Amar Ekushe Boimela: ঢাকায় শুরু 'অমর একুশে বইমেলা-২০২৫'! উদ্বোধন করলেন মুহাম্মদ ইউনূস...

Amar Ekushe Boimela Dhaka Bangladesh: বাংলা একাডেমির সভাপতি অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হকের সভাপতিত্বে বাংলাদেশে অমর একুশে বইমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠান হল। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশের সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।

Updated By: Feb 2, 2025, 02:22 PM IST
Amar Ekushe Boimela: ঢাকায় শুরু 'অমর একুশে বইমেলা-২০২৫'! উদ্বোধন করলেন মুহাম্মদ ইউনূস...

সেলিম রেজা, ঢাকা: বদলের বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় শনিবার থেকে শুরু হয়েছে 'অমর একুশে বইমেলা-২০২৫'। এ বছর বইমেলার প্রতিপাদ্য বিষয় জুলাই 'গণ অভ্যুত্থান: নতুন বাংলাদেশ নির্মাণ'। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বিকেলে এই মেলা উদ্বোধন করেন। 

আরও পড়ুুন: Saraswati Puja Weather Updates: মাঘেই ঘুরছে পাখা, বাড়ছে তাপ! বাগদেবীর আরাধনা-লগ্নে শীতকে মাঠের বাইরে পাঠাল কি বৃষ্টি-শঙ্কা?

বাংলা একাডেমির সভাপতি অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হকের সভাপতিত্বে বইমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশের সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক মোহাম্মদ আজম।
বাংলা একাডেমি মহাপরিচালক জি ২৪ ঘন্টার বাংলাদেশ প্রতিনিধিকে জানান, বইমেলায় স্টল পেয়েছে ৭০৮টি প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে ৯৯টি স্টল বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে, ৬০৯টি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বসছে। মেলায় ৩৭টি প্যাভিলিয়ন থাকছে-- একটি বাংলা একাডেমিতে এবং ৩৬টি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে। লিটল ম্যাগাজিন কর্নারটি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের উন্মুক্ত মঞ্চের কাছে গাছের নীচে থাকছে।
 
উদ্বোধনের পর শনিবার বিকেল থেকে মেলা সবার জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। ১ থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ছুটির দিন ছাড়া প্রতিদিন বিকেল ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত খোলা থাকবে বইমেলা। রাত সাড়ে ৮টার পর নতুন করে কেউ মেলা-প্রাঙ্গণে প্রবেশ করতে পারবেন না। ছুটির দিন বইমেলা চলবে সকাল ১১টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত (৮ ও ১৫ ফেব্রুয়ারি ছাড়া)।

এ বছর প্রকাশিত বইয়ের গুণগতমানের বিচারে দেওয়া হবে বিভিন্ন পুরস্কার। এর মধ্যে রয়েছে চিত্তরঞ্জন সাহা স্মৃতি পুরস্কার, মুনীর চৌধুরী স্মৃতি পুরস্কার, রোকনুজ্জামান খান দাদাভাই স্মৃতি পুরস্কার ও কাইয়ুম চৌধুরী স্মৃতি পুরস্কার। এবার বইমেলার বিন্যাস গতবারের মতো অক্ষুণ্ণ রাখা হয়েছে। তবে আঙ্গিকে পরিবর্তন আনা হয়েছে। বিশেষ করে মেট্রোরেল স্টেশনের অবস্থানের কারণে গতবারের মেলা থেকে বের হওয়ার পথ এবার একটু সরিয়ে মন্দির গেটের কাছাকাছি জায়গায় স্থানান্তরিত করা হয়েছে। এ ছাড়া, ঢাকার টিএসসি, দোয়েল চত্বর, এমআরটি বেসিং প্ল্যাান্ট এবং ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউশন অংশে মোট চারটি প্রবেশ ও বাহির পথ থাকছে।

আরও পড়ুুন: Deadly Road Accident: হাড়হিম রবিবার! উঁচু পাহাড়ি রাস্তা থেকে খাদে পড়ে দু'টুকরো হয়ে গেল যাত্রীবোঝাই বাস! মৃত্যু, হাহাকার, দেহের পর দেহ...

খাবারের স্টলগুলি ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউশনের সীমানা ঘেঁষে বিন্যস্ত করা হয়েছে। খাবারের স্টলগুলিকে এবার বিশেষভাবে সুবিন্যস্ত করা হয়েছে। নামাজের স্থান, ওয়াশরুম-সহ অন্যান্য পরিষেবা অব্যাহত। শিশুচত্বর মন্দির গেটে প্রবেশের ঠিক ডান দিকে বড় পরিসরে রাখা হয়েছে, যেন শিশুরা অবাধে বিচরণ করতে পারে এবং তাদের কাঙ্ক্ষিত বই সহজে সংগ্রহ করতে পারে তারা। বাংলাদেশে জুলাই-আগস্টের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়েছে। সুতরাং অন্যান্য বছরের তুলনায় বাংলাদেশের এবারের অমর একুশে বইমেলার প্রেক্ষাপটও ভিন্ন। এবারের অমর একুশে মেলায় বাংলাদেশের গণ অভ্যুত্থানের নানা ছবি ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে বইমেলায় থাকছে 'জুলাই চত্বর'। মেলায় বিভিন্নভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে বাংলাদেশের গণঅভ্যুত্থানকে।

(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)

.