‘আরএসএস-এর কাছ থেকে শৃঙ্খলা শিখুন’, দলের কর্মীদের পরামর্শ কংগ্রেস নেতার
বাবারিয়া বলেন, ‘হাঁ, আরএসএসের কথা টেনে এনেছি। নেহরুজিও চিন-ভারত যুদ্ধের সময়ে চিনাদের শৃঙ্খলার কথা বলতেন।’
![‘আরএসএস-এর কাছ থেকে শৃঙ্খলা শিখুন’, দলের কর্মীদের পরামর্শ কংগ্রেস নেতার ‘আরএসএস-এর কাছ থেকে শৃঙ্খলা শিখুন’, দলের কর্মীদের পরামর্শ কংগ্রেস নেতার](https://bengali.cdn.zeenews.com/bengali/sites/default/files/2018/08/07/133241-7.jpg)
নিজস্ব প্রতিবেদন: দলের কর্মীদের ঠান্ডা করতে আরএসএসে দ্বারস্থ হলেন কংগ্রেস নেতা। সাফ জানালেন শৃঙ্খলা শিখতে গেলে আরএসএসকে দেখুন।
মধ্যপ্রদেশ কংগ্রেসের দায়িত্বে রয়েছেন দীপক বাবারিয়া। সোমবার বিদিশায় দলের এক বৈঠকে কর্মীদের মধ্যে মারামারি লেগে যায়। তাদের থামাতে হিমশিম খেয়ে যান বাবারিয়া। কর্মীরা শান্ত হওয়ার পরই তিনি তাঁদের মোক্ষম উপদেশটা দেন। বলেন, আরএসএসের কাছ থেকে শৃঙ্খলা শিখুন।
অারও পড়ুন-চিরনিদ্রায় কালাইনার: সমর্থকদের আর্তি, "ওঠো, চলো, গোপালাপুরম চলো..."
কংগ্রেসের শীর্ষ নেতার মুখ থেকে আরএসএসের কথা বেরিয়ে পড়ায় সমালোচনা শুরু হয়েছে বিভিন্ন মহল থেকে। তবে বাবারিয়া তা দমতে নারাজ। তিনি বলেন, আরএসএসের কথা টেনে আনার ফলে দলের ইমেজের কোনও ক্ষতি হয়নি।
সোমবার দলের কর্মকর্তাদের একটি সভা ডাকেন বাবারিয়া। সেখানে মধ্যপ্রদেশের সহ জেলার নেতাদের জন্য চেয়ারের ব্যবস্থা করা হয়। তবে বাদ যান রাজ্যের রাজপরিবারের সদস্য সিন্ধু বিক্রম সিং। মধ্যপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনে তাঁকে টিকিট দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে। তিনি এসেছিলেন ওই বৈঠকে। চেয়ার না দেওয়ায় খেপে যান মহম্মদ কামিল নামে এক কংগ্রেস নেতা। অন্যান্য অনেকেই তাঁকে সমর্থন করেন। বিষয়টি নিয়ে কংগ্রেস কর্মীরা দুদলে ভাগ হয়ে যান। তার পরেই শুরু হয়ে যায় মারামারি।
আরও পড়ুন-রোহিঙ্গা ইস্যুতে বড়সড় নাশকতার ছক কষেছিল খাগড়াগড়কাণ্ডে মূল অভিযুক্ত কওসর
গোটা বিষয়টি দেখে প্রবল বিরক্তি প্রকাশ করেন বাবারিয়া। কর্মীরা শান্ত হওয়ার পর তিনি তাদের আরএসএসের উদাহরণ দেন। এ ব্যপারে সংবাদ মাধ্যম তাঁকে প্রশ্ন করলে বাবারিয়া বলেন, ‘হাঁ, আরএসএসের কথা টেনে এনেছি। নেহরুজিও চিন-ভারত যুদ্ধের সময়ে চিনাদের শৃঙ্খলার কথা বলতেন। কোনও সংগঠনে যদি কোনও ভালো জিনিস থাকে তাহলে তা গ্রহণ না করার কিছু নেই।’