গণধর্ষিতার গর্ভপাতের আবেদন নাকচ করল গুজরাত হাইকোর্ট
২৪ বছরের এক গণধর্ষিতার গর্ভপাতের আবেদন নাকচ করে দিল গুজরাত হাইকোর্ট। আদালতের যুক্তি, ভ্রূণের বয়স ২০ সপ্তাহ অতিক্রম করার পর আর গর্ভপাত করা যায় না। এক্ষেত্রে ভ্রূণটির বয়স ২৮ সপ্তাহ। তবে হাইকোর্ট, জানিয়েছে নিগৃহীতা মহিলাটির সুরক্ষিত ডেলিভারি ও সন্তান জন্মাবার পরে, সেই সন্তানটির সমস্ত দেখভালের দায়িত্ব প্রশাসনকে নিতে হবে।
ওয়েব ডেস্ক: ২৪ বছরের এক গণধর্ষিতার গর্ভপাতের আবেদন নাকচ করে দিল গুজরাত হাইকোর্ট। আদালতের যুক্তি, ভ্রূণের বয়স ২০ সপ্তাহ অতিক্রম করার পর আর গর্ভপাত করা যায় না। এক্ষেত্রে ভ্রূণটির বয়স ২৮ সপ্তাহ। তবে হাইকোর্ট, জানিয়েছে নিগৃহীতা মহিলাটির সুরক্ষিত ডেলিভারি ও সন্তান জন্মাবার পরে, সেই সন্তানটির সমস্ত দেখভালের দায়িত্ব প্রশাসনকে নিতে হবে।
কিছুদিন আগে গর্ভপাতের অনুমতি চেয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়ে ছিলেন ওই মহিলা। তাঁর অভিযোগ, মাস ছয়েক আগে তাঁকে অপহরণ করা হয়। বেশ কিছুদিন তাঁর উপর যৌননির্যাতন চলে। তিনি কোনওরকমে পালাতে সক্ষম হন মাস খানেক আগে। কিন্তু, ততদিনে কয়েক মাসের গর্ভবতী তিনি। ফলে, আদালতে আবেদন করতেই দেরী হয়ে যায় তাঁর।
আদতে বোতাড় জেলার বাসিন্দা এই নিগৃহীতা মহিলা বিবাহিত। দুই সন্তান ও স্বামীর সঙ্গে বর্তমানে তিনি সুরাতে থাকেন।
তবে নিগৃহীতার আবেদন খারিজ করে বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা জানিয়েছেন, ''এই গর্ভাবস্থা টেনে নিয়ে যাওয়ার জন্য উনি যথেষ্ট সাহসী। সময় মত উনি প্রসব করবেন। আমি জানি একজন বিচারক হিসেবে রায় দেওয়াটা খুব সহজ। কিন্তু, পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হবে আবেদনকারীকেই। কিন্তু, আমাদের আইন অনুযায়ী চলতে হবে, তার সম্মান জানাতেই হবে। এই অবস্থায় গর্ভপাত করলে ওনার জীবন বিপন্ন হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়।''
তিনি বলেছেন ধর্ষণের অভিযোগ প্রমাণ তদন্ত সাপেক্ষ। পারদিওয়ালা বলেছেন ''আমি জানি ওনার গর্ভে এখন একটি শিশু বড় হচ্ছে। এই সন্তান হয়ত ওনার ইচ্ছার বিরুদ্ধেই বেড়ে উঠছে। এই শিশু হয়ত ধর্ষণের ফল। এই ঘটনা ওনার মনে সাঙ্ঘাতিক আতঙ্কের সৃষ্টি করেছে, ভীষণ অসম্মানজনক, ভয়াবহ। ভারতীয় সমাজে ওনাকে অনেক অপমান, অবজ্ঞা সহ্য করতে হবে। ঘটনাটি অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক...কিন্তু আমরা আইনের উল্টো পথে হাঁটতে পারি না। ২৮ সপ্তাহের একটি ভ্রূণ আইন অনুযায়ী পূর্ণপ্রাণের সমান। এই সময় গর্ভাপাত হত্যার সামিল।''
ধর্ষিতা ওই মহিলা জানিয়েছেন স্বামীর পরিবার ও দুই সন্তানের সঙ্গে তিনি সুরাতে থাকেন। তিনি বারবার জানিয়েছেন এই সন্তান কেউই চায় না। তবে, আদালতের রায় তাঁরা মেনে নেবেন বলে জানিয়েছেন।