গান্ধীর হত্যাকারী গডসেও দেশপ্রমিক, বিতর্কিত মন্তব্য সাক্ষী মহারাজ
সাধ্বী নিরঞ্জনের পর এবার সাক্ষী মহারাজ। দলীয় সাংসদের বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে ফের অস্বস্তিতে মোদী সরকার। সম্প্রতি বিভিন্ন ইস্যুতে বারবার মহাত্মা গান্ধীর নাম উল্লেখ করেছেন প্রধানমন্ত্রী । অথচ তাঁরই দলের সাংসদ মহারাজের মহাবচন, মহাত্মা গান্ধীর মতোই তাঁর হত্যাকারী নাথুরাম গডসেও দেশপ্রেমিক! সংসদে হইচই শুরু হতেই অবশ্য ঢোঁক গেলেন কীর্তিমান সাংসদ।
নয়াদিল্লি: সাধ্বী নিরঞ্জনের পর এবার সাক্ষী মহারাজ। দলীয় সাংসদের বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে ফের অস্বস্তিতে মোদী সরকার। সম্প্রতি বিভিন্ন ইস্যুতে বারবার মহাত্মা গান্ধীর নাম উল্লেখ করেছেন প্রধানমন্ত্রী । অথচ তাঁরই দলের সাংসদ মহারাজের মহাবচন, মহাত্মা গান্ধীর মতোই তাঁর হত্যাকারী নাথুরাম গডসেও দেশপ্রেমিক! সংসদে হইচই শুরু হতেই অবশ্য ঢোঁক গেলেন কীর্তিমান সাংসদ।
১৯৪৮ এর ৩০ জানুয়ারি। ভিড়ের মাঝে গর্জে উঠল গডসের বন্দুক। নিমেষে ঝাঁঝরা জাতির পিতা। পরে হত্যার অপরাধে ফাঁসি হয় গডসের। এহেন গডসেরই প্রশংসায় পঞ্চমুখ বিজেপি সাংসদ সাক্ষী মহারাজ। সম্প্রতি মহারাষ্ট্রে এক সভায় গডসেকে গান্ধীর মতোই দেশপ্রেমিক বলে মন্তব্য করেন তিনি।বৃহস্পতিবার রাজ্যসভায় বিষয়টি তোলেন কংগ্রেস সাংসদ হুসেন দালোয়াই। এঘটনায় বিজেপি ও আরএসএসের দিকে আঙুল তুলেছেন তিনি।এরপরই বিষয়টি নিয়ে সংসদে তুমুল হইচই শুরু হয়। খবর ছড়াতেই আরএসএসকে তীব্র কটাক্ষ করেন তুষার গান্ধী।
বিভাজন ছড়ানোর দায়ে বিজেপিকে তুলোধোনা করেছে সিপিআইএম নেতৃত্ব। শেষপর্যন্ত পরিস্থিতি সামাল দিতে নামেন সংসদীয় মন্ত্রী বেঙ্কাইয়া নাইডু। তিনি জানান, সরকারের মনোভাব আদৌ এরকম নয়। তবে একই সঙ্গে তাঁর বক্তব্য, এজন্য কোনও সংগঠনকে দায়ী করা ঠিক নয়। বেগতিক বুঝে এরপর ঢোঁক গেলেন সাক্ষী মহারাজও।
বিরোধীদের চাপে নিজের মন্তব্যের জন্য শেষ পর্যন্ত ক্ষমা চাইতে বাধ্য হন সাধ্বী নিরঞ্জন। সাক্ষী মহারাজও কি সেই পথেই হেঁটে অস্বস্তি বাড়াবেন বিজেপির ? নজর এখন সেদিকেই।