হীরক রাজ্যে 'জিএসটি' জুজু, বেহাল দশা বাঙালি হিরে ব্যবসায়ীদের
পূর্ব সুরাটের এই দুরমুশ রোড বাঙালি মহল্লা বলেই পরিচিত। ১০ বছর ধরে এখানে হিরের কাজ করতেন কাটোয়ার রতন মাঝি। এখন বেকার। ১৯৯০ সাল থেকে আছেন হুগলির বাবলু ঘোষ। সোনার ওপর হিরে সেটিংয়ের দোকান ছিল।
নিজস্ব প্রতিবেদন: হীরক রাজ্য সুরাটে চরম সমস্যায় বাঙালি হিরে শ্রমিকরা। নোট বাতিল, জিএসটি-র জেরে কাজ হারিয়ে এখন তাঁরা বেকার। ব্যাটেলগ্রাউন্ড গুজরাতের মাটি থেকে সে খবর নিলেন ২৪ ঘণ্টা ডট কমের প্রতিনিধি।
হিরের জন্যই সুরাটকে চেনে গোটা বিশ্ব। ১৯০১ সালে পূর্ব আফ্রিকা থেকে আসা ব্যবসায়ীদের হাতে সুরাটের হিরে শিল্পের জন্ম। বিশ্বের ৯২% হিরে কাটা ও পালিশ হয় সুরাটে। রফতানি বাজারে বছরে ব্যবসা হয় প্রায় ৭০ হাজার কোটি টাকা। ব্যবসায়ীরা বলছেন, নোট বাতিল ও জিএসটি-র জেরে হিরের কারবার প্রায় ৫০% কমে গিয়েছে। কাজ হারিয়েছেন প্রায় ৬ লক্ষ শ্রমিক-কর্মচারি। সুরাট থেকে বাংলায় ফিরে গিয়েছেন প্রায় ৪ হাজার শ্রমিক।
আরও পড়ুন- জিএসটি সুরাটবাসীর 'অসুবিধায়' ফেলেছে, মানছেন বিজেপি নেতারাই
পূর্ব সুরাটের এই দুরমুশ রোড বাঙালি মহল্লা বলেই পরিচিত। ১০ বছর ধরে এখানে হিরের কাজ করতেন কাটোয়ার রতন মাঝি। এখন বেকার। ১৯৯০ সাল থেকে আছেন হুগলির বাবলু ঘোষ। সোনার ওপর হিরে সেটিংয়ের দোকান ছিল। সে ব্যবসা ছেড়ে এখন বনে গিয়েছেন রাঁধুনি।
আরও পড়ুন- সুপ্রিম কোর্টে আজ থেকে বাবরি মসজিদ-রাম জন্মভূমি মামলার চূড়ান্ত শুনানি শুরু
সুরাটের ঘরে ঘরে রয়েছেন এমন আরও অনেক বাবলু-রতন। হিরের স্বপ্নে বাংলা থেকে গুজরাট পাড়ি দেন তাঁরা। এখন শুধুই অন্ধকার। ১৮ তারিখের পর কী তাঁদের ভবিষ্যত্ পাল্টাবে? সেই আশায় বুক বেঁধে রয়েছেন প্রবাসী বাঙালি ব্যবসায়ীরা।