শুভাতে অপ্রসন্ন ইডি, হদিশ মিলল বেনামে শিল্পীর বিপুল সম্পত্তির
বেনামে শিল্পী শুভাপ্রসন্নর বিপুল সম্পত্তির হদিশ পেল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। মুম্বইয়ে কেনা হয়েছে তিনটি হোটেল। যার পিছনে সারদার অর্থই আছে বলে প্রাথমিক তদন্তে জানতে পেরেছেন গোয়েন্দারা। অর্থের উত্স জানতে কাল ফের তলব করা হয়েছে শুভাপ্রসন্নকে।
ব্যুরো: বেনামে শিল্পী শুভাপ্রসন্নর বিপুল সম্পত্তির হদিশ পেল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। মুম্বইয়ে কেনা হয়েছে তিনটি হোটেল। যার পিছনে সারদার অর্থই আছে বলে প্রাথমিক তদন্তে জানতে পেরেছেন গোয়েন্দারা। অর্থের উত্স জানতে কাল ফের তলব করা হয়েছে শুভাপ্রসন্নকে।
সারদা কর্তা সুদীপ্ত সেনকে নিজের মালিকানাধীন টিভি চ্যানেল বিক্রি করেন শুভাপ্রসন্ন। চালু না হওয়া, পরিকাঠামোহীন ওই চ্যানেলের পিছনে বিশাল অঙ্কের টাকা ঢেলেছিলেন সারদা কর্তা। সেই কেনাবেচার তদন্তে নেমে শিল্পীর আরও বেশ কিছু সন্দেহজনক আর্থিক লেনদেনের হদিশ পেয়েছে ইডি। চ্যানেল কেনাবেচা সম্পর্কে জানতে ইতিমধ্যে শিল্পীকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন তদন্তকারীরা। কিন্তু বারবারই অভিযোগ উঠেছে, বহু তথ্য গোপন করছেন শুভাপ্রসন্ন। এরই মধ্যে ইডির নজরে আসে তৃণমূল ঘনিষ্ঠ এই চিত্রশিল্পীর দুটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট। তার মধ্যে একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কের এবং অন্যটি রয়েছে একটি রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ব্যাঙ্কে। দুটি অ্যাকাউন্ট থেকে বিপুল অঙ্কের আর্থিক লেনদেন হয়েছে।
তদন্তকারীদের দাবি, ওই দুটি অ্যাকাউন্ট থেকে প্রথমে টাকা গেছে শুভাপ্রসন্নর মেয়ের অ্যাকাউন্টে। সেখান থেকে ফের ওই টাকা গেছে মুম্বই ও গোয়ার কয়েকজন ব্যবসায়ীর অ্যাকাউন্টে। এই লেনদেনের সূত্র ধরেই ইডি অফিসাররা জানতে পেরেছেন, ওই টাকায় মুম্বইয়ে কেনা হয়েছে তিন-তিনটি হোটেল।
এ সম্পর্কে জানতে শুভাপ্রসন্নকে ইতিমধ্যে তিন বার তলব করেছে ইডি। কিন্তু শিল্পী কোনওবারই উপস্থিত হননি। নিজের চার্টার্ড অ্যাকাউন্টট্যান্টের মাধ্যমে কয়েকবার নথি পাঠিয়ে দিয়েছেন। তবে তাতে অর্থের উত্স সম্পর্কে কিছু উল্লেখ নেই। লেনদেনের খুঁটিনাটি জানতে চাওয়া হলে তারও কোনও সদুত্তর পাওয়া যায়নি। এরপরই গত শনিবার শুভাপ্রসন্নর ওই দুটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করে দেয় ইডি। ফ্রিজ করে দেওয়া হয়েছে তাঁর চব্বিশটি ফিক্সড ডিপোজিটও।
প্রাথমিক তদন্তে ইডির সন্দেহ, চ্যানেল কেনাবেচা ছাড়াও সারদা গোষ্ঠী থেকে বিপুল অর্থ ঢুকেছিল শিল্পীর অ্যাকাউন্টে। এবং সেই অর্থেই বেনামে সম্পত্তি কেনা হয়েছে। গোটা বিষয়টি স্পষ্ট করতে ফের বুধবার তলব করা হয়েছে শুভাপ্রসন্নকে। যদিও তদন্তকারীরা সরাসরি তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেননি। এবার তাঁকেই সশরীরে হাজিরা দিতে হবে, একথা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে শিল্পীর চার্টার্ড অ্যাকাউন্টটেন্টকে। তদন্তকারীদের ইঙ্গিত, বুধবারও হাজিরা না দিলে শুভাপ্রসন্নর বিরুদ্ধে কড়া আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।