবেন কী করে? রইল টিপস...
Identifying Original Nolen Gur: এই পৌষ সংক্রান্তিতে নতুন গুড় তো কিনবেন, কিন্তু চিনবেন কী করে? আসলে নতুন গুড় নিয়ে অনেক ব্যবসায়ীই একটু নিগূঢ় কৌশল অবলম্বন করে থাকেন, তাই আগেভাগেই একটু জেনে রাখুন গুড় চেনার গূঢ় কৌশল।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: এই পৌষ সংক্রান্তিতে পিঠে বানাতে বা মকরের পুজোয় দেওয়ার জন্য নতুন গুড় তো কিনবেন, কিন্তু চিনবেন কী করে? আসলে নতুন গুড় নিয়ে অনেক ব্যবসায়ীই একটু নিগূঢ় কৌশল অবলম্বন করে থাকেন, তাই নিজে থেকেই আগেভাগে জেনে রাখুন এই গুড় চেনার গূঢ় কৌশল। প্রথম কথাই হল, নলেন গুড় কেনার আগে দেখতে হবে সেটা খাঁটি কি না। এক অংশের বিক্রেতা ক্রেতার অজ্ঞানতার সুযোগ নিয়ে ভুলভাল জিনিস বিক্রি করেন।
আরও পড়ুন: Gangasagar: রাত পোহালেই গঙ্গাসাগর মেলা! জেনে নিন সাগর সম্বন্ধে অবাক-করা কিছু কথা...
প্রথম কথা জেনে রাখুন, যথেষ্ট শীত না পড়লে ভালো গুড় পাওয়ার কোনও সুযোগই নেই। কারণ, এটা প্রাকৃতিক জিনিস। ভালো মতো ঠান্ডা পড়লে তবেই ভালো গুড় পাওয়া যায়। শহুরে মানুষ একটু শীত পড়তে-না-পড়তেই দোকানে গুড়ের খোঁজ করেন। আর ব্যবসায়ীরা ক্রেতা হারাতে চান না বলে এই সুযোগে যা-নয়-তাই বেচেন। জেনে রাখুন, শীতের হাত ধরেই আসে নলেন গুড়ের সঘন সরস মরসুম। কারণ, ঠান্ডা জাঁকিয়ে না পড়া পর্যন্ত খেজুর গাছে ভাল বা উৎকৃষ্ঠ মানের রস জমে না।
কেন সাবধান হতে হয়?
প্রতি বছরই শীতের গুড়ের বাজার ছেয়ে যায় চিনি, আখের গুড়/ভেলি গুড়, ফটকিরি, ক্যালশিয়াম-বাই-কার্বনেট, প্রোপিলিন গ্লাইকল (মিষ্টি স্বাদে সমৃদ্ধ রাসায়নিক) মেশানো ভেজাল গুড়ে। তাই শরীরকে সুরক্ষিত রাখতে এবং রসনাকে আস্বাদ জোগাতে পিঠেপুলির মরসুমে জেনে রাখা উচিত আসল নলেন গুড় চেনার কিছু উপায়।
এক্ষেত্রে প্রথম হাতিয়ারই হল জিভ:
চেখে দেখলেই বোঝা যায় আসল না নকল। খেজুর গুড় কেনার সময় দোকান থেকে অল্প একটু গুড় নিয়ে জিভে ফেলুন। নোনতা স্বাদ পেলে ওখান থেকে গুড় না কেনাই ভাল। নোনতা স্বাদ পেলে জানবেন ওই গুড়ে ফটকিরি মেশানো আছে।
দ্বিতীয় হাতিয়ার চোখ:
রং দেখে গুড় চিনুন। গুড়ের দানা স্ফটিকের মতো স্বচ্ছ হলে বুঝবেন ওতে নিশ্চিত ভাবে চিনি মেশানো আছে। সাধারণত গুড়ের রং গাঢ় বাদামি হয়। তাই গাঢ় লাল কিংবা খয়েরি রঙের গুড় দেখলেই বুঝতে হবে তাতে মাত্রাতিরিক্ত রাসায়নিক মেশানো আছে।
তৃতীয় হাতিয়ার আঙুল:
আলতো চাপে ভেঙে যায় খাঁটি গুড়ের ডেলা। আসল নলেন গুড়ের পাটালি ভাঙতে আঙুলে বেশি চাপ লাগে না। তাই আলতো চাপে গুড়ের ডেলা ভেঙে গেলে বুঝবেন খাঁটি পেয়েছেন। শক্ত হলে সটান ফিরে আসুন দোকান থেকে।
চতুর্থ হাতিয়ার নাক:
নতুন গুড়ের স্বাদের সঙ্গে অবিচ্ছেদ্য হল তার গন্ধ। তবে, জেনে রাখন, গন্ধে আমোদিত হয়ে গুড় কিনে ফেললে ডাহা ঠকবেন। কারণ, গুড়ে সুবাস আনাটা আজকের দিনে আর কোনও কঠিন কাজ নয়। সুবাসের জন্য আজকাল রাসায়নিক ব্যবহার করা হয়।
ব্যস! তা হলে আর কী? পিঠেপুলির জন্য নবান্নের জন্য নতুন গুড়-পাটালি ইত্যাদি কিনতে হবে তো! বেরিয়ে পড়ুন ঝোলা হাতে দোকানে। ডাঁটের মাথায় গুড় চাখুন, দেখুন, চাপুন, শুঁকুন; খুশি হলে কিনুন, না হলে ফিরে আসুন! দেখবেন, দোকানিও আপনাকে আড়চোখে দেখে রাখছেন।