শিল্প বিপর্যয়ের আড়ৎ, মার্কিন মুলুকে এ এক অদ্ভুত সংগ্রহশালা!
খারাপ, কদর্য, প্রশংসার অযোগ্য শিল্প সামগ্রী সযত্নে সাজানো রয়েছে এই সংগ্রহশালায়...
নিজস্ব প্রতিবেদন: এর নাম থেকেই আন্দাজ করা যায়, এখানে কী ধরনের শিল্প সামগ্রী সংগৃহীত রয়েছে। খারাপ, কদর্য, প্রশংসার অযোগ্য শিল্প সামগ্রী সযত্নে সাজানো রয়েছে এই সংগ্রহশালায়। মূলত, শিল্পের পিছনে শিল্পীর প্রচেষ্টা আর পরিশ্রমকে গুরুত্ব দেওয়া এবং ওই সব শিল্পীদের উত্সাহিত করার উদ্দেশ্যেই সংগ্রহশালা গড়ে তোলা হয়।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটসের ডেঢেমে ১৯৯৪ সালে এই অদ্ভুত সংগ্রহশালা গড়ে তোলা হয়। বর্তমানে ম্যাসাচুসেটসের ডেঢেম ছাড়াও, সামারভিল, ব্রুকলাইন আর সাউথ উইমেথ-এ রয়েছে ‘মিউজিয়াম অব ব্যাড আর্ট’-এর শাখা রয়েছে।
১৯৯৩ সালে আবর্জনায় পড়ে থাকা একটি তৈলচিত্র (অয়েল পেন্টিং) দেখে প্রথম এই ধরনের মিউজিয়াম গড়ে তোলার কথা ভাবেন অ্যান্টিক সামগ্রীর ডিলার স্কট উইলসন। তার পর ১৯৯৪ সালে প্রথমে ডেঢেম-এ, পরে সামারভিল, ব্রুকলাইন আর সাউথ উইমেথ-এ গড়ে তোলা হয় ‘মিউজিয়াম অব ব্যাড আর্ট’। বর্তমানে ‘মিউজিয়াম অব ব্যাড আর্ট’-এর চারটি শাখা মিলিয়ে এমন ছ’শোরও বেশি শিল্পসামগ্রী রয়েছে যেগুলির কোনওটাই কখনও কোনও সমালোচক বা দর্শকের প্রশংসা পায়নি। বাতিল বা বিগড়ে যাওয়া এমনই শতাধিক শিল্পসামগ্রী দেখতে এখানে ভিড় করেন শ’য়ে শ’য়ে মানুষ।
আরও পড়ুন: প্রতি বছর এখানে আকাশ থেকে বৃষ্টির মতো ঝরে পড়ে লক্ষ লক্ষ মাছ!
‘মিউজিয়াম অব ব্যাড আর্ট’-এর গ্যালারি ঘুরে দেখে মনে হতেই পারে ছোটদের ‘বসে আঁকো প্রতিযোগিতা’য় আঁকা কাঁচা হাতের রং তুলিতে ভরে ওঠা অবিন্যস্ত, নিয়ন্ত্রণহীন ছবি দিয়ে সাজানো। এই গ্যালারির কোনও ছবি দেখে কখনও দ্য ভিঞ্চির ‘মোনালিসা’র ‘ব্যঙ্গ চিত্র’ মনে হতে পারে, তো কখনও কোনও ছবি আপনাকে ‘হামটি ডামটি’র কথা মনে করাবে। এ ছাড়াও প্যাস্টেল বা মোম রঙে আঁকা একাধিক ছবি রয়েছে এখানে যেগুলিকে থেকে কোনও শিশুর কাঁচা হাতের সৃষ্টি বলেই মনে হবে।