ভাড়া বৃদ্ধির কথা জানতেন নেত্রী, ফের তোপ দীনেশের

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিল্লি ছাড়তেই ফের বিস্ফোরক মন্তব্য, প্রাক্তন রেলমন্ত্রী দীনেশ ত্রিবেদীর। তাঁর অভিযোগ, রেলমন্ত্রীর পদ থেকে তাঁকে সরানোটা পূর্ব পরিকল্পিত। একই সঙ্গে তাঁর অভিমত, রেল বাজেটে ভাড়া বৃদ্ধি নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ অফিসারদের সঙ্গে বহুবার তাঁর আলোচনা হয়েছে।

Updated By: Mar 20, 2012, 10:40 PM IST

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিল্লি ছাড়তেই ফের বিস্ফোরক মন্তব্য, প্রাক্তন রেলমন্ত্রী দীনেশ ত্রিবেদীর। তাঁর অভিযোগ, রেলমন্ত্রীর পদ থেকে তাঁকে সরানোটা পূর্ব পরিকল্পিত। একই সঙ্গে তাঁর অভিমত, রেল বাজেটে ভাড়া বৃদ্ধি নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ অফিসারদের সঙ্গে বহুবার তাঁর আলোচনা হয়েছে। অর্থাত্‍ দীনেশ ত্রিবেদী বুঝিয়ে দিয়েছেন, রেল ভাড়া যে বাড়ানো হচ্ছে, তা তৃণমূল নেত্রীর অজানা ছিল না।
গত ১৪ মার্ত রেল বাজেটের পর থেকেই শুরু হয় বিতর্ক। বিতর্কের ইস্যু ছিল দ্বিবিধ- প্রথমতঃ রেলের সমস্ত স্তরে যাত্রীভাড়া বৃদ্ধি। দ্বিতীয়তঃ বাজেট বক্তৃতা পর্বে `ভারতীয় রেল আইসিইউ-তে চলে গেছে`, বলে পূর্বসূরীকে কটাক্ষ করে দীনেশের মন্তব্য। বাজেট পেশের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই নন্দীগ্রামে সভা করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেন, ভাড়া বাড়ার বিষয়টি তাঁরা জানতেন না।
 
মুখ্যমন্ত্রীর এই বক্তব্যকে ঘিরেও শুরু হয় তুমুল জল্পনা। বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে, তৃণমূলের মতো ব্যক্তিসর্বস্ব দলে এতবড় সিদ্ধান্ত কীভাবে নেত্রীকে না জানিয়ে নিলেন দীনেশ ত্রিবেদী! বিষয়টির দায়ভার নিজের কাঁধে নিয়ে, দীনেশ ত্রিবেদী অবশ্য তখন একের পর এক রেলের বিরুদ্ধে তোপ দাগতে শুরু করেছেন।
 
এর পরই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সিদ্ধান্ত নেন, রেলমন্ত্রীর পদ থেকে অপসারণ করা হবে দীনেশ ত্রিবেদীকে। তারপর টানা ৫৬ ঘণ্টার রুদ্ধশ্বাস নাটকের পর দীনেশ ত্রিবেদীকে সরিয়ে, রেলের মসনদে বসানো হয় মুকুল রায়কে। মঙ্গলবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিল্লি ছাড়ার পরই দীনেশ ত্রিবেদী দাবি করেন, তাঁর এই অপসারণ পূর্ব পরিকল্পিত। সবটা আগে থেকেই তৈরি ছিল।

রেল ভাড়া বৃদ্ধি নিয়েও মুখ খুলেছেন প্রাক্তন রেলমন্ত্রী। মন্ত্রগুপ্তির কারণে কোনও মন্ত্রীই প্রকাশ্যে বলতে পারেন না তিনি বাজেট নিয়ে অন্য কোনও নেতা-নেত্রীর সঙ্গে আলোচনা করেছেন। এটা সংবিধান বিরুদ্ধ। দীনেশ ত্রিবেদী জানিয়েছেন, রেলের ভাড়া যে বাড়ছে, তা নিয়ে কথা বলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ অফিসারদের সঙ্গে। অর্থাত্‍ তিনি বুঝিয়ে দিয়েছেন, সব জানতেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
 
দীনেশ ত্রিবেদীর এই মন্তব্য নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস মহলে ফের অসন্তোষ দানা বেঁধেছে। এভাবে দলীয় নেত্রীর বিরুদ্ধে মুখ খোলায় দীনেশ ত্রিবেদীর বিরুদ্ধে আরও কড়া ব্যবস্থা চান তৃণমূল কংগ্রেসের শীর্ষ নেতারা। কিন্তু রেলমন্ত্রীর পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার পর আর কী কড়া ব্যবস্থা নেওয়া যায়, সেটাই বুঝে উঠতে পারছেন না দলীয় নেতারা।

.