Vaishakha Amavasya: এক অমাবস্যাতেই মুক্তি কালসর্প ও শনির সাড়ে সাতিয়া দোষ থেকে! জেনে নিন দিন-তিথি...
Vaishakha Amavasya:বৈশাখী অমাবস্যার কথা হচ্ছে। বলা হয়, এই মাস থেকেই ত্রেতা যুগ শুরু হয়েছিল। স্নান, মন্ত্রোচ্চারণ ও শুভ মুহূর্ত উদযাপনের মধ্যে দিয়ে পালিত হয় অতি বিশেষ এই অমাবস্যা।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: এদিন পিতৃপুরুষের উদ্দেশ্যে পিণ্ডদান করলে পিতৃপুরুষেরা তৃপ্ত হন, এবং মুক্তিলাভ করেন। খুবই পবিত্র ও পুণ্য এই তিথি। এমনিতেই হিন্দুধর্মে অমাবস্যার অশেষ গুরুত্ব। নতুন বাংলা বছরের প্রথম অমাবস্যা আগামী ২০ এপ্রিল। এদিনে স্নান ও দানের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে।
বৈশাখ অমাবস্যার দিন-তিথি:
এবার বৈশাখ অমাবস্যা পড়ছে ১৯ এপ্রিলে, এদিন সকাল ১১ টা ২৩ মিনিটে অমাবস্যা পড়ছে। থাকছে ২০ এপ্রিল সকাল ৯ টা ৪১ মিনিট পর্যন্ত। বৈশাখ অমাবস্যা উদযাপিত হবে ২০ এপ্রিল সূর্যোদয়ের সময়।
বৈশাখ অমাবস্যার বিশেষ তাৎপর্য:
১) এই অমাবস্যা পালনে শনিদোষ বা শনির সাড়ে সাতিয়া দোষ থেকে মুক্তি মেলে
২) পিতৃদোষের প্রতিকার মেলে
৩) কালসর্প দোষের প্রতিকার মেলে
আরও পড়ুন: Pradosh Vrat: সোমবারই অতি বিশেষ তিথিযোগ! জেনে নিন জীবনে সৌভাগ্য আনতে কী করতে হবে...
কী কী করণীয়:
এদিন শনিদেবের পুজো করুন। বৈশাখ অমাবস্যার দিনে দক্ষিণ ভারতে শনি জয়ন্তী উৎসব পালিত হয়। দিনটিকে শনিদেবের জন্মদিন বলে মনে করা হয়। এদিন কিছু বিশেষ নিয়ম মানলে শনির সাড়ে সাতিয়া দশা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। মন্দিরে গিয়ে কালো তিল, সরষের তেল, কালো বা নীল কাপড় নিবেদন করুন।
বৈশাখ অমাবস্যার দিনে পিতৃপুরুষদের জল নিবেদন করুন এবং পিণ্ডদান করুন। পূর্বপুরুষরা সন্তুষ্ট হন এবং বংশধরদের আশীর্বাদ করেন। কেটে যাবে পিতৃদোষ।
অন্য সাতটি গ্রহের সঙ্গে রাহু-কেতুর বিশেষ অবস্থান কুণ্ডলীতে কালসর্প দোষ সৃষ্টি করে। এতে কাজে বাধা সৃষ্টি হয়, সাফল্য পাওয়া কঠিন হয়ে পড়ে। এমন অবস্থায় বৈশাখ অমাবস্যায় কালসর্প দোষের প্রতিকার করা যায়।