Gurgaon: প্রকাশ্যে নমাজ পাঠের প্রতিবাদ স্থানীয়দের, জমি জিহাদের অভিযোগ, ব্যারিকেড পুলিসের
এটা আন্তর্জাতিক ষড়়যন্ত্র। লভ জিহাদ, জমি জিহাদের মতলব করেছে, দাবি স্থানীয় বাসিন্দার।

নিজস্ব প্রতিবেদন: প্রকাশ্যে নমাজ পাঠ ঘিরে বিতর্ক গুরগাঁওয়ের সেক্টর ৪৭-এ। স্থানীয়দের বিক্ষোভে নির্দিষ্ট স্থান থেকে ১৫০ মিটার দূরে প্রার্থনা করেন মুসলিম সম্প্রদায়ের লোকজন। বিক্ষোভকারীদের বক্তব্য, নিজের বাড়ি, মসজিদ অথবা ওয়াকফের জমি নমাজ পাঠ করা উচিত।
দুপুর ১টা নাগাদ সেক্টর ৪৭-এ স্টেট ভিডিল্যান্স ব্যুরোর অফিসের উল্টো দিকের মাঠে জড়ো প্ল্যাকার্ড হাতে জড়ো হন স্থানীয়রা। তাঁদের প্রশ্ন, মসজিদ ছেড়ে প্রকাশ্যে কেন নমাজ পাঠ করা হচ্ছে? 'ভারত মাতা কি জয়' স্লোগান দেন তাঁরা। ঘণ্টাখানেক ধরে ভজন এবং মন্ত্রপাঠও করেন। ব্যারিকেড করে ভিড়কে নিয়ন্ত্রণ করে পুলিস।
সেক্টর ৪৭-র এক বাসিন্দা জানান,''নিরাপত্তা নিয়ে আমরা আশঙ্কিত। আগে ২০ জন নমাজ পাঠ করতে আসতেন। এখন সেটাই কম করে ২০০ জন। এই বহিরাগতদের আমরা চিনি না। ছোটখাট অপরাধ বেড়ে গিয়েছে এ তল্লাটে। নমাজের জন্য রাস্তায় যানজট হচ্ছে।'' নমাজ পাঠ বন্ধের জন্য ডেপুটি কমিশনারের কাছে চিঠি দিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। বিষয়টির নিষ্পত্তির আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। ততদিন তাঁরা শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিবাদ করবেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। কয়েক মাস ধরে প্রকাশ্যে নমাজ পাঠের প্রতিবাদ করছেন দীনেশ ভারতী। তাঁকে গ্রেফতারও করে পুলিস। মঙ্গলবার জামিনে মুক্ত হয়েছেন। দীনেশের দাবি, এটা আন্তর্জাতিক ষড়়যন্ত্র। লভ জিহাদ, জমি জিহাদের মতলব করেছে। আমরা প্রতিবাদ না করলে কাল এখানে মসজিদ তৈরি করে ফেলবে।
এসিপি (সদর) আমন যাদব জানিয়েছেন, প্রকাশ্যে নাম পাঠ নিয়ে আপত্তি করেছেন কয়েকজন স্থানীয়। তাঁদের দাবি এই জমি সরকারি। এখানে বাজার হওয়ার কথা। ২০১৮ সালে দুই সম্প্রদায়ের সম্মতিতেই স্থানটি নমাজ পাঠের জন্য স্থির করা হয়েছিল। বিক্ষোভের জেরে ওই জায়গাতেই খানিকটা দূরে নমাজ পড়েন মুসলিমরা। বিক্ষোভকারীদের দাবি, নির্দিষ্ট সময়ের সম্মতি দেওয়া হয়েছিল। সম্বৎসরের জন্য নয়। কাউন্সিলর কুলদীপ যাদবের বক্তব্য, এটা নমাজ পাঠের জায়গা হিসেবে বাছার আগে বাসিন্দাদের অনুমতি নেওয়া উচিত ছিল। ২০১৮ সালে একদিনের জন্য দেওয়া হয়েছিল স্থানটি। লিখিত কিছুই নেই।
ঘটনায় বিরক্তি প্রকাশ করেছেন রাজ্যসভার প্রাক্তন সাংসদ মহম্মদ আদিব। তাঁর কথায়, এটা শুনেই দুঃখ পাচ্ছি। কী ধরনের দেশ তৈরি হচ্ছে? মানুষকে প্রার্থনা করতে দেওয়া হচ্ছে না। এটা তো সাংবিধানিক অধিকার। বিক্ষোভকারীদের লজ্জিত হওয়া দরকার।
আরও পড়ুন- #উৎসব: এতগুলি পুজো উদ্বোধন করলাম কেউ এক কাপ চা দেয়নি, আক্ষেপ Mamata-র
(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)