লকডাউনেও বেপরোয়া করোনা, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশজুড়ে আক্রান্ত ৮,৩৮০
সবচেয়ে বেশি করোনা আক্রান্তের ঠিকানা মহারাষ্ট্র। উদ্ধব ঠাকরের রাজ্যে মোট করোনা আক্রান্তর সংখ্যা ৬৫ হাজার ১৬৮
নিজস্ব প্রতিবেদন: করোনা সংক্রমণ থেকে কবে মুক্তি মিলবে তা কার্যত অনিশ্চিত। দিন-রাত এক করেও এখনও অধরা করোনার প্রতিষেধক। কিন্তু সারা দেশে দিনের পর দিন হু হু করে বাড়ছে করোনা আক্রান্তর সংখ্যা।
আরও পড়ুন-নেপালের মানচিত্রে ভারতের ৩ এলাকা! বিরোধীদের সমর্থনে পাস হওয়ার মুখে সংবিধান সংশোধনী বিল
গত ২৪ ঘন্টায় খোদ রাজধানীতে করোনা আক্রান্ত ১০০০। এই নিয়ে পরপর ৪ দিন দিল্লিতে রোজ কোভিড আক্রান্ত ১০০০ ছাড়াল। করোনা হানায় ভারতের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ তিন রাজ্য হল মহারাষ্ট্র, তামিলনাড়ু ও দিল্লি। পশ্চিমবঙ্গের স্থান উত্তরপ্রদেশের পরে অষ্টম স্থানে।
এই মুহুর্তে সবচেয়ে বেশি করোনা আক্রান্তের ঠিকানা মহারাষ্ট্র। উদ্ধব ঠাকরের রাজ্যে মোট করোনা আক্রান্তর সংখ্যা ৬৫ হাজার ১৬৮। মৃত্যু হয়েছে ২ হাজার ১৯৭ জনের। তামিলনাড়ুতে মোট করোনা আক্রান্ত ২১ হাজার ১৮৪। করোনা থাবায় প্রাণ হারিয়েছেন ১৬০ জন। তৃতীয় স্থান দিল্লির। সেখানে আক্রান্ত ১৮ হাজার ৫৪৯ জন। মৃত্যু হয়েছে ৪১৬ জনের। শুধুমাত্র গত ২৪ ঘন্টাতেই রাজধানীতে প্রাণ হারিয়েছেন ১৩ জন। যেখান থেকে ভয়াবহ রূপটা একেবারে স্পষ্ট।
দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল অবশ্য জানিয়েছেন তাঁর সরকার করোনা মোকাবিলায় চার কদম এগিয়ে রয়েছে। ভয় পাওয়ার কোনও বিষয় নেই। দেশজুড়ে গত ২৪ ঘন্টায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৮ হাজারের বেশি।
আরও পড়ুন-ফের তৈরি হল শক্তিশালী নিম্নচাপ, ঘূর্ণিঝড়ের আকার নিয়ে আছড়ে পড়তে পারে ২ রাজ্যে
পঞ্চম দফার লকডাউনে অনেকাংশেই ছাড় মিলেছে বহু রাজ্যে। পরিস্থিতি সচল করার পক্ষেই কথা বলেছেন দিল্লির প্রশাসনিক প্রধানও। কেজরিওয়াল জানিয়েছেন, দীর্ঘকালীন লকডাউন কোনও সমাধান নয়। সতর্কতার উপর ভর করেই কাজ চালিয়ে যেতে হবে।
ভারতে এপর্যন্ত মোট করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১,৮২,১৪৩। সক্রিয় আক্রান্ত ৮৯,৯৯৫ জন। সুস্থ হয়েছেন ৮৬,৯৮৩ জন। প্রাণ হারিয়েছেন ৫,১৬৪ জন।